কালো প্রজাপতি
গোধুলী লগ্ন প্রায় আসন্ন ,দিগন্তের শেষ আলোক রশ্মিরা মেঘেদের সাথে আলিঙ্গনে মত্ত। ধুসর মেঘেরা তরঙ্গ দোলায় ভেসে ভেসে দূরের নিলিমায় পারি জমায় আর তার সহচর আলোক রশ্নিরা তাদের শরীর নিয়ে খেলে যায় বর্ণীল হলি খেলা। আষাঢ়ের আকাশচারি মেঘে- দের শরীর রূপান্তরিত হয় যুবতির দেহে। কৃষ্ণাঙ্গী যুবতির সু-ঢৌল স্তনে প্যাচ নিয়ে খাঁজ পরা কোমর বেয়ে নেমে গ্যাছে ধূসর শাড়ি। আর তার শরীরে ছিটিয়ে দেয়া হয়েছে ঁিসদুরের রঙ। কিন্তু হঠাৎ অদৃশ্য হয় সে লজ্জা রাঙ্গা মুখে। সুর্যের শেষ আলোটুকু ফুরালে বেগুনী পাহারের চুড়ায় নৃত্যরত ঈশ্বরের দেব শিশুরা খেলা জুরে দেয়। অতঃপর আঁধারের শরীর ফুড়ে ধরায় নেমে পরে অশরিরী কালো প্রেতাত্মার দল আর অদুরে দেব শিশুরা পারি জমায়্ সর্গ লোকে। আর্ এরই সাথে সাথে জম্ন নেয় এক কালোপ্রজাপতি।
ভোর।
অতল সমুদ্রের জলের শরীর বেয়ে উঠে পরে সুর্যটা। সদ্য যুবতি হয়ে ওটা হাঁসের পালকের শরীরে রাতের স্নিগ্ধতায় দূর দেশের সেই সপ্নের নাবিকের অঢেল বালোবাসায় জন্ম নেয়া অনল বিসর্জন দিতে নেমে পড়ে। অদুরে জলের বুকে দারিয়ে হীরের হাসিঁর অভিবাদন জানায় সুর্যটা। আর সে হাসি জলজ কনার বুকে ভেসে বেড়ায় অথৈ সাগরে। কালোপ্রজাপতি ও চলে আসে প্রাতের এই নৈসর্গিক পরিবেশের অংশ হয়ে। কুমারী তার স্নান সেরে উঠে পরে তীরে। কালোপ্রজাপতি আহ্বান জানায় :
হে ভোরের দেবী, আমি জানি তোমার সেই সপ্ননাবিকের সন্ধান। তুমি কি যাবে আমার সাথে? আমি তোমাকে নিয়ে যেতে পারি তার কাছে। কুমারী তার মোহন-মায়ার ভাষা বোঝে এবং তার মোহন মায়ায় সারা দেয়। কালো প্রজাপতি কুমারীকে তার শক্তিবলে কবুতরে রূপান্তরিত করে দেয়। একটি ধবধবে সাদা রাণী কবুতর পেখম তুলে নাচতে থাকে তার আকাঙ্খা পূর্ণতার জন্য। অতঃপর কালোপ্রজাপতি পথ-প্রদর্শকের ভ্থমিকায় মত্ত হয়ে উরে চলে। বিস্তীর্ন মাঠ, সবুজ বনাসী, পেরিয়ে ছুটে চলে তারা। আর তার সাথে সাথে কাল প্রবাহ শীতল বৈঠা হাতে নেমে যায় অথৈ গভীরে। অনেকটা পথ পেরিয়ে তারা নেমে পরে সবুজ বিস্তীর্ন একটা মাঠের ওপর। কালো প্রজাপতি ডানায় ভাজ নিয়ে মাটির ঢিপির উপর স্থীর হয়ে দারিয়ে থাকে। রাণী কবুতর তার পেখম মেলে ঢিপির চারপাশে সুর তুলে নেচে যায় মৌন আকাঙ্খা পূর্ণতার আশায়। পাশেই কেয়া ফুলের ঝোপ, প্রতিটি মুকুরে ফুটে আছে অজস্র ফুল। একটি রঙিন শাবক প্রজাপতি উড়ে উড়ে তার মধু আহরনে মত্ত। হঠাৎ তার রাণী কবুতরের নাচ দৃষ্টিগোচরিত হয় মধু আহরন ভুলে উড়ে উড়ে তার পাশে চলে আশে সে। অতঃপর কালো প্রজাপতি পথ ক্লান্তির বিশ্রাম সেড়ে আবারো ডানার ভাজ খোলো। রাণী কবুতর ও রঙিন প্রজাপতি উড়ে চলে তার পিছু পিছু। বিসতৃর্ণ মাঠ, ছোট্ট জলা, বিশাল নগর, ব্যাস্ত রাজপথ, জটলা মুখর নৌ-বন্দর, দুসর পথ পেরিয়ে ছুটে চলে তারা। এদিকে কাল প্রবাহ পেরিয়ে বিকেলের ধূসর মেঘেদের ছায়ায় ছায়ায় দিগন্তে বাতাসের শরীরে ভেসে ভেসে চিলেরা খুঁজে যায় শিকার আর নিসঃঙ্গ ফিঙ্গেরা বাতাসের তোড়ে খুঁজে নেয় আলোক কীটদের। এদিকে কালোপ্রজাপতি বহু পথ পেরিয়ে তার আপন ঠিকানায় পৌঁছে ডানার ভাঁজ টেনে একটা শিলা খণ্ডের উপর দাঁড়ায়, আর তার সাথে রাণী কবুতর তার ডানা হাওয়ার উপর দৃঢ় ভর নিয়ে কালো প্রজাপতির পেছনে দাঁড়ায়। এদিকে রঙ্গিন প্রজাপতি প্রস্তর খণ্ডের চারপাশে উড়ে বেড়ায়। অতঃপর প্রস্তর খণ্ডের নিচে ছড়ানো উর্ণজাল রঙিন প্রজাপতির দৃষ্টিতে ধরা পড়ে। দীর্ঘ যাত্রার শেষে রাণী তার লাল চঞ্চু দিয়ে ডানার জড়তা কাটাতে মত্ত ।
দিবাকর তার প্রহর কাটিয়ে অচিনপুরে পারি জমিয়েছে। আর রাতের শরীরে দিগন্তে ঝুলে রয়েছে এক চিলতে চাঁদ, তার ম্রিয়মান আলোয় আধারিরা নীল জলের রূপ নেয়। কালো প্রজাপতি হঠাৎ তার রূপ পরিবর্তন করতে শুরু করে আর তার মোহন মায়ায় অন্ধ হয়ে যায় রাণী কবুতর। তার দৃষ্টিহীনতার অগোচরে কালো প্রজাপতি হিংস্র রূপ ধারণ করে রাণীকে হত্যা করে। দৃষ্টির নীম্নগামিতায় রঙিন প্রজাপতি দেখতে পায় রক্তিম উর্ণজাল আর কালো প্রজাপতি জালের উপর রক্ত চোষনে মত্ত ।
গোধুলী লগ্ন প্রায় আসন্ন ,দিগন্তের শেষ আলোক রশ্মিরা মেঘেদের সাথে আলিঙ্গনে মত্ত। ধুসর মেঘেরা তরঙ্গ দোলায় ভেসে ভেসে দূরের নিলিমায় পারি জমায় আর তার সহচর আলোক রশ্নিরা তাদের শরীর নিয়ে খেলে যায় বর্ণীল হলি খেলা। আষাঢ়ের আকাশচারি মেঘে- দের শরীর রূপান্তরিত হয় যুবতির দেহে। কৃষ্ণাঙ্গী যুবতির সু-ঢৌল স্তনে প্যাচ নিয়ে খাঁজ পরা কোমর বেয়ে নেমে গ্যাছে ধূসর শাড়ি। আর তার শরীরে ছিটিয়ে দেয়া হয়েছে ঁিসদুরের রঙ। কিন্তু হঠাৎ অদৃশ্য হয় সে লজ্জা রাঙ্গা মুখে। সুর্যের শেষ আলোটুকু ফুরালে বেগুনী পাহারের চুড়ায় নৃত্যরত ঈশ্বরের দেব শিশুরা খেলা জুরে দেয়। অতঃপর আঁধারের শরীর ফুড়ে ধরায় নেমে পরে অশরিরী কালো প্রেতাত্মার দল আর অদুরে দেব শিশুরা পারি জমায়্ সর্গ লোকে। আর্ এরই সাথে সাথে জম্ন নেয় এক কালোপ্রজাপতি।
ভোর।
অতল সমুদ্রের জলের শরীর বেয়ে উঠে পরে সুর্যটা। সদ্য যুবতি হয়ে ওটা হাঁসের পালকের শরীরে রাতের স্নিগ্ধতায় দূর দেশের সেই সপ্নের নাবিকের অঢেল বালোবাসায় জন্ম নেয়া অনল বিসর্জন দিতে নেমে পড়ে। অদুরে জলের বুকে দারিয়ে হীরের হাসিঁর অভিবাদন জানায় সুর্যটা। আর সে হাসি জলজ কনার বুকে ভেসে বেড়ায় অথৈ সাগরে। কালোপ্রজাপতি ও চলে আসে প্রাতের এই নৈসর্গিক পরিবেশের অংশ হয়ে। কুমারী তার স্নান সেরে উঠে পরে তীরে। কালোপ্রজাপতি আহ্বান জানায় :
হে ভোরের দেবী, আমি জানি তোমার সেই সপ্ননাবিকের সন্ধান। তুমি কি যাবে আমার সাথে? আমি তোমাকে নিয়ে যেতে পারি তার কাছে। কুমারী তার মোহন-মায়ার ভাষা বোঝে এবং তার মোহন মায়ায় সারা দেয়। কালো প্রজাপতি কুমারীকে তার শক্তিবলে কবুতরে রূপান্তরিত করে দেয়। একটি ধবধবে সাদা রাণী কবুতর পেখম তুলে নাচতে থাকে তার আকাঙ্খা পূর্ণতার জন্য। অতঃপর কালোপ্রজাপতি পথ-প্রদর্শকের ভ্থমিকায় মত্ত হয়ে উরে চলে। বিস্তীর্ন মাঠ, সবুজ বনাসী, পেরিয়ে ছুটে চলে তারা। আর তার সাথে সাথে কাল প্রবাহ শীতল বৈঠা হাতে নেমে যায় অথৈ গভীরে। অনেকটা পথ পেরিয়ে তারা নেমে পরে সবুজ বিস্তীর্ন একটা মাঠের ওপর। কালো প্রজাপতি ডানায় ভাজ নিয়ে মাটির ঢিপির উপর স্থীর হয়ে দারিয়ে থাকে। রাণী কবুতর তার পেখম মেলে ঢিপির চারপাশে সুর তুলে নেচে যায় মৌন আকাঙ্খা পূর্ণতার আশায়। পাশেই কেয়া ফুলের ঝোপ, প্রতিটি মুকুরে ফুটে আছে অজস্র ফুল। একটি রঙিন শাবক প্রজাপতি উড়ে উড়ে তার মধু আহরনে মত্ত। হঠাৎ তার রাণী কবুতরের নাচ দৃষ্টিগোচরিত হয় মধু আহরন ভুলে উড়ে উড়ে তার পাশে চলে আশে সে। অতঃপর কালো প্রজাপতি পথ ক্লান্তির বিশ্রাম সেড়ে আবারো ডানার ভাজ খোলো। রাণী কবুতর ও রঙিন প্রজাপতি উড়ে চলে তার পিছু পিছু। বিসতৃর্ণ মাঠ, ছোট্ট জলা, বিশাল নগর, ব্যাস্ত রাজপথ, জটলা মুখর নৌ-বন্দর, দুসর পথ পেরিয়ে ছুটে চলে তারা। এদিকে কাল প্রবাহ পেরিয়ে বিকেলের ধূসর মেঘেদের ছায়ায় ছায়ায় দিগন্তে বাতাসের শরীরে ভেসে ভেসে চিলেরা খুঁজে যায় শিকার আর নিসঃঙ্গ ফিঙ্গেরা বাতাসের তোড়ে খুঁজে নেয় আলোক কীটদের। এদিকে কালোপ্রজাপতি বহু পথ পেরিয়ে তার আপন ঠিকানায় পৌঁছে ডানার ভাঁজ টেনে একটা শিলা খণ্ডের উপর দাঁড়ায়, আর তার সাথে রাণী কবুতর তার ডানা হাওয়ার উপর দৃঢ় ভর নিয়ে কালো প্রজাপতির পেছনে দাঁড়ায়। এদিকে রঙ্গিন প্রজাপতি প্রস্তর খণ্ডের চারপাশে উড়ে বেড়ায়। অতঃপর প্রস্তর খণ্ডের নিচে ছড়ানো উর্ণজাল রঙিন প্রজাপতির দৃষ্টিতে ধরা পড়ে। দীর্ঘ যাত্রার শেষে রাণী তার লাল চঞ্চু দিয়ে ডানার জড়তা কাটাতে মত্ত ।
দিবাকর তার প্রহর কাটিয়ে অচিনপুরে পারি জমিয়েছে। আর রাতের শরীরে দিগন্তে ঝুলে রয়েছে এক চিলতে চাঁদ, তার ম্রিয়মান আলোয় আধারিরা নীল জলের রূপ নেয়। কালো প্রজাপতি হঠাৎ তার রূপ পরিবর্তন করতে শুরু করে আর তার মোহন মায়ায় অন্ধ হয়ে যায় রাণী কবুতর। তার দৃষ্টিহীনতার অগোচরে কালো প্রজাপতি হিংস্র রূপ ধারণ করে রাণীকে হত্যা করে। দৃষ্টির নীম্নগামিতায় রঙিন প্রজাপতি দেখতে পায় রক্তিম উর্ণজাল আর কালো প্রজাপতি জালের উপর রক্ত চোষনে মত্ত ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




