somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিলিস্তিন সংহতি মিছিল- ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭, সিডনী। (ছবি ব্লগ)

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকে (১৭ ডিসেম্বর) সিডনীতে জেরুসালেম নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে র‍্যালি। দুপুর একটায় শুরু। গত কয়েকদিনে অস্ট্রেলিয়ার বাকি সব রাজ্যের রাজধানীতেও একইরকম কর্মসূচী পালিত হয়েছে।


বেলা তখন ১ টা ৪৫। অস্ট্রেলিয়ান প্রধান বিরোধী দল, লেবার পার্টির প্রতিনিধি (নীল গেঞ্জি পরা) সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেয়া শেষ করলেন। যেই ভবনটির সিঁড়িকে মঞ্চ হিসাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে সেটি হল সিডনী টাউন হল।


টাউন হল চত্বরে সমবেত নানা জাতী ও বর্ণের জনগন, স্বাভাবিকভাবেই অধিকাংশ ফিলিস্তিনি বা আরব। সব মিলিয়ে ৪-৫ শত লোক হয়েছিল। অর্ধেকই মনে হল নারী।

আরও জনগণ।

সংহতি জানাতে ব্যানার নিয়ে হাজির কিছু ইহুদী মহিলা। যেই দুইজন ব্যানার ধরে আছে তারা ছাড়াও ছবিতে একদম ডানে যে 'মাসলম্যান' মহিলা সেও এদের সাথের। ব্যানারে ইংরেজিতে লেখা "দখলদারীত্বের বিপক্ষে ইহুদিরা" (আরবী এবং হিব্রুতেও সম্ভবতও একই জিনিস লেখা)। এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আরও কিছু ইহুদী থেকে থাকতে পারেন।

বক্তৃতার পালা শেষে মিছিল শুরু হল। দুজন পথচারী চাইনিজকে দেখা যাচ্ছে। বেচারারা সম্ভবতও শপিং এ যাওয়ার পথে একটু দেরি হচ্ছে দেখে চিন্তিত। আর ১৯৮৯ সালে বেইজিং এ তিয়েনানমেন স্কোয়ারে কম্যুনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের উপর ট্যাংক উঠিয়ে দেয়ার স্মৃতি মনে থাকলে মিছিল টিছিল থেকে থেকে দূরে থাকারই কথা।

শহরের প্রাণকেন্দ্রে ব্যাস্ত রাস্তা ফাঁকা করে রেখেছে পুলিশ।

ল্যাটিন/ সাউথ আমেরিকান বামপন্থী দলের প্রতিনিধিরা হাজির সমর্থন জানাতে। প্যালেস্টাইন এর মুক্তির সংগ্রামে অমুসলিমদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী লড়াই করেছে ও সমর্থন দিয়েছে বামপন্থীরাই (লেফটিস্ট/ সোশ্যালিস্ট / সমাজবাদী মোটা দাগে যাই বলেন না কেন)। বাংলাদেশের চিড়িয়াদের অবশ্য চিত্র ভিন্ন। এই ব্যাপারে বেশি হাঊকাঊ করলে হুজুরদের সাথে তাদের গলা মিলে যাবে, লোকে তখন তাদেরকেও ক্ষেত বলবে- এই ভয়েই মনে হয় উনারা একটু নীরব থাকেন।

রাস্তার পাশে তিন তলা অ্যাপল ষ্টোরের সামনেটা পুরাই কাঁচের। সেখান থেকে লোকজন মিছিল দেখছে।

রাস্তার উপর যে তোরণ দেখা যাচ্ছে এগুলো হোলো ক্রিসমাস (২৫শে ডিসেম্বর) উপলক্ষে আলোকসজ্জা/ সৌন্দর্যবর্ধন। খুব একটা সুন্দর মনে হল না। হয়তো রাতের বেলা দেখতে একটু ভালো লাগবে। ব্যানার এর পিছনে হলুদ জ্যাকেট পরা যেই লোকটি উলটো দিকে ঘুরে (হ্যান্ডমাইকে স্লোগান দিচ্ছে), সে হল এই সমাবেশের মাঠপর্যায়ের প্রধান নেতাদের একজন। খ্রিস্টান ঘরের ছেলে, ভার্সিটি মাত্র পাশ করেছে বা এখনও পড়ছে এরকম কিছু। গত বছর আরেক মিছিলের শেষে কথা হয়েছিল। প্রথম ছবিতে মঞ্চেও তাঁকে দেখতে পাবেন।

মিছিল একটু থামিয়ে পথচারী পারাপার করিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। এই ফাঁকে হয়তো সামনের রাস্তাও খালি করছে। এই ঘোড়াগুলো কি খেয়ে হাতির মত বড় হয় কে জানে। অথবা অন্যভাবে ভাবলে এই হাতিগুলো কি মেখে ঘোড়ার মত সুন্দর হয়! যাই হোক দাঙ্গা লাগলে সেটা থামানোর জন্য এই জিনিস মনে হয় ভালই কার্যকরী (কম জনসংখ্যার দেশে)।

রাস্তা খালি করা হয়েছে, মিছিল চলছে।


মিছিল মার্টিন প্লেস এ পৌঁছেছে। এখন বোঝা যাচ্ছে গন্তব্য কি হতে পারে। আমেরিকান এমব্যাসি আশে পাশেই কোথাও।

বাকিটা আরেকটি পোস্ট এ দেয়ার ইচ্ছা আছে, সময় পেলে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×