সোমার হাসিমুখ দেখলেয় আমি সবগুলিয়ে ফেলি পুরো পৃথীবি ভুলে যাই। পাতলা গোলাপের পাপড়ির মত ঐঠোটের হাসি দেখলেয় আমার বুকে ঝর ওঠে। আজো উঠছে। ঘৃণার ঝড়, ক্রোধের ঝড়, অপমান-অভীমানের ঝর। একদিন ঐ হাসি দেখার জন্য আমি পাগল হয়ে থাকতাম আজ কেনো এতোটা কুতসিত লাগছে! সোমা আমাকে দেখে ঠোঁটের হাসি আর একটু প্রসস্থ করে বললো
: আজ এতো তারাতারি এলে?
আমি হাসি ফিরিয়ে দিয়ে বললাম,
: তুমিওতো তারাতারি এসেছো
সোমা কৈফত দেওয়ার ভংগিতে বললো
: তোমাকে তো বলা হয়নি, আজ আমি অফিস যায়নি, মার ওখানে গেছিলাম বাবা একটু অসুস্থতো তাই।
হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন, চোখের দিকে তাকিয়ে মিথ্যা বলা যায় না, মিথ্যা বলতে হয় অন্য দিকে তাকিয়ে" সোমা অন্যদিকে তাকিয়ে কথা বলছে অথচো কি আত্তবিশ্বাসের সাথে বলছে। সোমার বাবা অসুস্থ সত্যি কিন্তু সোমার তা জানার কথা না, সোমার ফোন বন্ধ বলে সোমার মা আমাকে ফোন করেছিলো। আমিও কয়েকবার ট্রাই করেছি সুইচ অফ, সোমার অফিসে গেছিলাম পাইনি। আমি সোমার হাত ধরে কাছে টানলাম, ওর চোখে চোখ রেখে বললাম
: আচ্ছা, ধরো তুমি কনোদিন জানতে পারলে আমার অন্য কারো সাথে সম্পর্ক আছে, তখন কি করবে?
সোমা হেসে বললো
: তুমি কখনও এমন করবে না,
আমি বললাম
: ধরো কখনও এমন হলো, তাহলে তুমি কি করবে?
সোমা এবার একটু চিন্তায় পড়ে গেল, আমি অর মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। ঐ মুখের দিকে তাকিয়ে কত রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি । সোমার পাতলা ফিনফিনে ঠোটটা নড়ে উঠলো, সময় অসময়ে কতবার যে ঐ ঠোটে ডুব দিয়েছি আজ ছিড়ে ফেলতে ইচ্ছা করছে।
সোমা বললো
: তুমি যদি তাকে নিয়ে থাকতে চাও আমি বাঁধা দেব না কিন্তু আমি জানি তুমি ফিরবে, আমার কাছেই ফিরবে।
সোমার আত্তবিশ্বাস দেখে আমি আরও একবার চমকে উঠলাম
: তখন কি তুমি আমায় গ্রহণ করবে?
সোমা দিব্যি হেসে বললো
: হ্যা করবো।
আমি সোমাকে বুকের মাঝে জরিয়ে ধরে বললাম
: তুমি অনেক মহৎ সোমা কিন্তু সরি, আমি এতো মহৎ হতে পারলাম না।
আমার কথা শুনে সোমা যেনও চমকে উঠলো আমার বাহু বন্ধন থেকে ছুটতে চাইলো। আমি আর দেরী না করে সদ্য কিনে আনা চাকুটা সোমার নরম পেটে ডুকিয়ে দিলাম। সোমার পেট ফুঁড়ে ভেতরে ডুকে গেল কোনো বাঁধা ছাড়ায়। আমি সোমার কানের কাছে মুখটা নিয়ে গিয়ে বললাম
: আজ দুপুরে তোমাকে আর রহিম কে আমি হোটেলে ডুকতে দেখেছি।
সোমা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে ঐ চোখে অবিশ্বাস, অপরাধ, ঘৃণা থাকলেও ভালোবাসা নেই। সোমার পেট থেকে ফুলকি দিয়ে গরম রক্ত বেরোচ্ছে আমি রক্তের নেশায় পাগল হয়ে গেলাম। চাকুটা বের করে আর একটা পোচ দিলাম। সোমা একটু কোকিয়ে উঠলো।
ওর দেহ নিথর হয়ে পড়ছে লাল রক্ত জমাট বাঁধছে, আমার ভীষণ সিগারেটের তৃষ্ণা পাচ্ছে। সোমার কথায় আমি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিছিলাম। ও বলে ছিলো ঐ বিষ যদি তোমার ঠোটে থাকে তাহলে আমার ঠোটে ঠোট রাখতে পারবে না। সোমার দেহ মেঝেতে পড়ে আছে আমি ওর হাত ধরে বসে আছি। সোমা একটুও নড়-চড়া করছে না, আচ্ছা মেয়েটা কি মারা গেছে? বুঝতে পারছি না! নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ওকে ছেড়ে যেতে পারছিনা, মেয়েটা কে আমি কথা দিছিলাম শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত পাশে থাকবো, কথার বরখেলাপ করতে পারি না!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:২৬