দেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিসে মহিলা ও মেয়েদের বোরকা পরতে বাধ্য না করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মেয়েদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ থেকে বিরত না রাখতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বপ্রণোদিত (সুয়োমোটো) হয়ে এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অফিসে মহিলা ও মেয়েদের বোরকা পরতে বাধ্য করা এবং খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, সমাজকল্যাণ-সচিব, মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের আজকের নির্দেশ নিশ্চিত করতেও আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, নাটোরের রানী ভবানী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হককে ২৬ আগস্ট আদালতে হাজির হয়ে কারণ ব্যাখ্যারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বোরকা না পরলে আসতে মানা- শিরোনামে একটি দৈনিক পত্রিকায় আজ একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে নাটোরের রানী ভবানী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক তার কলেজের মহিলা শিক্ষার্থীদের বোরকা পরে আসতে বলেন, অন্যথায় আসার দরকার নেই বলে মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে তিনি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে মেয়েদের বিরত রাখেন।
সংবাদটি আদালতের দৃষ্টিতে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহবুব শফিক এবং কে এম হাফিজুল আলম।
তারা বলেন, পোশাক নির্বাচন করা ব্যক্তি স্বাধীনতার বিষয়। এ ব্যাপারে জোর করা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়াও বৈষম্যমূলক।
প্রকাশিত ওই খবরের পরিপ্রেক্ষিতে এবং এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে তারা আবেদন করেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




