মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের খুবই প্রিয় একটা শ্লোগান ছিল "তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা-মেঘনা-যমুনা"
স্বাধীনতার পর তিন যুগের অধিক পার হল। পদ্মা-মেঘনার পানি বহুদূর গড়িয়ে গেছে,সম্ভাবনা-আশংকার দোলাচলে বহুদিন কাটলো।আমি যুদ্ধ দেখিনি ,জানিনা যুদ্ধের ভয়াবহতা।তবুও আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি যে আশায় সেদিন বাংলা মায়ের শান্তিপ্রিয় ছেলেরা অস্ত্র হাতে নিয়েছিলো তার কিছুই পূরণ হয়নি, একটি ভূমির নাম কি স্বাধীনতা বা একটি দেশের নাম?
আমরা পারিনি আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য ঠিকানা নিয়ে আসতে , পারিনি সব নাগরিকের জন্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে , ভালোবাসার পতাকাতে আজ শকুনের ছায়া। আমি খুবই নিরীহ একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র, সৌভাগ্যক্রমে আমি এমন এক প্রতিষ্ঠানে পড়ি তাতে অন্য সব জায়গার মত নোংরা রাজনীতির চর্চা নেই বললেই চলে। তাই ক্ষমতার পালাবদল বা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আমাকে কখনো খুব একটা নাড়া দেয়নি । পত্রিকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস বা মৃত্যুর সংবাদ অন্য সব শান্তিপ্রিয় নাগরিকের মতই আমার গা সওয়া হয়ে গেছে, পত্রিকায় পড়ি আর ভাবি এসব তো স্বাভাবিক
ইদানীং আমার নতুন নিত্যনৈমিত্তিক কাজ হল সাম...ইন পড়া, নানা মনের মানুষের মিলনস্থল,নানা মতের কথা শুনি নিজের মত দেওয়া হয়নি কখনো। তবে আজ কিছু পোষ্ট-মন্তব্য পড়ে খুব খারাপ লাগলো মনে হলো ধিক এ মানবজন্মকে, একজন মৃত মানুষকে নিয়ে এতো জঘন্য রাজনীতি করা এতো নিচু চিন্তা করার মত শিক্ষিত(?) লোক জন্ম দেওয়ার জন্যই কি আজ আমরা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে একজন ছাত্র মারা গেছে আর আমরা মত প্রকাশ করছি "জান্নাতবাসী" বা "মারা ঠিক হয়েছে"। ধিক আমাদের ,আমরা ভুলে গেছি আমরা মানুষ। লোকটা না হয় একটা রাজনৈতিক মতবাদের অনুসারী ছিলো। তার জন্য তাকে জীবন দিতে হবে কেন? আমরা এই অসুস্থ রাজনীতির কোনো নিন্দা না করে আমরা পক্ষ-বিপক্ষে মত চালাচালি করছি।
আমি তাই ধিক্কার জানাই এই দেশের অসুস্থ রাজনীতিকে
আর ক্ষমা চাই নতুন প্রজন্মের কাছে যাদের জন্য আমরা রেখে যাব একটি অসুস্থ রাজনীতি-লাশের রাজনীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অনিরাপদ দেশ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



