আমার সাধ্যে আর কুলোল না।
ধ্বংসটা ঠেকাতে পারলাম না।
তার উচ্চাকাংখার আগুন আমি নেভাতে পারিনি।
সন্তানের কথা, এতদিনের সংসারের কথা, নিজেদের বয়সের কথা; কোন কিছু দিয়েই নিয়ন্ত্রনে আনতে পারিনি সেই আগুন। আমাকে পোড়াল, আমার সরল জীবনকে পোড়াল। সবাইকে ছেড়ে যে ছোট্ট বউ-বাচ্চা নিয়ে যে সংসারটা আগলে ছিলাম সেটাও পুড়ল।
সে কতখানি পুড়ল আমি জানি না।
সে মুক্ত।
তার মনে হয়ত একটা খেদ আছে যে আমার মত পোষ মানা একটা মানুষ কিভাবে, কার প্ররোচনায় তার অপরিচিত হয়ে গেলাম। জানি না।
সব কিছু মেনে নিয়ে নিজের মনের জ্বালা মনেই দাফর করে সংসার করেই যাচ্ছিলাম। একদিন আমাকে বলল যে আমাদের নাকি আলাদা থাকতে হবে। আমার সাথে থাকতে তার আর ভাল লাগছে না। আমি জিজ্ঞেস করলাম যে আমাকে কি করতে হবে। সে বলল আমার বেতনের ৬০% টাকা তাকে দিয়ে দিতে হবে। আমি বললাম আর তোমার বিভিন্ন বিলাসী চাহিদার জন্য যে ব্যংক থেকে যে লোনগুলো নিয়েছিলাম যার কোন কিছুই আমার দরকার ছিল না; সেই লোনগুলোর মাসিক কিস্তি দিয়েই তো হাতে যা থাকে তা দিয়ে কোনমতে সংসার চলছে। সেই কিস্তিগুলো কি হবে।
এরপর তাকে যতই মানা করতাম কাজের মেয়েক মারামারির দরকার নাই। না পোষালে বিদায় করে দিতে বলতাম। সে শুনত না। কাজের মেয়ের কান্নাকাটিতে আশ-পাশের লোক অভিযোগ করত। একদিন মেয়েটাকে চড় দিয়ে কান থেকে রক্ত বের করে ফেলল। মেয়ের চিৎকারে মানুষ জন ছুটে আসল। ইতমধ্যে কে যেন থানায় খবর দেয়াতে পুলিশও চলে আসল। তার সম্ভ্রম বাঁচাতে আমি প্রধান আসামী হলাম। সেই জের এখনো টানছি। ঐ কেসের জন্য আমার প্রায় দেড় লাখ টাকা লোন করেছিলাম। সেটাও টানছি। এসব স্মরণ করিয়ে দেয়ায় সে ক্ষেপে গেল। তার শুভাকাংখীদের দ্বারা আমাকে জোর করিয়ে একটা সেপারাশান দলিলে সই করতে বলল। সেই শুভাকাংখীদের মধ্যে একজন রাজনৈতিক নেতাও ছিল।
আমি কৌশলে পালালাম।
তারপর বড় দুঃখে তাকে তালাক দিলাম।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



