somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে খোলা চিঠি....

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"আগামী ১৪ জানুয়ারী ‘সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ’, ‘সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম’, ‘সাইয়্যিদে ঈদে আকবর’ ‘পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’।
এ মুবারক দিনটির যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ভাবমর্যাদা রক্ষার্থে তথা বৎসরের সর্বশ্রেষ্ঠ এ মুবারক দিনটি সর্বোত্তমভাবে পালনের জন্য সর্বোচ্চ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা করা প্রসঙ্গে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের
সব বিভাগীয় কমিশনার সাহেব এবং সব জেলার ডিসি সাহেব এবং এসপি সাহেবদের প্রতি উদাত্ত আহবান
"

মুহতারাম,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অভ্যুদয়ের সঙ্গে যাদের কথা অনিবার্যভাবে আসে তারা হলেন, ত্রিশ লাখ শহীদ।
প্রসঙ্গত এ ‘শহীদ’ শব্দটি সর্বোতভাবেই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ধর্মীয় বিশ্বাস, অনুভূতি ও আবেগ থেকে উৎসারিত।
অর্থাৎ এদেশের উৎপত্তির সাথে পরিপূর্ণভাবে জড়িয়ে আছে সম্মানিত ইসলামী বিশ্বাস ও অনুষঙ্গ। এদেশের স¦াধীনতার প্রেক্ষাপট সম্মানিত ইসলামী অনুভূতি ও চেতনা।
যে ’৭০-এর নির্বাচনের রায় যালিম পাকিরা প্রত্যাখ্যান করেছিল;
যে ’৭০-এর নির্বাচনে এদেশের প্রায় ৯৯ ভাগ জনগণ বঙ্গবন্ধুকে সমর্থন দিয়েছিল-
সে নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল, “পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না।” অর্থাৎ ঐতিহাসিকভাবেই ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার’ এদেশের জন্য এক অনিবার্য ও অবিচ্ছেদ্য বিষয়।
আর সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে বৎসরের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোচ্চ ফযীলতযুক্ত এবং মহাগুরুত্ববহ ও ধর্মীয় ভাবমর্যাদার দিন হচ্ছে-
“সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ।” ঈসায়ী তারিখ হিসেবে আগামী ১৪ জানুয়ারি, রোজ মঙ্গলবার।

মুহতারাম,
দিবস পালনের ঐতিহ্য ও রীতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে বিশেষভাবে রয়েছে। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস, ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬শে মার্চ স¦াধীনতা দিবস, ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদত দিবসসহ অনেক দিবসই রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হয়। সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়, পালন করা হয়।
সঙ্গতকারণেই এতসব দিবস পালনের অভিজ্ঞতার আলোকে, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোচ্চ ফযীলতযুক্ত দিন- সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার সর্বোচ্চ গুরুত্ব, প্রাধান্য, ভাবমর্যাদা এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার সাথে পালনের দাবি রাখে।

মুহতারাম,
এদেশের শতকরা ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমান। এদেশের রাষ্ট্রধর্ম পবিত্র দ্বীন ইসলাম। আর মুসলমান বা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মূলকথা হলো- “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মাদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।”
বলাবাহুল্য, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ আদৌ উচ্চারিত হতো না, যদি- ‘মুহম্মাদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উচ্চারণ না হতো।
অর্থাৎ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ দ্বীন পবিত্র ইসলাম উনার মূল হচ্ছেন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।
আর উনার প্রতি সব আবেগ, মুহব্বত, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, আদব জানানোর মূল মাধ্যম হচ্ছে উনার আগমন উনার দিন- “সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ” উনাকে যথাযথভাবে পালন।

মুহতারাম,
“সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ” উনার শান ও মান স¦াধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু গভীরভাবে বিশ্বাস করতেন বলেই তিনি এদিনে সরকারি ছুটির ব্যবস্থা করেছেন। বঙ্গভবনে পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার পাঠের ব্যবস্থা করেছেন।
এবং এ ধর্মীয় বিশ্বাস ও চেতনা থেকেই স¦াধীনতা উত্তরকাল হতেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সব স্কুল-কলেজে “সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ” পালন করা হয়।
পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে তিলাওয়াত, পবিত্র হামদে বারী তায়ালা, পবিত্র নাতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রচনা প্রতিযোগিতা, পবিত্র মীলাদ শরীফ উনাদের পাঠ ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়।

মুহতারাম,
বিষয়টি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয় কিছুটা হলেও করে থাকে। বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসলামী বইমেলা, মাসব্যাপী ওয়াজ মাহফিলসহ বিভিন্ন সম্মানিত ইসলামী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
মুহতারাম,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয় তথা ইসলামিক ফাউন্ডেশনও এ মহান দিবস উপলক্ষে যা করে থাকে তা সত্যিকার দায়িত্বের তুলনায় নামকাওয়াস্তে মাত্র। কারণ, যিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করা না হলে হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনিসহ কোনো হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সৃষ্টি করা হতো না এবং উনাদের বিশেষ কোনো ঘটনা মুবারকও সংঘটিত হতো না।
শুধু তাই নয়, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন না হলে- আসমান-যমীন, লওহো-কলম, আরশ-কুরসী, জিন-ইনসান, হযরত ফিরেশতা আলাইহিমুস সালাম, বেহেশত-দোযখ এক কথায় কায়িনাতের কোনো কিছুই সৃষ্টি হতো না।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনাকে সৃষ্টির উদ্দেশ্য না থাকলে আমি আমার রুবুবিয়্যতই প্রকাশ করতাম না।” (কানযুল উম্মাল)
তাই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীন মুবারক উনার মধ্যে আগমন তথা পবিত্র বিলাদত শরীফ ও পবিত্র বিছাল শরীফ উনার দিন ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ অর্থাৎ “সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ” কতো মহান, কতো বড় খুশি বা পবিত্র ঈদ উনার দিন হবে তা ভাষায় বর্ণনার অযোগ্য। আর সে মুবারক দিনটি উপলক্ষে যদি যথাযথ আড়ম্বর, জাঁকজমক ও সর্বোচ্চ আয়োজনের সাথে খুশি প্রকাশ না করা হয়; তাহলে যে কতো কঠিন শাস্তির বিষয় হবে, তা চিন্তা-ফিকিরের বিষয়।
সঙ্গতকারণেই সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার মধ্যে এ মুবারক দিনটিকে “সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর” বলে ঘোষণা করা হয়েছে এবং এ ঈদ পালন বা উদযাপন করাকে ফরযে আইন বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি স¦ীয় অনুগ্রহ ও রহমত হিসেবে উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন, সেজন্যে তারা যেনো খুশি প্রকাশ করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা সেসব কিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।” (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হযরত জিবরীল আমীন আলাইহিস সালাম তিনি আমার নিকট আগমন করে বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে এই বলে পাঠিয়েছেন যে, আপনি যদি না হতেন তবে আমি জান্নাত ও জাহান্নাম কিছুই সৃষ্টি করতাম না।” (দায়লামী, কানযুল উম্মাল)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত মাখলূকাত সৃষ্টি করেছেন তথা মহান আল্লাহ পাক উনার রুবুবিয়্যতই প্রকাশ করেছেন মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা “সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ” উনার উপলক্ষে ঈদ পালন করার উদ্দেশ্যে।

মুহতারাম,
এদেশের ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমান। এদেশের রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র ইসলাম। আর মুসলমান বা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মূলকথা হলো- “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মাদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।”
বলাবাহুল্য, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ আদৌ উচ্চারিত হতো না, যদি- ‘মুহম্মাদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উচ্চারণ না হতো।
অর্থাৎ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ দ্বীন ইসলাম উনার মূলই হচ্ছেন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। (সুবহানাল্লাহ)
আর উনার প্রতি সব আবেগ, মুহব্বত, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, আদব জানানোর মূল মাধ্যম হচ্ছেন উনার পবিত্রতম মহিমান্বিত বিলাদত শরীফ তথা উনার আগমনের দিন- “সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” তথা “সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ” যথাযথভাবে পালন।

মুহতারাম,
বুখারী শরীফ, মিশকাত শরীফ, মাছাহাবীহুস সুন্নাহ শরীফ ইত্যাদি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কিতাবসমূহে বর্ণিত রয়েছে, হযরত আবূ সায়ীদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে তোমরা গাল-মন্দ, সমালোচনা বা দোষারোপ করো না। তোমাদের কেউ যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স¦র্ণ মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান করো, তবুও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আমার খিদমতে এক মুদ (১৪ ছটাক) বা অর্ধ মুদ (৭ ছটাক) গম হাদিয়া করে যে ফযীলত অর্জন করেছেন তার সমপরিমাণ ফযীলত তোমরা অর্জন করতে পারবে না।” (সুবহানাল্লাহ)
কাজেই, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য হাদিয়া করে যে বেমেছাল ফযীলত হাছিল করেছেন পরবর্তী উম্মত যদি সেই ফযীলতের অনুরূপ ফযীলত হাছিল করতে চায় তাহলে তাদের কর্তব্য হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে সর্বোচ্চ তাওফীক বা সাধ্য সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যয় করা।

মুহতারাম,
বিশ্ব সমাদৃত ও সুপ্রসিদ্ধ ‘আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম’ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এক দিরহাম ব্যয় করবে সে জান্নাতে আমার বন্ধু হয়ে থাকবে।” সুবহানাল্লাহ!
আমীরুল মু’মিনীন হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এক দিরহাম খরচ করলো, সে যেনো বদর ও হুনাইন যুদ্ধে শরীক থাকলো।” সুবহানাল্লাহ!

মুহতারাম,
এ উপমহাদেশে ১৭৭৩ সালে ইংরেজ প্রবর্তিত ‘জেলা’ একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি জেলার ডিসি সাহেব এবং এসপি সাহেবও আলাদাভাবে এক, একটা প্রতিষ্ঠান। জেলার ডিসি/এসপি সাহেব এখনও সরকারের স্পর্শকাতর অঙ্গ তথা হাত, চোখ ও কান হিসেবে কাজ করে।
মুহতারাম,
আপনারা অবগত আছেন, জেলা প্রশাসন তথা পুলিশ প্রশাসন হিসেবে আপনাদের কর্তব্য হলো, ভালো লোক খুঁজে বের করা। ভালো লোক তৈরি করা এবং তাদেরকে হাইলাইট করা। আর সেক্ষেত্রে অনিবার্য হলো, তাদের মধ্যে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মূল্যবোধ সঞ্চার করা।
প্রসঙ্গত পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মূল্যবোধের মূল হলো- অত্যন্ত জওক-শওক, মুহব্বত, আবেগ, অনুভূতির সাথে “সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ” উনাকে পালন করা।
মুহতারাম,
আপনারা অবগত আছেন যে, প্রশাসন স¦তঃস্ফূর্ত গতিতে চলে; যদি জনগণ সচেতন হয়। জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। আর একইভাবে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুফল পাওয়া যাবে যদি জনগণের মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিফলিত করা যায়। আবারো বলতে হয়, এটা তখনই সার্থক হবে; যখন জনগণের মাঝে অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে, প্রগাঢ় মুহব্বত, গভীর আবেগের সাথে “সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ” উনাকে পালনের চেতনা ও প্রবণতা তৈরি করা যাবে।

মুহতারাম,
আপনারা জানেন, জেলা প্রশাসন চালাতে আপনাদের জনবল, লজিস্টিক সাপোর্ট কত কম। পুলিশ প্রশাসনেও একই কথা। দেশের প্রায় পনেরশ’ লোকের জন্য মাত্র একজন পুলিশ। আর এ অবস্থায় দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ইউরোপ-আমেরিকার তুলনায় অনেক ভালো। মূলত মুসলমান উনাদের দেশ হিসেবে মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত এবং আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রহমতই এর পেছনে একমাত্র কারণ।
সঙ্গতকারণেই আবারো বলতে হয় যে, এ রহমত আরো লক্ষ-কোটি গুণ বৃদ্ধি পাবে; যদি যথাযথ মর্যাদা শান-শওকত, জওক-শওক, মুহব্বতের সাথে তথা বিপুল ব্যয় করে “সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পালন তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ” করা করা হয়।

মুহতারাম,
জেলা প্রশাসন অথবা পুলিশ প্রশাসন হিসেবে সরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও আপনারা প্রায় পাঁচশত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি অথবা সহসভাপতি।
অপরদিকে ডিসি সাহেব হিসেবে আপনার জেলায় রয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, জেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা আনসার অ্যাডজুটেন্ট, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, জেলা সঞ্চয় কর্মকর্তা, জেলা সমবায় কর্মকর্তা, জেলা কাস্টম সুপারিনটেনডেন্ট, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, নির্বাহী প্রকৌশলী গণপূর্ত বিভাগ, নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক ও জনপথ, নির্বাহী প্রকৌশলী জনস¦াস্থ্য প্রকৌশল, নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, নির্বাহী প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ড, সিভিল সার্জন, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, উপ-কর কমিশনার, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, উপ-পরিচালক স¦াস্থ্য পরিকল্পনা, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, জেলা জজ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ সচিব, জেলা পরিষদ ইঞ্জিনিয়ার,জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা, চীফ জুট পরিদর্শন, প্রজেক্ট ডাইরেক্টর বিআরডিবি, জেলা রেজিস্ট্রার, শিশু একাডেমী, প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাঝারি শহর সমিতি, সহকারী কমিশনার (সাধারণ শাখা), আলিয়া মাদরাসা, শিশু একাডেমী, প্রাথমিক গণশিক্ষা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ।

মুহতারাম,
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘প্রত্যেকেই রক্ষক এবং তাকে তার রক্ষিত বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।’ এ আলোকে সঙ্গতকারণেই বলতে হয়, আপনাদের সক্রিয় সহযোগিতায়, উৎসাহে, পরামর্শে ও বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতায় উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বিপুল খরচ করে, ব্যাপক জাঁকজমক করে যথাযথভাবে “সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ” উনাকে পালন করতে পারে।
একইভাবে আপনাদের সরাসরি নির্দেশে, প্রত্যেক ইউএনও, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জেলা পুলিশ লাইনস, প্রত্যেক অফিসার ইনচার্জ, সব সামাজিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির মাধ্যমে গোটা জেলাবাসীকে আপনারা যথাযথ আদব, মুহব্বতের সাথে “সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ” উনাকে সার্থকভাবে পালন করতে পারেন।

মুহতারাম,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা “সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ” উপলক্ষে সরকারের প্রতিও আপনাদের মাঝে কিছু করণীয় রয়েছে।

মুহতারাম,
সরকারের প্রতি আপনাদের কর্তব্য, আসন্ন সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ তথা “সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ” দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য সর্বোচ্চ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সর্বাধিক আয়োজনের জন্য বিশেষ দাবি পেশ করা।
মূলত এ দিনের সম্মানে সব হারাম কাজ বন্ধ করে সর্বাত্মকভাবে আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান ফুটিয়ে তোলার নিবেদন করা। উনার প্রতি মুহব্বত প্রকাশ করা, উনার আদর্শ অনুসরণ করা তথা সুন্নতসমূহ পালন করার জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার জন্য জোরালো আবেদন করা।

মুহতারাম,
আপনারা অবগত আছেন, মহাজোটের আগামী ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনী ইশতেহারের ২০(২) অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে, “পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের পরিপন্থী কোনো আইন প্রণয়ন করা হবে না। ”।

মুহতারাম,
যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে উল্লেখ্য যে, ৯৭ ভাগ দেশবাসী মুসলমানের ধর্ম বা দ্বীন ‘পবিত্র ইসলাম’ উনার শিক্ষা ও মূল্যবোধ হলো, সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা, আবেগ ও অনুভূতি দিয়ে সর্বাধিক ব্যয় করে সবচেয়ে প্রাধান্য ও গুরুত্ব এবং মহা আড়ম্বর ও জাঁকজমকের সাথে
‘সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ,
সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম,
সাইয়্যিদে ঈদে আকবর
বা পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা ‘সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ’ সরকারি ও বেসরকারিভাবে পালন করা।
সঙ্গতকারণেই সরকারের উচিত- এ বিষয়ে যথাযথ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূর্ণভাবে পূরণ করা। ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করা। ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা। ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষণ করা।
মহান আল্লাহ পাক তিনি কবুল করুন। তাওফীক দান করুন। গায়েবী মদদ করুন। (আমীন)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:০১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আইনের ফাঁকফোকর-০৩

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×