শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
পেপার হাতে ড্রোয়িং রুমে
বড় নেতায় বসা
পড়ছে পেপার খাচ্ছে মুখে
পোলাও, মাংস, শশা।
বলছে চামচা, গাতকালকে
বেঁধে গন্ডোগোল
অনেক লোকে অক্কা পেয়ে
ছাড়ছে মায়ের কোল।
অনেক নাকি হাত পা ভেঙে
হাসপাতালে আছে
বিনা চিকিৎসায় ধুঁকছে তারা
টাকা নাইকো কাছে।
দেশের লোকে সেই ঘটনায়
দিচ্ছে নাকি দোষ
আমজনতার বুকের মাঝে
ফুঁসছে নাকি রোষ!
দিচ্ছে গালি করছে মিছিল
করছে আন্দোলন
সকল হত্যার বিচার করলে
তবেই থামবে রণ।
মোদের দলের কিছু নেতা
হচ্ছে নাকি খুনি?
বলছে নেতায়, এসব কথা
কর্ণে নাহি শুনি।
গতকালকে গুদাম থেকে
মাল হয়েছে চুরি
দলের লোকে করছে নাকি
প্রমাণ ভুরি ভুরি।
সবাই মিলে দল বেঁধেছে
করবে বিচার তার
বলছে সবাই এবার চোরের
রক্ষা নাইকো আর।
উত্তর পাড়ায় কালুর বাড়ি
করছে নাকি দখল
সেথায় নাকি উপস্থিত ছিল
মোদের দলের সকল।
বড় বাজারে বিকাল বেলা
চান্দাবাজি করে
মারছে নাকি জন্মের মারা
দোকানদারদের ধরে।
সন্ধ্যাবেলা হোটেল খেয়ে
দেয়নি নাকি দাম
এসব কাজে দেশের লোকে
করছে যে বদনাম।
এসব নিয়ে আমরা এখন
বড়ই প্রমাদ গুনি
বলছে নেতায়, এসব কথা
কর্ণে নাহি শুনি।
এসব শুনলে রাজনীতিতে
টিকে থাকাই ভার
সহজ সরল ভাব দেখালে
মানবে না কেউ আর।
শাসন গর্জন অত্যাচারে
সবাই থাকে সোজা
থাকে না আর প্রতিদ্বন্দী
ঘাড়ের উপর বোঝা।
তোমার মত সরল চামচা
রাজনীতির কি বুঝবে?
দেলের চেয়ে ন্যায়-নীতিটাই
হর হামেশা খুঁজবে।
ন্যায় নীতিতে থাকলে পরে
যায়না নেতা হওয়া
অনেক কথা বুকে থাকলেও
যাবে নাকো কওয়া।
চামচা শুনে ফ্যাল ফ্যাল করে
তাকায় নেতার পানে
নীতি ছাড়া নেতার কথাও
ঢুকছে না তার কানে।
(ছবিঃ ইন্টারনেট)
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৩০