এমনিতে দলের খারাপ পারফরম্যান্স, তার ওপর সারাদিনের খাটুনি। স্বাভাবিকভাবেই শরীর আর চলে না। কান্তির ছাপ 'টিম বাংলাদেশ'র চোখে মুখে। কিন্তু যখন নগরীর দামপাড়ার প্রতিবন্ধীদের সংগঠন সেন্টার ফর ডিসএব্যাল কনসার্নে (সিডিসি) টিম বাস থামলো তখন, কান্তির বিন্দুমাত্র আর দেখা গেল না তাদের মধ্যে। কোচ হোয়াটমোর বলেই ফেললেন-'আমরা খুবই কান্ত। কিন্তু প্রতিবন্ধীদের কাছে এসে আমার সমস্ত কান্তি কেটে গেছে।' হঁ্যা বাংলাদেশ দল বিভাগীয় স্টেডিয়াম থেকেই সোজা চলে গিয়েছিল প্রতিবন্ধীদের মাঝে। 'টিম বাংলাদেশ'র সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। দু'শ প্রতিবন্ধীরা বাংলাদেশের ক্রিকেটাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। দৃষ্টি, শ্রবণ, শারীরিক প্রতিবন্ধী-সোহেল, সুমন, সবুজদের দুর্দশা দেখে ক্রিকেটারদের কেউ কেউ আবেগ প্রবণও হয়ে পড়েন। অধিনায়ক হাবিবুল বাশার কিন্তু তাদেরকে প্রতিবন্ধী ভাবতে রাজি নন-'তোমরা যদি প্রতিবন্ধী হতে তাহলে আমরা এখানে আসতাম না। তোমরাও অনেক কিছু পার। যেটা আমরা পরিনা। তোমরাও তোমাদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাও।' সত্যি প্রতিবন্ধীরা অনেক কিছু পারে। ফেরার পথে প্রতিবন্ধীদের তৈরি হস্তশিল্প উপহার হিসেবে নিয়ে গেছে ক্রিকেটাররা। প্রতিবন্ধীরাও ক্রিকেটপ্রেমী ও সচেতন। তারা আশরাফুলকে জিজ্ঞাস করেই ফেললেন, কেন আজ (বৃহস্পতিবার) খারাপ খেললেন? 'আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে বগুড়ায় ভালো খেলতে পারি'-প্রতিউত্তরে আশরাফল। এরকম আবেগঘণ অভিজ্ঞতা শুভকামনা, আশীর্বাদ, পুঁজি করে পুরো দল ছুটলো হোটেলের উদ্দেশ্য। নিশ্চয় তাদের মনে তখন বাজছিল সেই প্রেরণমূলক গানটি, যেটি গেয়ে শুরুতেই প্রতিবন্ধীর তাদের বরণ করেছে-'আমরা করবো জয় একদিন...।'
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০০৬ ভোর ৫:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




