বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ, সামহোয়ারে এসেছি প্রায় দেড় মাস। এখনও নিজের লেখা শুধু নিজেই পড়ি। কারণ এখনো প্রথম পাতায় যাওয়ার সুযোগ হয়নি। প্রথম পাতায় যাওয়া নিয়ে আগ্রহও তেমন একটা নেই। কারণ কিছু কিছু ব্লগার তাদের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি যেভাবে আক্রমান্তক ও হিংসাত্বকভাবে উপস্থাপন করছেন, তাতে আমাদের ভবিষ্যত কোথায়; তা নিয়ে সংকিত হতে হয়। কারণ একজন ব্লগার যখন তার দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তা, চেতনা ও ঘটনা বিশ্লেষণ লেখনীর মাধ্যমে উপস্থাপন করেন, তখন তাকে ব্যক্তি হিসাবে না দেখে দেখার চেষ্টা করি তিনিও একটা শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করছেন; অর্থাৎ এ ধরণের চিন্তা চেতনার মানুষও আমাদের চারপাশে অবস্থান করছে। আমাদের চিন্তা, চেতনা, দৃষ্টিভঙ্গি যদি হিংসাত্বক আর নোংরামিতে পরিপূর্ণ হয়, তবে জাতি হিসাবে আমরা কোনদিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তা সহজেই অনুমান করা যায়।
ব্যক্তি হিসাবে সবার নিজস্ব একটা ভাবনা থাকে, সেই ভাবনা প্রকাশ করার অধিকারও সবার আছে। কিন্তু যে ভাবনা প্রকাশের মাধ্যমে মানুষের প্রতি অমর্যাদা প্রদর্শন করা হয়, যে ভাবনা প্রকাশে অমানবিকতা ফুটে ওঠে, যে ভাবনা প্রকাশের মাধ্যমে মানুষকে অমানুষ হওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হয়, সেই ভাবনা প্রকাশের স্বাধীনতা কি থাকা উচিত? সেই ভাবনা প্রকাশ কতটা যৌক্তিক?
প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা নিজের চিন্তা ও ভাব প্রকাশের যে মাধ্যম পেয়েছি, সেটার যথাযথ ব্যবহার করা প্রয়োজন, মাদকাসক্তের মত আসক্ত হয়ে নিজেদের অপরিনত সংকীর্ণতাগুলিকে প্রকাশ করার মাধ্যমে নিজেদের দুর্বলতাগুলোকে জাহির করে একটা দুর্বল জাতি গড়ে তোলায় পরোক্ষ সহযোগিতা করা নিশ্চয়ই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।
আশাকরি ব্লগারবৃন্দ, বিষয়গুলো ভেবে দেখবেন। চিন্তা করুন, আপনার ভাবনাগুলো সারা বিশ্বের মানুষ পড়ছে এবং তারা আপনার চিন্তা দিয়ে আমাদের দেশ ও জাতিকে মূল্যায়ন করার চেষ্টা করবে। নিশ্চয়ই বিশ্ববাসীর নিকট আমরা একটা খারাপ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো না।
ব্লকের অনেক পোষ্টই আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আহত করেছে, কিন্তু সকলের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য কোন পোষ্ট নিদ্দির্ষ্ট না করেই লেখাটা লিখলাম, অনেকটা কষ্ট পেয়ে। আশাকরি, আগামীতে আমরা আর কাউকে আহত করবো না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



