ধরা খাইয়াছেন উজবুক। নেপথ্যের প্রতি তিনি কহিলেন, 'ধরা খাওয়া মিনিমাইজ করিতে হইবো। তাই ক্ষমা প্রার্থনা করিব'। নেপথ্য কহিলেন, 'ক্ষমা প্রার্থনা করিলেই কি তুমি ক্ষমা পাইবা। ল্যাঞ্জা তো কাটিয়া ফেলিয়াছ। এখন তুমি ল্যাঞ্জা কাটার দলে। তাই ক্ষমা-টমা চাওয়ার দরকার নাই।' উজবুক কহিলেন, 'প্রয়োজন আছে বড় হুজুর, ক্ষমা চাহিলে কাটা ল্যাঞ্জার দিকে কেউ আর তাকাইয়া দেখিবে না। তাতে আমাদেরই লাভ বড় হুজুর। তাগো দলে মিইশ্যা গিয়া সময় সুযোগ মতো আবার অন্য এপিসোড লিখিব।' নেপথ্য ভাবিয়া দেখিলেন, ব্যাটা উজবুক হইলে কি হইবে, মাথায় গোস্ত আছে। সেজন্যই তো ব্যাটা নিজের মুখোশ ঢাকিয়া রাখিয়া এতো কিছু লিখিয়া নাম কামাইয়াছে। নেপথ্য কহিলেন, ' ক্ষমা চাহিতে পার, তবে সেটা টেকনিক্যাল হইতে হইবে।' উজবুক কহিলেন, ' কেমন বড় হুজুর।' নেপথ্য কহিলেন, ' বুঝলা না, ঘটনাটাকে অস্বীকার করা যাইবে না। ঘটনাকে ঠিক রাখিয়া ক্ষমা চাহিতে হইবে।' উজবুক কহিলেন, ' বড় হুজুর কি আমাকে উজবুক ভাবিয়াছেন? আমি কি এতোটা উজবুক না। রাত্রি জাগিয়া ভাবিয়া চিন্তিয়া আমার দেশ পড়িয়াছি, বাঁশের কেল্লায় তন্ন তন্ন করিয়া খুজিয়া প্রতিদিন সত্য উদ্ভাষিত করেছি। তাই তো গল্পের প্লটটা চট করিয়া মাথায় আসিয়াছিল।' নেপথ্য কহিলেন, ' তুমি বড় বেশি কথা বলো। যাও, টেকনিক্যালি ক্ষমা চাও। কিন্তু সাবধান, মনে রাখিও, তুমি কিন্তু ল্যাঞ্জা কাটিয়াছ।'
অতঃপর উজবুক ক্ষমা চাহিয়া লিখিলেন, 'আমি আমার বিশ্বাস থাকিয়া একটি গল্প লিখিয়াছি। কিন্তু কারও কিংবা কোনো গোষ্ঠীর মনে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশ্যে গল্পটি লেখা হয়নি। দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু পাঠক গল্পটি পড়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাঁদের ক্ষুব্ধ করার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। গল্পটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে কোনো গল্পগ্রন্থে এটি অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।'
উজবুক পুনরায় প্রমাণ করিলেন যে তিনি একটা উজবুক।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



