কর্মরত কোন নারী অতি সুন্দরী হলে, অতি আবেদনময়ী হলে চাকরিদাতা তাকে ছাঁটাই করতে পারবেন। এমন এক আদেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট, শুক্রবার ওই আদালত এ রায় দেয়। এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এক নারী কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করার মামলা থেকেই এমন রায় দেয়া হয়। গত ১০ বছর ধরে ডেন্টিস্ট নাইটের সহকারী হিসেবে কাজ করছিলেন মেলিসা নেলসন। মেলিসা খুব সুন্দরী ও আবেদনময়ী হওয়ায় তার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে নাইটের। এ নিয়ে তাদের পরিবারে দেখা দেয় অশান্তি। এমন এক সময়ে নাইট চাকরিচ্যুত করেন মেলিসাকে। মেলিসাও ছাড়ার পাত্রী নন। তিনি আদালতে যান। সেখানে অভিযোগ করেন। বলেন, অফিসে তিনি কোন ভুল করেন নি। ডেন্টিস্ট নাইটকে তিনি একজন বন্ধু ও পিতৃতুল্য মনে করেন। কিন্তু তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আদালতে ডাকা হয় তাদের দু’জনকে। সাক্ষ্য নেয় আদালত। তাতে দেখা যায় তাদের মধ্যে প্রণয়ের মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। ডেন্টিস্ট নাইট বলেন, মেলিসা বিভিন্ন সময় নজরকাড়া পোশাক পরতেন।
তাকে আবেদনময়ী দেখাতো। এ নিয়ে তিনি তাকে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু মেলিসা তা শোনেন নি। ২০০৯ সালে তাদের মধ্যে চিঠিও লেনদেন হয়েছে। কিন্তু সেগুলোতে প্রেম নয়, ছিল কাজ নিয়ে লেখা। কিন্তু কিছু চিঠি ছিল ইঙ্গিতময়। নাইট এক পর্যায়ে আবেদন জানিয়ে মেলিসাকে একটি চিঠি লেখেন। তবে মেলিসা তার উত্তর দেননি। দুর্ভাগ্য নাইটের। ওই বছরের শেষের দিকে ঘটনাচক্রে ওই চিঠিটি গিয়ে পড়ে নাইটের স্ত্রীর হাতে। তিনি তাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে মেলিসাকে হুমকি হিসেবে মনে করেন। স্বামী নাইটের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন যাতে মেলিসাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
অবশেষে সংসার ধরে রাখতে ২০১০ সালে মেলিসাকে চাকরিচ্যুত করেন নাইট। এ নিয়ে শুনানি শেষে আদালতের সাত বিচারপতি তাদের আদেশে বলেন, এই মামলায় যে প্রশ্নটি সামনে চলে এসেছে, তা হলো- কোন নারীকর্মী প্রণয়ের সম্পর্কে না জড়ালেও যদি মালিক মনে করেন, তার কর্মীর আকর্ষণ অপ্রতিরোধ্য, তবে তাকে চাকরিচ্যুত করা আইনসিদ্ধ হবে কিনা! আদালত সর্বসম্মতভাবে বলেন, মালিক যদি তার কর্মীকে অধিক আবেদনময়ী মনে করেন, তবে তিনি ওই কর্মীকে চাকরিচ্যুত করতে পারবেন। আর এ ধরনের পদক্ষেপ বৈষম্যের অপরাধে বেআইনি হবে না।
Click This Link