আসলে আমার এই লেখাটির শুরু হয় আমার বাসার বাথরুম থেকে।
থুক্কু, কেউ লজ্জা পাবেন না অথবা ভুরু কোচকাবেন না প্লিজ। অর্থাৎ
শাওয়ার নিতে নিতে এর প্রথম চার লাইন আমার মনে আসে। তারপর উসখুস করতে করতে বাকিটুকু লিখে ফেলি। তাও আবার অফিসে বসে কাজের ফাঁকে ফাঁকে লেখা। ঐ যে বললাম না শাওয়ার নিতে নিতে পোকটা মাথাই ঢুকেছে। অফিসে যেয়ে আর তো কিছু করতে পারছি না। খালি পোকাটা ঘুরঘুর করছে। তো এই পাগলা পোকার জালায় কাজের ফাঁকে ফাঁকে এই পাগলের প্রলাপ লিখে ফেলা। আছ্ছা লিখে তো ফেললাম, এখন কি নাম দিব এটার??? অবশেষে দিয়েই ফেললাম একটা নাম। তো শুরু হলো আমার সেই পাগলের প্রলাপ.... ... .... .... .... ...
তুই কোথাকার কে সে?
প্রিপেইড
বাবাকে আমি বেসেছি ভাল
বাসিনি ভাল তোকে,
মাকে ভাল বেসেছি আমার
তুই কোথাকার কে সে?
বেসেছি ভাল আঁতুড় ঘরে
দোলনা ধরে দোল,
নানা, নানী, দাদা, দাদী
আর সবার কোলাহল।
বেসেছি ভাল ঝুনঝুনি
আর খেলনা প্লাষ্টিক,
নিত্যনতুন চুমু খাওয়ানোয়
সবাই যে বেশ রসিক।
বেসেছি ভাল ছোট্রবেলায়
কাপড় পুতুল খেলা,
লাল নীল সব হরেক রকম
কচিকাঁচার মেলা।
বেসেছি ভাল শিশির ভেঁজা
সবুজ খোলা মাঠ,
হরেক রকম খেলার সাথে
মোদেরই প্রাণের ডাক।
বেসেছি ভাল আঁকাবাঁকা পথে
স্কুলে যাবার আড্ডা,
বাসিনি ভাল তখনও তোকে
কি নিদারুন খাপ্পা।
সারি বেঁধে সব লাইনে দাড়িয়ে
একই সুরে গান গাওয়া,
আমার সোনার বাংলা ও ভাই
তিক্ত নয়নে চাওয়া।
বেসেছি ভাল দূর অজানায়
নিত্যনতুন স্বপ্ন,
সাঁর বেঁধে সব পড়তাম ক্লাসে
যুথবদ্ধ এক রত্ন।
বাসিনি ভাল তখনও তোকে
মন ছিল উচাটন,
তুই কোথাকার কোন নারায়ন
আমি যে এক হারাধন।
বেসেছি ভাল নীল আকাশে
সাদা মেঘের ভেলা,
উদোম পায়ে ছুটাছুটি
আর নিত্যনতুন খেলা।
বাসিনি ভাল তখনও তোকে
মনে আঁকা এক স্বপ্ন,
দেব পাড়ি কোন দুরদেশে এক
হব যে সোনার রত্ন।
শুরু হলো মোর তখন থেকে
এক শুদ্ধ জ্ঞানের চর্চা,
পাইনা কোনো কাজে ফুসরত,
তোকে অবহেলার স্পর্ধা।
হাটিহাটি পায়ে ছোট্র শিশু
হলাম বড় আমি,
তবু যে মোর রইল শুধু
তোর সাথে কথার আঁড়ি।
জ্ঞান বিজ্ঞানের শীর্ষ যুগে
পেলাম জীয়ন কাঠি,
তার ছোঁয়াতে তোর থেকে
আজ আমিই পরবাসী।
বাসিনি ভাল তোকে কখনও
বাসিনি ভাল আজও,
কোর্ট, শার্ট, প্যান্ট, টাই আর ব্লেজারে
তুই যে পরিতাজ্য।
বেসেছি ভাল ইট পাথর
আর দালানকোঠার দেশ,
তোর কথা মোর নেই যে
মনে বিন্দুমাত্র লেশ।
খুব বেশি আজ ইচ্ছা করে
বাসতে ভাল তোকে,
আর কি আমি পাব সুযোগ,
এই পৃথিবী থেকে।
বাসব তোকে অনেক ভাল
রাখব দুই নয়ন,
তোর কোলেতেই মাথা রেখে
হয় যেন মরন।
প্রিয় সাধের জন্মভুমি
আমার প্রাণের ভাষা,
শেষ বেলাতে তোর কাছে
মোর এতটুকুনই আশা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



