তারিখঃ ২০-০৮-২০০৮
আজকের সকালটা খুব সুন্দর। প্রকৃতি আজ সেজেছে নতুন রুপে। সকালের বৃষ্টিটা আরমান এর মন খুব ফুরফুরে করে দিয়েছে। ঘুম থেকে উঠেই সে আজ জানালার পাশে অনেক্ষন দারিয়ে বৃষ্টি দেখেছে। সে সবসময়ই একটু রোমান্টিক মানষিকতা নিয়ে চলে। আজ তার মন আরো বেশি রোমান্টিক হয়ে উঠেছে।
সে আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজে যাবেনা। কলেজের বাধাধরা নিয়ম এর মধ্যে থাকাটা সে পছন্দ করেনা। তার ধারনা যারা এইসব নিয়ম মানেনা তারাই শেষ পর্যন্ত বিখ্যাত হয়। ওর মা যখন ওকে বকে তখন সে উদাহরন দেখায় কাজী নজরুল ইসলাম, রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর এই ধরনের ব্যক্তি বর্গের। তার ধারনা সেও একদিন এমন একজন বিখ্যাত ব্যক্তি হবে। তার মা তাকে বকে, তবু মাঝে মাঝে সেও ভাবে, একদিন ছেলে বিখ্যাত হলে সেও গর্বিত হবে। তবুও, পড়াশোনা তো করতে হবে।
শত জোরাজোরি করার পরেও আরমানকে কলেজে পাঠানো গেলনা। এই যন্ত্রনা সহ্য করতে হবে কতদিন কে জানে। আরমান এর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আরমান এর দুনিয়া তার মা। দুনিয়ার সবকিছুর অর্থ তার মা। একদম ছোট একটা সংসার তাদের। মাত্র ২ জন সদস্য। বাংলাদেশ সরকার এর পক্ষ থেকে তাদেরকে পুরষ্ক্রিত করা উচিত।
সকালে নাস্তা করেই সে চ্যাটিং করতে বসল। আজ সেই "জান্নাত" অনলাইন এ ছিল। সে চ্যাটিং করতে শুরু করল। তাদের প্রথম কথা শুরু হল নাম জিজ্ঞেস করে। এটা সম্ভবত তাদের সম্পর্কের সূচনা হল।
চলবে..............................................।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




