তারিখঃ ২৫-০৮-২০০৮
আজ কলেজ বন্ধ। কি কারনে বন্ধ সেটা আরমান জানেনা। কারন সে গতকাল কলেজে যায়নি। আজ সে নিজেকে নিয়ে ভাবতে বসল। সে নাকি নিজের মধ্যে কিছু পরিবর্তন খেয়াল করছে। সে আজ একজন এমন মানুষের অভাব বোধ করছে যাকে সব কিছু বলা যায়, সব কিছু শেয়ার করা যায়। কিন্তু হায়! তার জন্য এমন কেও নেই। তার ভাই বোন না থাকায় সে আরো বেশি একলা। অনেক সময় কষ্ট হয়, আবার মাঝে মাঝে আনন্দ লাগে। বাবা বেচে থাকা অবস্থায় সে সবসময় সব কিছু ডাবল করে নিত। এখন বাবা নেই, তবু মা তার বাবার অভাব কখন বুঝতে দেয়নি। এখনো সব কিছুই ডাবল করেই পায়। কিন্তু যতই খুশি থাকুক, আজ তার কষ্ট লাগছে খুব। তার আজ মনে হচ্ছে এমন কাউকে দরকার যাকে সব কিছু বলা যায়। এত বিশাল চিন্তা নিয়ে সে মোবাইল নিয়ে বসে পরল চ্যাটিং করতে। সেখানে সেই জ়ান্নাত আইডিটা অনলাইনে। আরমান চিন্তা করল, এই মেয়ে সারাদিনই অনলাইনে থাকে! সে ঠিক এই কথা দিয়েই চ্যাটীং শুরু করল। ওপাশ থেকে ঠিক কড়া রকমের জবাব আসল। আরমান মোটেই রাগ না করে জান্নাত এর সাথে কথা বলা শুরু করল। যদিও সে জানেনা কিভাবে অপরিচিতদের সাথে কথা শুরু করতে হয়। তবু সে ভালমতই কথা বলতে পারল। প্রথমে নাম, পরে ঠিকানা, পরে কোথায় পড়ে ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর এর মাধ্যমে তারা নিজেদের মধ্যে পরিচিত হতে লাগল।
মেয়েটির নাম ছিল "জ়াণ্ণাত"। পড়ত ক্লাস নাইন এ। থাকত শেওড়পাড়া। এইসব সাধারন যত তথ্য জানা দরকার, সে আজ জেনে নিল। আরমান খুব আনন্দিত যে সে তার জীবনে প্রথম কোনো মেয়ের সাথে পরিচিত হল। মানে অপরিচিত মেয়ের সাথে। এমনিতে সে অনেক মেয়েকে চেনে। সবাই তার চাচাত, ফুফাত বোন। সবাই তার বড়। কিন্তু ওদের চলাফেরা দেখলে কেও বলতে দ্বিধা করবেনা যে ওরা প্রেমিক প্রেমিকা না। এতে করে পরিবার এর কেও কিছু মনে করেনা। কিন্তু রাস্তার যে কেও দেখলে ভাববে, "ছি! কি বেলাল্লাপনা!" তবু আরমানকে ওর কাসিনরা খুব ভালবাসে। জান্নাত হচ্ছে এদের সবার বাইরে আরমান এর পরিচিত প্রথম মেয়ে।
এই সম্পর্কের দৌড় কতদূর এগুবে সেটা জানা যাবে আরো পরে.......................।
অপেক্ষায় থাকুন........................
চলবে....................................................................।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




