আমার বাজান আবার মহা ত্যান্দর,...। পোলার এই সুখ তাহার সইল না। হারাদিনে রাইতে আমারে একবার পাইত ...।আর খালি বকত...।আমিও ত্যান্দর আসিলাম.........।এক কান দিয়া বকা ঢুকাইতাম আরেক কান দিয়া বাইর করতাম............আম্মাজান মাষ্টর হওয়ায় তিনিও মাঝে মাঝে দিতেন লাল ঝাড়ি। আমি খাইতাম আর হজম করতাম...............।হঠাত আব্বাহুজুর একদিন তার বন্ধুর মাইয়া পড়ানের লিগা আমায় ঠিক করলেন............আমারে কইলেন কাইল থিকা অমুকের মাইয়ারে পড়াইতে হবে.........।।যাইয়া পড়াবি..................।আমি কমু কি ? খালি আমতা আমতা কইরা জিগাইলাম
কেমুন জানি ডর করতে লাগল.........যাউজ্ঞা পরের দিন পোস পাছ কইরা আন্ধা বাবা চশমা লাগাইয়া চলল পড়াইতে...। একই এলাকায় হওয়ায় আংকেলের বাড়ী আগেই চিনি.........।।তবে তার মাইয়ারে চোখে পড়ে নাই আগে..........................................
কলিং বেল চাপ্তেই তার মাতা দরজা খুলিয়া দিলো। আমারে সাদরে নিয়া সোফায় বসাইলো.........। তবে এটা বুঝিয়াছিলাম মাইয়ার মা কেমন করিয়া যেন আমার দিকে চাহিয়া ছিলেন............।আমি বিব্রত বোধ করিলাম। আসলে মহিলা লোক আমার দিকে চাহিয়া থাকলে আমার একটু শরম লাগে। কিছুক্ষন পর দেখিলাম কারা যেন পরদার আড়াল হইতে উকি ঝুকি মারে। আড়চোখে তাকাইয়া দেখিলাম আনুমানিক ১৪-১৫ বছরের বালিকা......।।বালিকার চেহারা সম্পক্কে না বলি.
আমার ভয় ছিল অন্যখানে.......যদি ছাত্রী গাধী হয় তয় আমি শ্যাষ। ঐ দিন বিদা লইয়া আসিলাম......সেদিন রাতে ম্যাথ বইটা উলট পালট করিয়া দেখিলাম.........।মেট্টিক পরীক্ষা দিতে গিয়াও এত টেনশন হয় নাই যতটা হইয়াছিল এই বালিকাকে পড়াইতে গিয়া......
পরেরদিন থিকা পড়াইতে লাগিলাম...............।একটা জিনিস খেয়াল করিলাম মাইয়ার মা কেমন জানি আমাদের নজরে নজরে রাখিত........আইসা আইসা ঘুরিয়া যাইত......।এইবার বলি মাইয়া সম্পক্কে.........ছাত্রী পুরা ঝাক্কাস.........মনে মনে শান্তি পাইলাম......।বেসিকও মাশাল্লাহ.........।বেশি খাটনি দিতে হয় নাই............তবে বিরক্ত লাগত তাহাদের কাজের মাইয়া পড়ার রুমে আসিয়া চাল বাছতো
এভাবেই চলিতে লাগিল..................।প্রথম মাসের টাকাটা হাতে পাইয়া বেশ আরাম বোধ হইল। খামে পুড়া টাকা......। ছাত্রীর বাসা হইতে বাহির হইয়া রিকশায় উঠিয়াই তর সইতে ছিল না। কিন্তু খায়েশ মনেই রাখিলাম.........যা দিন কাল পড়ছে............বাসায় আসিয়া গেইট না বন্ধ করিয়াই খাম খুল্লাম.........।পুরা কড়কড়ে ৪টা ৫০০ টেকার নোট। আনন্দে একটা লাফ দিবার মনে কইল.........।খায়েশ দমাইলাম.........।কারন তখন পাশের ফ্লাটের আন্টি বাহির হইতেছিলেন..................তারপর টাকা কিভাবে খরচ করিলাম তা অন্য কাহিনী, আরেকদিন বলিব...।এভাবেই পড়াইতে লাগিলাম.........।বইএর অর্ধেক অংক প্রায় শেষ করে ফেলেছি............।ফিজিক্সের ম্যাথও প্রায় শেষ..................... এমন মুহুর্তে একদিন লক্ষ্য করিলাম কেমন কেমন জানি লাগে.........ছাত্রীর দিকে তাকাইয়া দেখিলাম সে আমার দিকে কেমনে জানি তাকায় আছে......।আমি তাকাইতেই চোখ সরাইয়া ফেলাইলো......।মনে মনে একটু মজা পাইলাম.........ব্যাপারটা খারাপ লাগিলনা......।এমনে কয়েকদিন ধরা পড়িল............লক্ষ্য করিয়া দেখিলাম পড়া শুনাতেও সে অমনোযোগী.........আমি চিন্তিত হইয়া তাহাকে কারন জিগাইলাম.........সে কোন সদুত্তর করিতে পারিলো না। আমিও আর খুঁচাইলাম না। এইবার বলি আমার একটা প্যাড তাহার কাছে থাকিত............তাহার ম্যাথের সমস্যা ইহাতে লিপিবদ্ধ করিত......সপ্তাহ শেষে সেটা আমার কাছে আসিত............আমি সমাধান বাহির করিয়া দিতাম......এম্নেই এক শুক্কুরবার আমি তাহার পড়ানো শেষ করিয়া বাসায় ফিরিলাম......রাত্রে টিভি দেখিতেছি আর প্যাড ঘাটছি...।।হটাত একটা জিনিস দেখিয়া বেক্কল খাইয়া গেলাম
সময় কারো জইন্য অপেক্ষা করেনা, সে চলে যায় আপন স্রোতে............এখন মাঝে মাঝেই বালিকার সাথে দেখা হয়, তিনি এখন অনার্স পড়েন...।দেখলেই খুব ইজ্জত দেয়...............আমিও তাহারে খুবই স্নেহ করি.................পাঠক ভাইবোনদের জইন্য সুসংবাদ এই মাসের ১৩ তারিখ তাহার শুভ বিবাহ..............পাত্র ইঞ্জিনিয়ার............।তাহার জইন্য দুয়া করিবেন...............তিনি গত শুক্রবার তাহার মায়ের সাথে আমাদের বাসায় এসে দাওয়াত দিয়ে গেছেন। আমরাও সপরিবারে যাবো বলিয়া ঠিক করিয়াছি......।।হাজার হইলেও আমার পরথম আর লাস্ট ছাত্রী
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:২৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




