somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার পরথম ও লাস্ট ছাত্রী(১৪+)B-):P

০২ রা আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২০০৪ সাল। মেট্রিক পরীক্ষা দিয়া টো টো কইরা ঘুরি। দিনের ১১টা থিকা কম্প্যুটারে গেমস.........মাঝখানে একটা ব্রেক পরে ৪টায় বেরিয়ে যাওয়া.........উত্তরায় থাকায় টংগী ব্রিজ, আশুলিয়া ভাই বেরাদারগো লইয়া আড্ডা দিতে যাইতাম............আছিলাম মিচকা শয়তান, এলাকায় আড্ডাইতাম না, পাবলিক ভদ্রপোলা হিসেবে জানত......। অন্য মানুষেগো জ্বালাইয়া মজা পাইতাম। মহা শয়তানি যারে কয়। জোড়া কবুতররাও আমাগো দু চোখে দেখতে পারত না...।।পাবলিক বেশি হওয়ায় কওয়ারও সাহস পাইতনা। আমি কিছু করতাম না ...।জাস্ট ভাই বেরাদারগো সংগ দিতাম আর মনে মনে মজা লিতাম.........খাইস্টা স্বভাব যারে কয়।
আমার বাজান আবার মহা ত্যান্দর,...। পোলার এই সুখ তাহার সইল না। হারাদিনে রাইতে আমারে একবার পাইত ...।আর খালি বকত...।আমিও ত্যান্দর আসিলাম.........।এক কান দিয়া বকা ঢুকাইতাম আরেক কান দিয়া বাইর করতাম............আম্মাজান মাষ্টর হওয়ায় তিনিও মাঝে মাঝে দিতেন লাল ঝাড়ি। আমি খাইতাম আর হজম করতাম...............।হঠাত আব্বাহুজুর একদিন তার বন্ধুর মাইয়া পড়ানের লিগা আমায় ঠিক করলেন............আমারে কইলেন কাইল থিকা অমুকের মাইয়ারে পড়াইতে হবে.........।।যাইয়া পড়াবি..................।আমি কমু কি ? খালি আমতা আমতা কইরা জিগাইলাম:|......কোন কেলাসে পড়ে?.........কয় নাইনে......।আমি আর কি কমু.........খালি কইলাম আইচ্ছা.........
কেমুন জানি ডর করতে লাগল.........যাউজ্ঞা পরের দিন পোস পাছ কইরা আন্ধা বাবা চশমা লাগাইয়া চলল পড়াইতে...। একই এলাকায় হওয়ায় আংকেলের বাড়ী আগেই চিনি.........।।তবে তার মাইয়ারে চোখে পড়ে নাই আগে..........................................
কলিং বেল চাপ্তেই তার মাতা দরজা খুলিয়া দিলো। আমারে সাদরে নিয়া সোফায় বসাইলো.........। তবে এটা বুঝিয়াছিলাম মাইয়ার মা কেমন করিয়া যেন আমার দিকে চাহিয়া ছিলেন............।আমি বিব্রত বোধ করিলাম। আসলে মহিলা লোক আমার দিকে চাহিয়া থাকলে আমার একটু শরম লাগে। কিছুক্ষন পর দেখিলাম কারা যেন পরদার আড়াল হইতে উকি ঝুকি মারে। আড়চোখে তাকাইয়া দেখিলাম আনুমানিক ১৪-১৫ বছরের বালিকা......।।বালিকার চেহারা সম্পক্কে না বলি.:D................. বালিকা শরবত লইয়া আসিল...সালাম দিল...আমি জবাব দিলাম...।তাহার মাতা বিস্কুট শরবত গ্রহন করিতে বলিল.........। করিলাম গ্রহন......
আমার ভয় ছিল অন্যখানে.......যদি ছাত্রী গাধী হয় তয় আমি শ্যাষ। ঐ দিন বিদা লইয়া আসিলাম......সেদিন রাতে ম্যাথ বইটা উলট পালট করিয়া দেখিলাম.........।মেট্টিক পরীক্ষা দিতে গিয়াও এত টেনশন হয় নাই যতটা হইয়াছিল এই বালিকাকে পড়াইতে গিয়া......
পরেরদিন থিকা পড়াইতে লাগিলাম...............।একটা জিনিস খেয়াল করিলাম মাইয়ার মা কেমন জানি আমাদের নজরে নজরে রাখিত........আইসা আইসা ঘুরিয়া যাইত......।এইবার বলি মাইয়া সম্পক্কে.........ছাত্রী পুরা ঝাক্কাস.........মনে মনে শান্তি পাইলাম......।বেসিকও মাশাল্লাহ.........।বেশি খাটনি দিতে হয় নাই............তবে বিরক্ত লাগত তাহাদের কাজের মাইয়া পড়ার রুমে আসিয়া চাল বাছতোX((.........তরকারীও কুটত.........তাহার মা জননী একে ফিট করেছিল আমাদের পাহারা দেবার জইন্য...।
এভাবেই চলিতে লাগিল..................।প্রথম মাসের টাকাটা হাতে পাইয়া বেশ আরাম বোধ হইল। খামে পুড়া টাকা......। ছাত্রীর বাসা হইতে বাহির হইয়া রিকশায় উঠিয়াই তর সইতে ছিল না। কিন্তু খায়েশ মনেই রাখিলাম.........যা দিন কাল পড়ছে............বাসায় আসিয়া গেইট না বন্ধ করিয়াই খাম খুল্লাম.........।পুরা কড়কড়ে ৪টা ৫০০ টেকার নোট। আনন্দে একটা লাফ দিবার মনে কইল.........।খায়েশ দমাইলাম.........।কারন তখন পাশের ফ্লাটের আন্টি বাহির হইতেছিলেন..................তারপর টাকা কিভাবে খরচ করিলাম তা অন্য কাহিনী, আরেকদিন বলিব...।এভাবেই পড়াইতে লাগিলাম.........।বইএর অর্ধেক অংক প্রায় শেষ করে ফেলেছি............।ফিজিক্সের ম্যাথও প্রায় শেষ..................... এমন মুহুর্তে একদিন লক্ষ্য করিলাম কেমন কেমন জানি লাগে.........ছাত্রীর দিকে তাকাইয়া দেখিলাম সে আমার দিকে কেমনে জানি তাকায় আছে......।আমি তাকাইতেই চোখ সরাইয়া ফেলাইলো......।মনে মনে একটু মজা পাইলাম.........ব্যাপারটা খারাপ লাগিলনা......।এমনে কয়েকদিন ধরা পড়িল............লক্ষ্য করিয়া দেখিলাম পড়া শুনাতেও সে অমনোযোগী.........আমি চিন্তিত হইয়া তাহাকে কারন জিগাইলাম.........সে কোন সদুত্তর করিতে পারিলো না। আমিও আর খুঁচাইলাম না। এইবার বলি আমার একটা প্যাড তাহার কাছে থাকিত............তাহার ম্যাথের সমস্যা ইহাতে লিপিবদ্ধ করিত......সপ্তাহ শেষে সেটা আমার কাছে আসিত............আমি সমাধান বাহির করিয়া দিতাম......এম্নেই এক শুক্কুরবার আমি তাহার পড়ানো শেষ করিয়া বাসায় ফিরিলাম......রাত্রে টিভি দেখিতেছি আর প্যাড ঘাটছি...।।হটাত একটা জিনিস দেখিয়া বেক্কল খাইয়া গেলাম:-/......।চারিদিকে তাকাইয়া দেখিলাম কেউ নাই............।।আবার প্যাডের পাতার দিকে তাকাইলাম.........।দেখিলাম সুন্দর করিয়া এক খান পত্র লেখা.........।আমার নাম দেখিয়া হালকা হাসি পাইয়া গেলো......। কারন লেখা ছিল প্রিন্স স্যার..............।...এমনে আমারে জীবনে কেঊ ডাকে নাই.........বড়ই আবেগ মিলাইয়া পত্র খানি লেখা বুঝিলাম...............আমি পিচ্চি থিকাই একটু বেক্কল:|......।আম্মাজান রে কিছু না কইয়া থাকতে পারি না। সক্কাল বেলা আম্মা স্কুলে যাওয়ার আগে পত্র দেখাইলাম...............।মাতা জননী দেখিলেন......।আর একটু হাসিলেন..............আর মিষ্টি করিয়া বলিলেন ...।বাবা মনা তোমার আর ওই বাড়ীত যাতি হবে না। আমার বাপের পড়ানের দরকার নাই...............।আমি আর কি করুম হতাশ নয়নে তাহার দিকে তাকাইয়া রহিলাম...............আমার ছাত্র পড়ানেরও ইতি সেইদিনই ঘটিল।
সময় কারো জইন্য অপেক্ষা করেনা, সে চলে যায় আপন স্রোতে............এখন মাঝে মাঝেই বালিকার সাথে দেখা হয়, তিনি এখন অনার্স পড়েন...।দেখলেই খুব ইজ্জত দেয়...............আমিও তাহারে খুবই স্নেহ করি.................পাঠক ভাইবোনদের জইন্য সুসংবাদ এই মাসের ১৩ তারিখ তাহার শুভ বিবাহ..............পাত্র ইঞ্জিনিয়ার............।তাহার জইন্য দুয়া করিবেন...............তিনি গত শুক্রবার তাহার মায়ের সাথে আমাদের বাসায় এসে দাওয়াত দিয়ে গেছেন। আমরাও সপরিবারে যাবো বলিয়া ঠিক করিয়াছি......।।হাজার হইলেও আমার পরথম আর লাস্ট ছাত্রী:D............... খেক খেক.B-)..............
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ১১:২৬
১০৩টি মন্তব্য ৯৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×