somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হালাল উপার্জন

০৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রিযক অর্থাৎ পার্থিব সহায় সম্বল ও সচ্ছলতা এ জগতের এক অপরিহার্য বস্তু ও বিষয়। এ রিযক ব্যতীত পার্থিব জীবন অচল, অস্পূর্ণ বরং অসম্ভব। কম বেশী সবারই রিযক প্রয়োজন। সবাই এ রিযক অন্বেষণ করে। কেউ বৈধ পন্থায় কেউ বৈধ-অবৈধ উভয় পন্থায়ই রিযকের পিছনে দৌড়ে।

জীবনের জন্যই রিযক, কিন্তু এই রিযকের জন্য অনেকের জীবন পর্যন্ত চলে যায়। সবার রিযক সমান নয়, সবাই সমান রিযক উপার্জন করতে পারে না। আল্লাহর হিকমতের দাবিও তাই, কারণ সবার রিযক যদি সমান হয়, সবাই যদি সমান অর্থ-সম্পদের মালিক হয়, তাহলে দুনিয়ার আবাদ ও বিশ্ব পরিচালনা ব্যাহত বরং ভঙ্গুর ও স্থবির হয়ে পড়বে। তাই এর বণ্টন আল্লাহ নিজ দায়িত্বে রেখেছেন, তিনি নিজ হিকমত ও প্রজ্ঞানুযায়ী সবার মাঝে তা বণ্টন করেন। এটা কোন সম্মান বা মর্যাদার মাপকাঠি নয়, আবার হতভাগা বা অশুভ লক্ষণের আলামতও নয়। কী অনুগত কী অবাধ্য, কী মুমিন কী কাফের সকলকেই জোয়ার-বাটার ন্যায় প্রাচুর্য ও অভাব, সচ্ছলতা ও অসচ্ছলতা স্পর্শ করে। এর মাধ্যমে আল্লাহ অবাধ্য ও কাফেরকে অবকাশ দেন, অনুগত ও মুমিনের পরীক্ষা নেন। প্রাচুর্য ও সচ্ছলতার সময় একজন মুমিন যাকাত-সাদকা প্রদান করে আল্লাহ শোকর আদায় করবে, অভাব ও অসচ্ছলতার সময় ঈমান ও ধৈর্যের পরিচয় দেবে। অভাব বা প্রাচুর্য উভয় মুমিনের জন্য কল্যাণ ও মঙ্গলজনক। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
"عَجَبًا لِأَمْرِ الْمُؤْمِنِ، إِنَّ أَمْرَهُ كُلَّهُ خَيْرٌ، وَلَيْسَ ذَاكَ لِأَحَدٍ إِلَّا لِلْمُؤْمِنِ إِنْ أَصَابَتْهُ سَرَّاءُ شَكَرَ، فَكَانَ خَيْرًا لَهُ، وَإِنْ أَصَابَتْهُ ضَرَّاءُ صَبَرَ، فَكَانَ خَيْرًا لَهُ"
‘মুমিনের বিষয়টি আশ্চর্য জনক, তার প্রত্যেকটি বিষয় কল্যাণকর, এটা মুমিন ব্যতীত অন্য কারো ভাগ্যে নেই, যদি তাকে কল্যাণ স্পর্শ করে, আল্লাহর শোকর আদায় করে, এটা তার জন্য কল্যাণকর, আর যদি তাকে অনিষ্ট স্পর্শ করে, ধৈর্য ধারণ করে, এটাও তার জন্য কল্যাণকর’। মুসলিম : (৫৩২২)

অতএব একজন মুমিনের উচিত অভাব-অসচ্ছলতার সময় আল্লাহর ফয়সালাকে মেনে নেয়া, তার উপর তাওয়াক্কুল করা এবং সর্বাবস্থায় তার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করা। দোয়া ও আনুগত্যসহ তার দিকেই মনোনিবেশ করা। বৈধ ও হালাল পন্থায় রিযক অন্বেষণের আসবাব গ্রহণ করা এবং আল্লাহর উপর দৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস পোষণ করা। কারণ আল্লাহর অবাধ্য হয়ে তার নিআমত ভোগ করা সম্ভব নয়। অভাবের সময় অনেকে অধৈর্য ও ভেঙ্গে পড়ে, নানা অভিযোগ উত্থাপন করে, কখনো আল্লাহ সম্পর্কে আবার কখনো নিজের সম্পর্কে অযাচিত কথা মুখ থেকে বের করে, তার উপর আল্লাহর অন্যান্য নিআমত ভুলে যায়, যা আদৌ কোন মুমিনের জন্য উচিত নয়। অত্র নিবন্ধে আমি বৈধ পন্থায় রিযক উপার্জনে উদ্বুদ্ধ, আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল ও অভাবের সময় ধৈর্য ধারণের উপায় ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করার প্রয়াস পাব।

রিযক হ্রাস-বৃদ্ধি আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় :
রিযকের বৃদ্ধি-হ্রাস আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। প্রত্যেকের রিযক আল্লাহর কুদরত ও ফয়সালা দ্বারাই নির্ধারিত ও নিয়ন্ত্রিত। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন :
ﭽ ﭼ ﭽ ﭾ ﭿ ﮀ ﮁ ﮂ ﮃ ﮄ ﮅ ﮆ ﮇ ﭼ الحجر: ٢١
‘আর প্রতিটি বস্তুরই ভাণ্ডারসমূহ রয়েছে আমার কাছে এবং আমি তা অবতীর্ণ করি কেবল নির্দিষ্ট পরিমাণে।’ সূরা হিজর : (২১) তিনি আরো বলেন :
ﭽ ﯝ ﯞ ﯟ ﯠ ﯡ ﯢ ﯣ ﯤ ﯥﯦ ﯧ ﯨ ﯩ ﯪ ﯫ ﯬ ﭼ العنكبوت: ٦٢
‘আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা করেন রিয্ক প্রশস্ত করে দেন এবং যার জন্য ইচ্ছা সীমিত করে দেন। নিশ্চয় আল্লাহ সকল বিষয়ে সম্যক অবগত। সূরা আনকাবুত : (৬২) তিনি আরো বলেন :
ﭽ ﮒ ﮓ ﮔ ﮕ ﮖ ﮗ ﮘ ﮙ ﮚﮛ ﮜ ﮝ ﮞ ﮟ ﮠ ﮡ ﮢ ﭼ الزمر: ٥٢
তারা কি জানে না, আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা করেন রিয্ক প্রশস্ত করে দেন আর সঙ্কুচিত করে দেন? নিশ্চয় এতে মুমিন সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে। সূরা যুমার : (৫২)

-------------------------------সংগ্রহ করা
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×