“না মামা, পারবি না! মামা!”
“পারব”
“কেমনে পারবি ? বুঝা আমাকে”
“আরে পারা যাবে”
“ধুর ব্যাটা, তুই জাভা ল্যাঙ্গুয়েজ পারিস , HTML পারিস ? এইগুলা শিখতে শিখতে ১ বছর লাগবে! আর এই course গুলা ৩-১ এর আগে শিখতে পারবি না! অত সোজা না মামা!”
“আইচ্ছা যা… কইরা দেখাইয়া দিমু নে”
এমনি কিছু উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় (অন্য অর্থে গালিবিনিময়), চ্যালেঞ্জ পাল্টা চ্যালেঞ্জ, networking আর HTML এর কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি, রশি টানাটানি আর কিছু ব্যক্তির অদম্য উৎসাহের ফসল একটি অর্জুন বৃক্ষ । সেই বৃক্ষ আজ এখনও ছায়া দিতে শিখেনি, ফল দিতে শুরু করেনি, ঝোল তো দূরের কথা। প্রতিদিন তিন বেলা সেই বৃক্ষের নিচে পানি ঢেলে তা থেকে আম জাম কাঁঠাল পাওয়ার স্বপ্ন আমরা দেখি না, সেটা জেনেটিক্স বিভাগের মাথা ব্যথা । আমার এমন একটা অর্জুন বৃক্ষ চাই যা আমাদের সবাইকে ছায়া দেবে, পাখির কলকাকলিতে মুখরিত থাকবে সারাক্ষণ । একটা নিষ্পাপ হাসির আড়ালে সত্য কথাটাই একটু (!) ফাঁপর মিশ্রিত করে প্রকাশ করতে আমরা এমনিতেই অভ্যস্ত। সেই অভ্যাসের FREE HAND PRACTICE করি আমরা অর্জুন তলায় বসে। ফাঁপরবাজি আর চাপাবাজির চিপায় পরে যদি একটু নিষ্পাপ হাসি আপনার মুখ দিয়ে নিঃসৃত হয় তবে তাই অর্জুনতলায় ফাঁপরবৃষ্টি নামিয়ে দেয় । আমরা প্রতিদিনই সেই বৃষ্টিতে নিজেদেরকে ভিজাতে চাই। শাবিপ্রবি’র প্রত্যেকটা ঘটনাকে আমরা আপনার দুয়ারে প্রতি সপ্তাহে উপস্থাপন করার দায়িত্ব নিয়েছি বলে আমাদেরকে আবার হকার বলবেন না (বললেই বা কি আসে যায় ? ) । সেটা আপনার দিলে কিছুতা হলেও যদি আনন্দ দিয়ে যায় তবেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা সার্থক, কারণ নিছক আনন্দ প্রদানই আমাদের মূল উদ্দেশ্য । এর হাত ধরে আরও অনেক শুভ কিছু হবে- এই আশা করাটা নিশ্চয়ই অযৌক্তিক না । তাই প্রতি সপ্তাহে অর্জুনতলার নিচে আড্ডা হবে, ফাঁপর মারা হবে, কাউকে হয়তবা মুরগী বানানো হবে । সেই আড্ডায় আপনার উপস্থিতি এবং সহযোগিতা আমাদেরকে অনেক বেশি উৎসাহিত করবে ।
অর্জুনতলার ঠিকানা:
http://arjuntola.wordpress.com/

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



