somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মাহবুবুর রহমান টুনু
মান্ধাতার ভাসমান শ্যাওলা এক! ভাসমান এই শ্যাওলাকে ফেসবুক, ইউটিউব, সাউন্ডক্লাউডে পাবেনঃ Kb Mahbub Khan এই নামে। শ্যাওলার সম্বল ছাইপাঁশ লেখা, আবৃত্তি, বাঁশের বাঁশি আর যখন তখন মুখে এক চিলতে হুদাই মার্কা হাসি!

বালুচরের কাব্য

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২০০৬ এর “শিপন বালা”
বালাকে বিকৃত করে আমরা তখন তাকে “বালু” বলে ডাকতাম,
বড্ড হালকা পাতলা চেহারা, বাদামী চোখ-
হিংসে করবার মত বাবরি চুল।
ঝকঝকে আর অধিক পরিপাটি আমাদের বালা,
তার সুশ্রী চেহারা সহ্য না হবার দরুন তাকে “বালু” বলে ডাকতাম আমরা।

কৃত্রিম হাসিতে বালুর জুড়ি ছিল না,
আমরা দিনে সহস্রবার কাঁদানোর চেষ্টা করতাম,
সে তার শুকনো ঠোঁটে এক চিলতে হাসি এঁকে-
আমাদের স্বপ্নের গল্প শুনাতো, ওর স্বপ্ন।

আমরা কিছুই বুঝতাম না,
আমাদের ভেতর যাদের বুঝে নেবার আগ্রহ ছিল প্রবল-
একমাত্র সেই জিগ্যেস করত বালাকে-
এই আসলে তোর স্বপ্নটা কি বলত...?
উত্তর দেবার সময়, বালুর চেহারা ছিল দেখবার মত
উজ্জ্বল, ছল ছলে চোখ, সেই হাসিমাখা মুখ, আর-
অজানা কি এক সুখকে বুকে ধারন করে-
কলম নাচিয়ে নাচিয়ে বালু বলে যেত

“ দেবা দেখিস, আমি একদিন সত্যিই বালু হব রে!
আমার নিজস্ব একটা বালুচর থাকবে, শুধুই আমার।
রোদের প্রখর তাপে বালু চিক চিক করে জ্বলবে,
আমার অন্ধকারের দিনে, ও বালুর আলো
আমি আমার গায়ে মাখবো...!
বৃষ্টিতে ভেজা সতেজ বালুতে শুয়ে নিজেকে করব শীতল”

আগ্রহ নিয়ে জিগ্যেস করেছিল যে দেবা,
কিছু না বুঝে সে দেবাও এবার বালার নতুন নাম দিল-
“ বালু পাগলা ”
বালা থেকে বালু, বালু থেকে বালু পাগলা।

কী যেন এক কাজে গ্রামে গিয়েছিলাম সেদিন,
১২ বছর, একটি যুগ পর বালার সাথে দেখা,
আমি চিনি নি, ওই আমাকে ডাকল,
যে বালার সুশ্রী চেহারায় হিংসে করে আমরা বালু ডাকতাম,
যে বালা তার ভবিষ্যৎ কে একদিন-
চিকচিকে উজ্জ্বল বালুর রুপে দেখত, বালুর আলো গায়ে
মেখে অন্ধকার বিদীর্ণ করবার স্বপ্ন আঁকত,
আজ এই দিনে এসে বালুকে দেখলাম,
কি কালোটাই না হয়েছে সে!


বি.এ পাশ গরীব বালা, আমার বন্ধু,
আমাদের বালু, প্রখর তাপে পোড়া বালুর আলো যে ভালবাসত,
সে আলোতেই আজ পুড়ছে, তিলে তিলে পুড়ে যাচ্ছে ওর স্বপ্নের বালুচর।
এক পশলা বৃষ্টিতে ভেজা যে বালুচরে শুয়ে-
নিজেকে শীতল করবার স্বপ্ন দেখত বালু,
সে বৃষ্টি আজও ঝরে নি, সে জানে,
আজকাল আমরাও জানি;
পয়সার বৃষ্টি না ঝরালে ও বৃষ্টি ঝরবে না।

দ্রষ্টব্যঃ ছবিটি গুগল থেকে সংগৃহীত।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×