somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুরুতে ধোনিদের আতঙ্কে ফেলতে পারে ব্রেট লি : স্টিভ ওয়

২৪ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মস্তিষ্ক বলছে ভারত। হৃদয় বলছে অষ্ট্রেলিয়া। বৃহস্পতিবারের ম্যাচ অল্প কথায় আমার কাছে এমনই দাঁড়াচ্ছে। অষ্ট্রেলিয়া এখন পর্যন্ত যে ভাবে খেলছে, তেমন খেললে চলবে না। কারণ, ওরা কোয়ার্টার ফাইনালে যে ভাবে উঠল তাতে খুব ভরসা করা যাচ্ছে না। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধটা ওদের সামনে বড় তাড়াতাড়ি চলে এল। যেটা গত বারের চ্যাম্পিয়নদের সমস্যায় ফেলতে পারে। কানাডা এবং কেনিয়ার বিরুদ্ধেও ওরা মোটামুটি ভাল ভাবে জিতলেও ঝলসে ওঠেনি। অষ্ট্রেলিয়ার এখন ওই ঝলসানিটা দরকার। বিশেষ করে ভারতকে টপকাতে ওটা লাগবে।

এই ম্যাচটায় খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো কিছু মুহূর্ত দেখতে পাব। ব্রেট লি-জনসন-শন টেট বনাম সহবাগ-সচিন-গম্ভীর, এই বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা আকর্ষণ হতে যাচ্ছে। ’৯৯-এ আমরা ম্যাচের রং পাল্টে দিয়েছিলাম ভারতীয়দের শর্ট বলের জ্বলুনি দিয়ে। মনে হচ্ছে, মোতেরাতেও একই ষ্ট্র্যাটেজি ব্যবহার করবে পন্টিং। যদি ভারতের প্রথম দিকের কয়েক জন ব্যাটসম্যানকে শর্ট পিচ বল করে তুলে ফেলে পেসাররা, তা হলে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে আতঙ্ক ঢুকে পড়বে। উল্টো দিকে যদি আবার ভারতীয়রা অষ্ট্রেলীয় পেসারদের আগুনের মোকাবিলা করে আগুন দিয়ে, কয়েকটা আপার কাট এবং পুল যদি বেরোয় সহবাগ-সচিনের ব্যাট থেকে, তা হলে ধোনির দল দারুণ ছন্দ পেয়ে যাবে।

আর এখানেই ব্রেট লি-র ভূমিকাটা প্রচণ্ড গুরুত্বপূর্ণ। দুর্দান্ত বল করছে এখন। ম্যাকগ্রা যত দিন খেলেছে, ব্রেট লি-কে ওর ছায়ায় থাকতে হয়েছে। কিন্তু নিজেকে বোলিংয়ের নেতা হিসাবে প্রমাণ করার ওর এটাই সেরা সময়। সেই জায়গাতেও আছে। ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করছে এই টুর্নামেন্টে।

ভারতীয়দের জন্য আবার ম্যাচের মোড় ঘোরাচ্ছে যুবরাজ সিংহ। ওর ব্যাটিংকে যথেষ্ট ধারাবাহিক দেখাচ্ছে। সঙ্গে কাজে লাগছে ওর বাঁ-হাতি স্পিনও। তবে অষ্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কখনও নিজের প্রতিভার সুবিচার করেনি ও। যতটা ক্ষমতা আছে, ততটা বেরিয়ে আসেনি।

এবং সব শেষে রিকি পন্টিং প্রসঙ্গ। ব্যাটিং-ফর্ম তলানিতে এসে ঠেকেছে। ক্রিকেট-ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন উঠে পড়ছে। যেগুলোর এই মুহূর্তে কোনও দরকার আছে বলে মনে করি না। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, এক জন চ্যাম্পিয়নকে কখনও খাটো করে দেখা উচিত নয়। ভারত হয়তো আবিষ্কার করল, পন্টিং নিজের সেরাটা ওদের জন্যই তুলে রেখেছিল!

সাম্প্রতিক কালে বিশ্বকাপে এই প্রথম দেখছি অষ্ট্রেলিয়াকে ‘আণ্ডারডগ’ ধরা হচ্ছে। ভারতের পক্ষে এটা সেরা সুযোগ নিজেদের তুলে ধরার। ২০০৩ ওয়াণ্ডারার্সের স্মৃতি মুছে ফেলার। ভারতের এই টিমেও কিছু ক্রিকেটার আছে যাদের ওই দিন বেধড়ক মার সহ্য করতে হয়েছিল। ভারতকে আসলে সমস্ত প্রত্যাশা, চাপ ঝেড়ে ফেলে ঠাণ্ডা মাথায় নামতে হবে। বৃহস্পতিবারের ম্যাচের ঠিক আট বছর এক দিন আগে ওই লাঞ্ছনা জুটেছিল ভারতীয়দের। কিন্তু প্রতিশোধ এমন একটা খাবার, যেটা ঠাণ্ডা-ঠাণ্ডা খেতেই ভাল লাগে!
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×