somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বব ডিলানের ‘লাইক এ রোলিং স্টোন’এর অনুবাদ [ জীবন কি এক গড়ানো পাথর]

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী মার্কিন গীতিকার ও সঙ্গীতশিল্পী বব ডিলানের বিশ্বকাঁপানো গানগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘লাইক এ রোলিং স্টোন'। সম্প্রতি শিল্পীর নিজ হাতে লেখা এই গানের কথা ও স্বরলিপিনিলামে বিক্রি হয়েছে ২০ লক্ষ ৪৫ হাজার মার্কিন ডলার।দুনিয়া জুড়ে গানটি গাওয়া হচ্ছে নতুন করে।

১৯৬৫ সালে গানটি লিখেন তিনি। প্রথম দিকে গানের ধরনটা কেমন হবে, সেটা নিয়েও সন্দিহান ছিলেন। দুই দিনের টানা চেষ্টার পরও নিজের মনঃপূত হচ্ছিল না। শেষে গানটি রক ঘরানায় ফেলেন। সঙ্গে যোগ হয় আল কুপারের অর্গান বাদন, যা গানটির বিশেষত্ব হয়ে ওঠে। আর এই গানের মধ্য দিয়েই বলা যায় বব ডিলান ফোক সংগীতশিল্পী থেকে হয়ে ওঠেন রকস্টার। যদিও গানটি নিয়ে প্রযোজনা সংস্থা কলম্বিয়া রেকর্ডস মোটেই সন্তুষ্ট ছিল না, বিশেষ করে গানটির ব্যাপ্তি ছয় মিনিটের বেশি (বাণিজ্যিক কারণে সে সময় সাধারণত একটি গানের ব্যাপ্তি হতো তিন মিনিট) হওয়ায় এবং গানে ব্যাপক ইলেকট্রিক সাউন্ড থাকায়। তারা এটা প্রকাশের ব্যাপারেও খানিকটা দ্বিধায় ছিল। শেষ পর্যন্ত গানটি প্রকাশিত হয় সে বছরের ২০ জুলাই। এর আগেই অবশ্য গানটি স্থানীয় এক ক্লাবে বাজতে শোনা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের রেডিও স্টেশনগুলো গানটি না বাজালেও এটি বিলবোর্ডের দ্বিতীয় স্থানে চলে আসে। একই সঙ্গে গানটি সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তা লাভ করে। গানটি পরে ১৯৬৫ সালের ৩০ আগস্ট প্রকাশিত বব ডিলানের ষষ্ঠ স্টুডিও অ্যালবাম ‘হাইওয়ে ৬১ রিভিজিটেড’-এ জায়গা করে নেয়।

২০১৪ সালে এক নিলামে ডিলানের হাতে লেখা এই গানটি ২০ লাখ ডলারে বিক্রি হয়, যা জনপ্রিয় সংগীতের পাণ্ডুলিপির বিক্রির ক্ষেত্রে একটি বিশ্বরেকর্ড। বিখ্যাত সংগীত ম্যাগাজিন দ্য রোলিং স্টোন গানটিকে তাদের ‘সর্বকালের সেরা ৫০০ গান’-এর তালিকার শীর্ষে রেখেছে। ‘দ্য জিমি হেনড্রিকস এক্সপেরিয়েন্স’, ‘দ্য রোলিং স্টোনস’, ‘গ্রিন ডে’র মতো বিখ্যাত সব ব্যান্ড আর সংগীতশিল্পী ‘লাইক আ রোলিং স্টোন’ গানটি নিজেদের মতো করে গেয়েছেন। গানটির বাংলা ভাবানুবাদ করেছেন বিপুল হাসান।


জীবন কি এক গড়ানো পাথর

জীবন কি এক গড়ানো পাথর
[বাংলা রূপান্তর: বিপুল হাসান]

একদা তোমার ছিল দামি পরিপাটি পোশাক
গর্বিত নাক, পকেটে টাকা আর ক্ষমতা ব্যাপক, তাই না?
লোকজন করেছে বহুবার সতর্ক তোমায়, হুশিয়ার সামাল সামাল।
বিলাসিতায় মজে কানা হয়েছিলে তুমি শোনোনি মানা।
ভেবেছিলে বুঝি নিষেধ বারণ সবই মিছে প্রহসন, হয়ে বেসামাল
উপদেশ শুনে আড়ালে মুচকি হেসেছো তখন।
ফিরে দেখেছো কি আজ, সবই আছে ঠিকঠাক
আর পথ হারিয়ে বেদিশা তুমি হয়ে গেছো নির্বাক
পথের ধূলায় হারানো অতীত, ফুরিয়েছে অহংকার
এখন তোমার দিবানিশি পার পেটে জুটাতে আহার

লাগছে কেমন, কি অনুভূতি
লাগছে কেমন, কি অনুভূতি
নেই এতটুকু কোনো বাড়ি-ঘর
কেউ গোনে না তোমায়, জানে না নাম-পরিচয়
এ জীবন কি এক গড়ানো পাথর?

নামি-দামি স্কুল-কলেজে পড়েছো তুমি, হারানো মন
দেখছো জীবন রঙিন ভুবন শিখেছো উদযাপন
দেখায়নি কখনো কেউ তোমাকে লড়াকু পথের জীবন
হায়রে তুমিই এখন সেখানে করছো দিনযাপন
তুমি বলেছিলে করবে না আপস চলবে নিজের মতোন
জীবনের বাঁক পেরিয়ে গোলক ধাধায় হলো কি এখন
বিকিকিনির বেলা ফুরিয়ে গেছে যে হাটে
গাঢ় বেদনার আকুলতা নিয়ে তাকিয়ে আছো চোখে চোখ রেখে
শূন্যতা ছাড়া পাবে না সাড়া, আজীবন কেউ কি অপেক্ষায় থাকে?

লাগছে কেমন, কি অনুভূতি
লাগছে কেমন, কি অনুভূতি
নেই এতটুকু কোনো বাড়ি-ঘর
কেউ গোনে না তোমায়, জানে না নাম-পরিচয়
এ জীবন কি এক গড়ানো পাথর?

ডুব দিয়েছিলে মদে, বেহায়া নাচে জুয়াবাজি ভাঁড়ামোতে
চেয়ে দেখোনি আশেপাশে ফেরাতে কে চাইছে ইশারাতে
ভালো মন্দ বেছে নেয়ার ছিল তোমার অধিকার
পেতে রাখা ফাঁদে পা দিয়েছো তুমি বারে বার
আগামীর কথা না ভেবে ছুটিয়েছো টগবগে ঘোড়া
জাদু-নগরীর ঝকমারিতে তুমি হয়েছিলে দিশেহারা
সম্মোহন ভাঙলে জেগে ওঠে দেখো ফুরিয়েছে বেলা
লুট হয়ে গেছে পথের রসদ, বাকি আছে বহু পথচলা

লাগছে কেমন, কি অনুভূতি
লাগছে কেমন, কি অনুভূতি
নেই এতটুকু কোনো বাড়ি-ঘর
কেউ গোনে না তোমায়, জানে না নাম-পরিচয়
এ জীবন কি এক গড়ানো পাথর?

রঙিন প্রাসাদে তোমাকে ঘিরে জমতো জমকালো মেলা
রাজকন্যা তুমি অনন্যা হয়ে খেলে গেছো পাতানো খেলা
শোভন ব্যবহার দামী উপহার পিছু নিয়েছিল তোমার
হীরের অলংকার পেলে স্বেচ্ছায় হয়েছো কামনার শিকার
তুমি হয়ে ওঠছিলে যেন রসে ভরা এক আমুদের ভান্ডার
যদি নেপোলিয়ান ডাক পাঠাতো তুমি করতে না অস্বীকার
ছুটে যেতে মন রাঙাতে, নেই তোমার কিছু বাকি হারাবার
সময়ের নানাবাঁকে সব হারিয়ে শূন্য হয়ে গেছো তুমি আজ
গোপনীয়তা বিলিয়ে দিয়ে নগন্য হয়ে হারালে মাথার তাজ

লাগছে কেমন, কি অনুভূতি
লাগছে কেমন, কি অনুভূতি
নেই এতটুকু কোনো বাড়ি-ঘর
কেউ গোনে না তোমায়, জানে না নাম-পরিচয়
এ জীবন কি এক গড়ানো পাথর?





লাইক এ রোলিং স্টোন/ জীবন কি এক গড়ানো পাথর


Like a Rolling Stone
WRITTEN BY BOB DYLAN

Once upon a time you dressed so fine
You threw the bums a dime in your prime, didn’t you?
People’d call, say, “Beware doll, you’re bound to fall”
You thought they were all kiddin’ you
You used to laugh about
Everybody that was hangin’ out
Now you don’t talk so loud
Now you don’t seem so proud
About having to be scrounging for your next meal

How does it feel
How does it feel
To be without a home
Like a complete unknown
Like a rolling stone?

You’ve gone to the finest school all right, Miss Lonely
But you know you only used to get juiced in it
And nobody has ever taught you how to live on the street
And now you find out you’re gonna have to get used to it
You said you’d never compromise
With the mystery tramp, but now you realize
He’s not selling any alibis
As you stare into the vacuum of his eyes
And ask him do you want to make a deal?

How does it feel
How does it feel
To be on your own
With no direction home
Like a complete unknown
Like a rolling stone?

You never turned around to see the frowns on the jugglers and the clowns
When they all come down and did tricks for you
You never understood that it ain’t no good
You shouldn’t let other people get your kicks for you
You used to ride on the chrome horse with your diplomat
Who carried on his shoulder a Siamese cat
Ain’t it hard when you discover that
He really wasn’t where it’s at
After he took from you everything he could steal

How does it feel
How does it feel
To be on your own
With no direction home
Like a complete unknown
Like a rolling stone?

Princess on the steeple and all the pretty people
hey’re drinkin’, thinkin’ that they got it made
Exchanging all kinds of precious gifts and things
But you’d better lift your diamond ring, you’d better pawn it babe
You used to be so amused
At Napoleon in rags and the language that he used
Go to him now, he calls you, you can’t refuse
When you got nothing, you got nothing to lose
You’re invisible now, you got no secrets to conceal

How does it feel
How does it feel
To be on your own
With no direction home
Like a complete unknown
Like a rolling stone?


সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:২৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস-পরীক্ষার হলে দেরিঃ পক্ষ বনাম বিপক্ষ

লিখেছেন BM Khalid Hasan, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

×