বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আটক পাঁচ আসামির সাজা বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করবে আসামিপ। আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, রিভিউ আবেদন করার পর ওই আবেদন আপিল বিভাগে নিস্পত্তির পর ২১ থেকে ২৮ দিনের প্রশ্ন আসবে। তাই কবে নাগাদ রায় কার্যকর হবে, তা সুর্নিদিষ্ট করে বলা মুসকিল। জানা গেছে, গতকালই রায়ের চিঠি কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির করা আপিল খারিজ করে দেন। আসামি পরে আইনজীবী মামুন বলেন, আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করার সুযোগ নেই। তবে সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আসামির রিভিউ আবেদন করার সুযোগ আছে। আসামিরা যদি এ আবেদন না করেন তবে কারা কর্তৃপ রায়ের কপি পাওয়ার পর ২১ দিন থেকে ২৮ দিনের মধ্যে রায় কার্যকর করতে পারবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী মামুন জানান, আবেদন নিস্পত্তির পর আসামিরা সিদ্ধান্ত নিবেন, রাষ্ট্রপতির কাছে মা চাইবেন কিনা। ব্যাক্তিগত প্রতিক্রিয়ায় আইনজীবী মামুন বলেন, বহুল প্রত্যাশিত রায় ঘোষনা করেছেন আপিল বিভাগ। তবে আসামিরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবী করেছেন।
আইনজীবী মামুন বলেন, কারা কর্তৃপ রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি পাওয়ার পর সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে মা প্রার্থনা করবেন কিনা তাদের কাছে জানতে চাইবেন। আবেদন করার পর রাষ্ট্রপতি মা না করলে রায় কার্যকর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নিু আদালতে বিচার চলাকালে তৎকালিন আওয়ামী লীগ সরকারই আইনাসুযায়ী আসামি পে সরকারি খরচে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিলেন। উচ্চ আদালতে তিনি আসামিদের পে মামলা পরিচালনা করেন। তাই ‘একজন আইনজীবী হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি এবং আইনজীবী হিসেবে আসামিদের আইনগত সহায়তা দিয়েছি।’

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



