আলাদিনের চেরাগ পেয়েছে নাকি? আলাদিনের চেরাগ না পেলেও দেশরত্নের প্রতিনিধি হিসেবে সোনালী ব্যাংকের টাকার ভল্টের খোঁজ তো পেয়েছে। না, যেহেতু তিনি নারী, আলাদিনের চেরাগ পাওয়ার সাথে তুলনা না করে সোনার ডিম পাড়া হাঁসের সাথে তুলনা করাই মনে হয় মানানসই হবে!
মফস্বলের মধ্যমানের এক স্কুলের শিক্ষিকা। আচ্ছা, বাংলাদেশের স্কুল শিক্ষিকাদের মাসিক বেতন আর কত? পাঁচ হাজার? বেশি হলে দশ হাজার। জীবন যাপন তাই ছিল মধ্যবিত্তের মতোই। বলছি জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী নামের এক স্কুল শিক্ষিকার কথা। বছর চারেক আগেও চলাফেরা করতেন রিকশায়। মধ্যবিত্ত আর দশজনের মতোই সাদামাটা জীবন-যাপন ছিল তার। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পরই রাতারাতি পাল্টে যেতে থাকে অবস্থান। কোটি কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স, বাড়ি, গাড়ি, জমি কি নেই তার?!
হ্যাঁ হেনরি, সোনার ডিম পাড়া এক হাঁস। দেশরত্নের নির্দেশে সামান্য স্কুল শিক্ষিকাও দেশের সর্ববৃহৎ পাবলিক ব্যাংকের পরিচালক। এরপর থেকেই সোনার ডিম পাড়া শুরু। সোনালী ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার পর থেকে ঋণপ্রদান, চাকরি বাণিজ্য, কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, বদলি, ঋনমওকুফ, শাখা খোলা সহ বিভিন্ন তদবির বাণিজ্যের মাধ্যমে গত সাড়ে তিন বছরে হেনরী শত শত কোটি টাকার মালিক। হলমার্কের চুরির চার হাজার কোটি টাকা থেকে ১% পেলেও হেনরীর ভাগে পড়ে চল্লিশ কোটি! আর হেনরীরা কিন্তু মিনিমাম ৫০% ছাড়া কথাই বলেনা। দেশরত্নের ছেলে-মেয়ে-বোনরা বিদেশে সুখে দিনাতিপাত করতে করতে দেশের জন্য কতো চিন্তা করে! তাদের একটা সম্মান আছে না?! তাদের কত্তো খরচ!
স্বাধীনতার স্বপ্ন হেনরীদের মাধ্যমে অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে। স্বাধীনতা এনেছে নাকি দেশরত্নের পিতা, সেই স্বাধীনতার চেতনার বাস্তবায়ন কিভাবে হবে তা তারাই ঠিক করবে। জনগণের কিছুই বলার নেই, বললে যদি আবার যুদ্ধাপরাধ হয়ে যায়! তবে পুরুষরা কিন্তু হেনরীদের মতো এরকম সোনার ডিম পাড়া কাউকে খুঁজে নেয়ার চেষ্ঠা করতে পারেন! স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে হেনরীরা কয়েক বছরের ভিতর বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বানিয়ে আপনার সবকিছুই উজ্জ্বল করে দিবে! সাথে দেশরত্নকে পাবেন। শুধু তার পরিবারের সদস্যেদের ডিমের ভাগ দিয়ে গেলেই চলবে...
রিলেটেড পোস্ট- কয়েকটি দৃশ্যপট .... নেত্রীর দিনকাল!
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৭