somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি রুপকথা...খুব ভোরেই ঘুম থেকে উঠতে হতো সইশিরোকে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাবার পেশা ছিল কামারের কাজ। বাবাকে সাহায্য করার জন্যই তাকে উঠতে হতো সকাল সকাল, কারন কাজ শেষে আবার স্কুলেও যেতে হবে। এত পরিশ্রম করেও আর চলছিল না তাদের। সংসারের বোঝা দিন দিন বেড়েই চলতে থাকে। বাবা ১৯০৬ সালের ১৭ই নভেম্বর তারিখে একটা সাইকেল মেরামতের দোকান চালু করে। গ্রামের পরিবেশ আর ভঙ্গুর অর্থনীতির সাথে লড়াই করে টিকে থাকার প্রানান্তকর চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়না। বাবার কষ্টের অংশীদার হতে সইশিরো মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে পারি জমায় টোকিওতে। আশা একটাই- একটা চাকরী। অনেক ঘুরে ফিরে খেয়ে না খেয়ে ক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে যেত, পরদিন আবার পথচলা… একটা চাকরির আশায়। অবশেষে টোকিওর একটা গ্যারেজে কাজ করার সুযোগ পায় ১৯২২ সালে। ১৯২২ সাল থেকে ১৯২৮ সাল পর্যন্ত অত্যন্ত মনযোগ দিয়ে গাড়ী মেরামতের কাজ শেখে এবং দীর্ঘ ৬ বছর পর নিজেই একটি ছোট গাড়ী মেরামতের কারখানা খুলে বসে। যদি একেই ভাগ্য বলে থাকে তবে তাই… সইশিরোর ভাগ্য দ্রুতই বদলাতে থাকে। সেই ছোট্ট কারখানাটি ধীরে ধীরে রূপ নেয় গাড়ীর পিষ্টন রিং বানানোর কারখানায়। সে তার কারখানার নাম দেয় “The Tokio Seiki Co. Ltd”।
এবার বোধহয় একটু ঝামেলাই বাঁধলো তার ভাগ্যের সাথে। দীর্ঘ সাত বছর কোম্পানীটি চালিয়েও তেমন ভাল কিছু করতে পারলোনা সইশিরো। তবে সে হতাশ হবার পাত্র না, সে ছিল অনেক চিন্তাশীল মানুষ। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ঘর ছেড়েছে, ছেড়েছে লেখাপড়াও, তারপরেও সে বেশ বুঝতে পেরেছিল যে নিশ্চই তার কাজ শেখায় কোন ঘাটতি আছে। তাই ১৯৩৫ সালে সে কারিগরি স্কুলে ভর্তি হয়। যে স্বপ্নের জন্য সে ঘুমাতে পারতোনা সেটা ছিল একটা কারখানা, যেখানে বানানো হবে গাড়ীর পিষ্টন রিং।


সে স্কুল তাকে অনেক কিছুই দিয়েছে। সে এতটাই মনযোগ দিয়ে কাজ শেখে যে পরবর্তীতে তার কারখানায় শুধু গাড়ী নয় মোটর সাইকেল এমনকি এরোপ্লেনেরও পিষ্টন বনানো শুরু হয়। ১৯৪৮ সালের দিকে সে চিন্তা করলো যে, ব্যাবসাই যখন করতে হবে তখন ভিন্ন রকম কিছু করলে মন্দ হয়না। সে চিন্তা করলো মোটর সাইকেলের চাহিদা এখন অনেক বেশি এবং খুব কম কোম্পানীই এটি তৈরি করে। সে খুব দ্রুত মাত্র ১৩ জন কর্মচারী নিয়ে হামামাতসুতে মোটর বাইক তৈরীর কোম্পানী চালু করে। যে ছাউনিতে তারা কাজ করতো তার আয়তন ছিল মাত্র ১২ বাই ১৮ ফুট।
এক বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম করে তারা তাদের প্রথম মোটর সাইকেল বাজারে আনে যার নাম Dream-D এবং দুই বছর পর তারা ১৫০০ সিসির E-Dream নামের আরকটি মডেল বাজারে আনে। প্রতিটি মডেল থেকে তারা অভুতপূর্ব সাফল্য পায়। সইশিরো আর পেছনে ফিরে তাকায়নি। ১৯৫৯ সালে সে একটি অনেক বড় কারখানা স্থাপন করে যেখানে প্রতি বছর ৫০০০০০ ইউনিট মোটর সাইকেল বানানো যাবে।
/:)
এত সফলতার পর সে ভাবতেই পারে তার নিজ দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের বাজারে প্রবেশ করতে। কারন তার মোটর সাইকেলগুলো চালানোয় ছিল সহজ, দামে সস্তা এবং টেকসই। তার পরামর্শকরা তাকে পরামর্শ দেয় প্রথমে এশিয়া এবং ইউরোপে বাজার স্থাপন করতে তারপর আমেরিকাতে। কারন আমেরিকার মানুষ মোটর সাইকেলে চড়তে অভ্যস্থ নয়।

বাকীটা পড়তে এখানে ক্লিকান
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×