শীত আসে শীত যায়, আমরা শহুরে মানুষেরা টেরই পাই না। গ্রামীণ শীত উপভোগ করার জন্য আমরা গত কয়েক বছর যাবত ঢাকার খুব কাছেই নাগরীতে ধানি জমির মাঝে আমাদের আশ্রমের জন্য নিজেদের কেনা জমিতে তাবু খাটিয়ে অন্ততো এক রাত থেকে আসি। পুকুর সেচে মাঝ ধরার আয়োজন করি।
আয়োজন থাকে অনেক। ৭/৮ টা মশাল তৈরি করা হয়, সেগুলি সারা রাত জ্বলতে থাকে তাবু আর পুকুরের চারপাশে।
তাবুর সামনে ২টি বিশাল ক্যাম্প ফায়ারের ব্যবস্থা করা হয়। একটি সারা রাত জ্বলে, অন্যটি আগুন নিভিয়ে তার কয়লায় করা হয় মাছ আর মুরগির বারবিকিউ।
নিজেরাই রান্না করি হাঁসের ঝাল ভুনা।
ভাত, ডাল, তরকারি, ভর্তা আসে গ্রামের গৃহস্থ বাড়ি থেকে রান্না হয়ে।
গতবছর আমরা ঠিক করি ধান খেতের মাঝে আমাদের জমিতে বসিয়ে এক সন্ধ্যায় পরিচিত বন্ধু-বান্ধবদের বারবিকিউ করে খাওয়াবো।
খাওয়াটাই বড় বিষয় নয়, সবাই একসাথে বসে গ্রামীন পরিবেশে শীত উপভোগ আর গেট-টুগেদার করাটাই উদ্দেশ্য ছিলো।
আমরা ঠিক করলাম, সবার কাছ থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা নেয়া হবে যাতে কতজন কনফার্ম যাচ্ছে তার একটা হিসাব আগেই পাওয়া যায়। কারণ মাছ, মুরগি আর মসলা কেনার বিষয় আছে, পরোটা অর্ডার করতে হবে সেই হিসেবেই।
সেইবার ১০০ টাকায় দেয়া হয়েছিলো
কোরাল মাছের বারবিকিউ
তেলাপিয়া মাছের বারবিকিউ
চিকেন বারবিকিউ
পরোটা, ডিম ভাজি,
মুড়ি, কোক, পানি
ইত্যাদি।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেলো যারা চাঁদা দিয়েছে তাদের প্রায় দ্বিগুণ লোক উপস্থিত হয়ে গেছে। তারা উপস্থিত হয়ে চাঁদা দিয়েছে। খাবার পর্যাপ্ত থাকায় তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। বরং আমদের নিজেদের ভর্তুকি কিছুটা কমেছিলো।
এই বছর ২০২০ সালের শীত বিলাসের আনুমানিক প্লান
শীত বিলাসের ইভেন্টটিকে ২টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
প্রথম ভাগ শুরু হবে ২৬শে নভেম্বর বিকেলে।
আমরা কয়েকজন (৭/৮জন) যারা গ্রামীন পরিবেশে রাতে তাবুতে থাকতে চাই তারা তাবু ও শীতের জামা সহ আশ্রম প্রান্তরে পৌছে যাবো বিকেলের মধ্যেই।
খানা খাজানা
# ২৬ তারিখ সন্ধ্যায় গরুর দুধের কফি ও হালকা নাস্তা।
# ২৬ তারিখ রাতের খাবারে থাকবে নিজেদের রান্না করা হাঁসের ঝাল মাংস ভুনা, ক্ষেতের চালের সাদা ভাত এবং ভর্তা।
# ২৭ তারিখ সকালের নাস্তায় পরোটা, ডিম ভাজি / সবজি এবং চা।
# ২৭ তারিখ দুপুরের খাবারে থাকবে ক্ষেতের চালের সাদা ভাত, শোল মাছ দিয়ে লাউ, ফুলকপির তরকারি, টাকি ও আরো কয়েক পদের ভর্তা এবং টাকি মাছ দিয়ে মাসকলাই ডাল।
দ্বিতীয় ভাগ শুরু হবে ২৭শে নভেম্বর বিকেলে।
এই ভাগে যারা অংশ নিবে তারা (১৫/১৭ জন) নিজ দায়িত্বে ২৭ তারিখ বিকেলের মধ্যে শীতের জামা সহ আশ্রম প্রান্তরে পৌছে যাবে।
খানা খাজানা
তিনটি বড় কোনো মাছের বারবিকিউ
বড় সাইজের তেলাপিয়া মাছের বারবিকিউ (জনপ্রতি একটি)
মুরগির ঝাল ভুনা
পরোটা
মুড়ি মাখা
কোমল পানিয়
পানিয় জল
======================================
মনে রাখতে হবে :
ইভেন্ট চলাকাীলন যেকোন রকম ত্রুটি বা অব্যবস্থাপনা দেখা দিলে বা কোনো সমস্যা সামনে আসলে মেনে নেওয়ার মন মানসিকতা থাকতে হবে।
সকল কাজে সহযোগীতা করতে হবে।
করোনা সতর্কতা :
ইভেন্ট চলা কালে সামাজিক দূরত্ব যতটা সম্ভব বজায় রাখতে হবে।
সবসময় মাস্ক পরিধান করে থাকতে হবে।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
আশ্রমের পক্ষ থেকে সার্জিক্যাল মাস্ক সরবরাহ করা হবে।
কারো জ্বর-ঠান্ডা-কাশি থাকলে ইভেন্টে আসা থেকে বিরত থাকতে হবে।
শীতসতর্কতা :
সন্ধ্যা থেকে মোটামুটি শীত থাকবে।
চোখে দেখা না গেলেও বেশ ভালো শিশির পরবে।
এক ঘন্টার মধ্যে ঘাস ভিজে যাবে। তাই নিজ নিজ মাথা নিজ দায়িত্বে শুকনা রাখার জন্য ক্যাপ / টুপি নিতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭