দিন কতক আগে আমরা আশ্রমে কয়েকটি পিকনিকের মতো করে আনন্দ করে এলাম। সামুতে তার কিছুটা জানিয়েছি আবার কোনো দিন বৃষ্টিতে ডুব দিবো পুকুরের জলে...., আবার কোনো দিন বৃষ্টিতে ডুব দিবো পুকুরের জলে.... (ছবি ব্লগ), আশ্রম বিলাস পোস্ট গুলিতে। এর চেয়েও বেশি ছড়িয়েছে ফেসবুকে। এলাকায় বেশ সারা পরে গেছে। অনেকেই যেতে চাচ্ছে আশ্রমে সয়ম কাটাতে।
এই কয়েকদিন আগে বন্ধু হীরার শেলক তার গোটা দশেক বন্ধু নিয়ে আশ্রমে চলে যায় রাত কাটাতে। সবাই আমার এলাকারই ছোটরা, যদিও ছবি দেখে আমি প্রায় কাউকেই চিনতে পারছি না!! যাইহোক, ওরা ৪টি মটর সাইকেল নিয়ে গিয়েছিলো আশ্রমে। ওরা আশ্রমে পৌছানোর পরপরই সেখানে একদল পুলিশ গিয়ে হাজির হয়। পুলিশ তাদের পুলিশি ধমক দিয়ে বলে কেউ দৌড় দিবি না।
হুটকরে পুলিশের এমন উপস্থিতি আর ধমকের কারণে বেচারারা হকচকিয়ে যায়। বিষয় কি বুঝে উঠতে পারে না। তারমধ্যে আমরাও কেউ নাই, আর ওদের সাথে বড়ও কেউ নাই। কি একটা পরিস্থিতি বুঝেন। পরে পুলিশের কাছ থেকে জানা যায় আমাদের আশ্রমে যে ছেলেটা দেখাশোনা করার জন্য নিয়োগ দেয়া আছে (দিপঙ্কর) তার নামে ওয়ারেন্ট ছিলো। তাকে ধরে হাতকড়া পরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু আমরা জানি দিপঙ্কর কোর্টে হাজিরা দিয়ে খালাশ হয়ে এসেছে। কিন্তু সমস্যা হয়েছে সে কোনো একটা কাগজ জমা দিয়ে এসেছে থানায়। কিন্তু থানা থেকে সেই কাগজ পুলিশফারিতে পাঠায় নাই বলে ফারির পুলিশ এসে ধরেছে ওকে। বন্ধু হীরা ফোনে পুলিশের সাথে কথা বলে, কাগজ দেয়ার কথা জানা। পুলিশ মানতে চায় না। এখন দিপঙ্করকে নিয়ে গেলে আমাদের ছেলেগুলি ঐখানে নিজেরা জোগাড়যন্ত্র করতে হিমশিম খেয়ে যাবে। পরে পুলিশকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করিয়ে দিপঙ্করের বাবাকে দিয়ে সেই কাগজের কপি আনিয়ে পুলিশকে দিলে পরে ব্যাপারটার সমাধান হয়।
তো প্রাথমিক এই ধাক্কার পরে বাকিটা সময় ওরা বেশ আনন্দেই কাটাতে পরেছে। শুধু পানির কিছুটা সমস্যা ছিলো। কারণ দিপঙ্কর আমাদের সাবমার্সিবল পাম্পটি জালিয়ে ফেলেছে। তাই খাবার পানি পাশের মন্দির থেকে আনতে হয় এখন। হিসাব করে দেখা গেছে আরো অন্তত ৫০ হাজার টাকার কাজ করতে হবে পাম্প-ব্যাটারি-কনভাটার-ওয়ারিং-সুইচ-লাইট ইত্যাদির পিছনে।
যাইহোক, ঝামেলা শেষ হওয়ার পরে ওরা নিজেদের মতো আনন্দে মেতে উঠে। সন্ধ্যার পরে বারবিকিউ আর পরটা করে নিজেরাই। বারবিকিউয়ের সকল ব্যবস্থাই আছে আমাদের আশ্রমে। রাত কিটিয়ে পরদিন বাজারে গিয়ে গরুর মাংস, দুধ, সেমাই সহ আরো যা যা দরকার সব কিনে এনে দুপুরের খাবার আয়োজ শেষ করে। বিকেলে সেমাই খেয়ে সন্ধ্যার পরে ফিরতি পথ ধরে ওরা। ফেসবুক থেকে পাওয়া ওদের তোলা ছবিগুলি দিয়ে সাজিয়েছি এই পোস্টটি।
=================================================================
আশ্রমের কথা :
আশ্রম নিয়ে সামুতে প্রথম পোস্ট : প্রায় কাল্পনিক একটি রাতের চিত্র
বৃষ্টি বিলাস
গল্প কিন্তু গল্প না
বর্ষার জলে অবগাহন চিত্র
শীত বিলাস ২০২২
এবার আগাম জোয়ার এসেছে!!
আশ্রমের পুকুরে দ্বিতীয় দফায় মাছ ধরা হলো
আবার কোনো দিন বৃষ্টিতে ডুব দিবো পুকুরের জলে....
আবার কোনো দিন বৃষ্টিতে ডুব দিবো পুকুরের জলে.... (ছবি ব্লগ)
আশ্রম বিলাস
=================================================================
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:২২