যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়েও সরকার কেমন জানি গোলমেলে করে ফেলছেন। প্রথমে জাতিকে শোনানো হলো যে আমরা যুদ্ধাপরাধিদের বিচার করবো, এরপর একজন প্রখ্যাত মন্ত্রী বললেন যে না আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নয় বরং মানবতাবিরোধী অপরাধে অপরাধী ব্যক্তিদের বিচার করবো, কয়েকদিন যেতে না যেতেই আর একজন বিখ্যাত মন্ত্রী বলে ফেললেন, ও সব নয় আমরা বিচার করবো রাজাকারদের! কোন মন্ত্রী বলেন এই বিচার হবে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে, কয়েকদিন পরে আবার তিনিই বললেন- না, আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে নয় বরং এই বিচার হবে ডমেস্টিক ট্রাইবুনালে। এরকম একটা স্পর্ষকাতর বিচারের ক্ষেত্রে এক এক সময় এক এক কথা যদি মন্ত্রী মহোদয়েরা বলতে থাকেন তাহলে সেই বিচার নিয়ে যে কারই সন্দেহ হতে পারে- যা ইতোমধ্যে হয়েছে। এখন অনেকেই বলছেন যে এটা আসলে যুদ্ধাপরাধের বিচার নয়, এটা হলো বিরোধীদলকে দমনের বিচার।
যদি তাই না হবে তাহলে নিজের দলের মধ্যে যে সকল যুদ্ধাপরাধী আছে তাদেরকে দিয়েই সরকার এই বিচার শুরু করলো না কেন?
আমরা ইতোমধ্যেই শুনেছি যে, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানের পরে শক্তি ছিলেন। তিনি এটা চাননি যে বাংলাদেশ স্বাধীন হোক কারন তিনি তখন পাকিস্তান সরকারের অধিনে চাকরী করছিলেন। সংগত কারনেই যিনি যুদ্ধ চলাকালিন সময়েও পাকিস্তান সরকারের অধিনে চাকরি করেন তিনি তাদের অধিনতা স্বীকার করেই চাকরি করেছেন, আর যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে নিশ্চিই তিনি বাংলাদেশের পরে কেউ নন। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদেরকে এটা ল্য করতে হচ্ছে যে সেই ব্যক্তিটিই এখন আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে আমাদেরকে শাসন করছেন! যারা বলেন মতিউর রহমান নিজামী রাজাকার তার গাড়িতে আমাদের দেশের পতাকা উড়ানো লজ্জাস্বকর যদি সেটা তর্কের খাতিরে মেনে নেইও তাহলে প্রশ্ন করাটা স্বাভাবিক যে, আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গাড়িতে যে জাতীয় পতাকা উড়ছে সেটার কি হবে! নিজামী তো পাকিস্তান সরকারের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী ছিলেন না কিন্তু ম.খা. আলমগীরতো পাকিস্তান সরকারের কর্মকর্তাই ছিলেন। তাহলে বাংলাদেশ হওয়ার বিপে যদি কেউ বেশি ভূমিকা রাখতে পারে সে হলেন আলমগীর সাহেব নিজামী নন। রাজাকার নিয়োগ দেওয়ার যদি কারো মতা থেকে থাকে তাহলে আলমগীর সাহেবরই ছিল নিজামী সেখানে পাত্তাই পাওয়ার কথা নয়। তাছাড়া আমাদের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তখনকার সময়ে তার ভাতিজা মুনতাসির মামুনকে নিজ বাসায় আশ্রয় দিয়েছিলেন। মুনতাসির মামুন বরাবরই মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিলেন, যার কারনে তিনি নিজেও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন নি। কিন্তু মজার বিষয় হলো দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে পরেই এই পাকিস্তান পন্থিরা একেবারে ইউটার্ণ দিয়ে বাংলাদেশের পে অবস্থান নিলেন! এই সব অপরাধীদের না দেখে সরকার ইসলামী দলকে দমনের জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে আর এজন্যই তো বলি- এসব যেন কানার হাট-বাজার।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



