ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের সূচনা হয়েছিল মুলত ইউরোপে, এবং তা ছিল রাষ্ট্র পরিচালনায় খ্রিস্টীয় গীর্জার হস্তক্ষেপ ও দুর্নিতি থেকে মুক্ত হওয়ার একটি আন্দোলন। ইউরোপে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের সফলতার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল খ্রিস্টীয় গীর্জার অব্যবস্থাপনা এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে পার্দীদের দ্বারা আরোপিত প্রতিবন্ধকতা।মুলত ততকালীন ইউরোপের জ্ঞান-বিজ্ঞানে অগ্রসর লোকদের উন্নয়নের এছাড়া আর কোন পথই খোলা ছিল না।
কিন্তু, একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার কোন প্রয়োজনই থাকে না যেহেতু ইসলাম ধর্ম জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় কোনরূপ প্রতিবন্ধকতাতো আরোপ করে না বরং তাকে আরো উতসাহিত করে। এছাড়া ইসলামের সুমহান রাজনৈতিক বিধানের আলোকে একটি আদর্শ কল্যাণরাষ্ট্র পরিচালিত হতে পারে। সংখ্যাগরিষ্ট লোকজন মুসলিম হওয়ার দরুণ ইসলামী রাষ্ট্র তার গণতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্যও অক্ষুন্ন থাকে। আর ইসলামে অমুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত থাকায় অমুসলিম সংখ্যালঘুদের অধিকারের অযুহাত দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে কথা বলার কোন য়ৌক্তিক কারণ নেই।
মুল বিষয় হল, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশের অধিবাসী হয়েও যে সকল মুসলিম নামধারী ব্যক্তি ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি করেন তারা ইসলাম সম্পর্কে যথার্থ ধারণার অভাবেই তা করে থাকেন অথবা এটা তাদের মুনাফিকি। তারা কি ইসলাম যে একটি পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান এ ব্যাপারে কোরআনের বাণী বিশ্বাব করেন? (বিশ্বাস না করলে তাদের ঈমানদার হওয়ার দাবি মিথ্যা) ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হওয়ায় এতে রাষ্ট্র পরিচালনার বিধানও রয়েছে- একজন মুসলিম মাত্রই এ বিশ্বাস পোষন করেন।
কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলছেন, " হে ঈমানদারগণ তোমরা ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ কর এবং মুসলমান না হয়ে মৃত্যু বরণ করো না।" একজন ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির সমর্থক ইসলামকে বাদ দিয়ে অন্য প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপরিচালনার জন্য আন্দোলন করেন বলে তার দ্বারা ইসলামের রাজনৈতিক বিধান বাস্তবায়ন সম্ভব নয় এবং তাই সে একজন পূর্ণাঙ্গ মুসলিম হয়ে মৃত্যুবরণ করার প্রতি আল্লাহর যে নির্দেশ তা কখনোই বাস্তবায়ন করে যেতে পারে না।
আল্লাহ আমাদের তাঁর দ্বীন সঠিকভাবে উপলব্ধি করে পূর্নাঙ্গ মুসলিম হওয়ার তওফিক দান করুন আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১১:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




