বর্তমানে নাটক সিনেমার নতুন ট্রেন্ড হলো নায়িকারা তাদের বয়ফ্রেন্ডদের কথায় কথায় তুই তোকারি করা। বিন্দুমাত্র সম্মান দেয় না বয়ফ্রেন্ডদের। তোয়াক্কাই করেনা তাদের, সামান্যতম শ্রদ্ধা দেখায় না, বিন্দুমাত্র সহানুভূতি থাকে না, সামান্যতম বিশ্বাস থাকে না, নেই এক ফোটা অধিকার। তাহলে ভালোবাসার প্রকাশটা কোথায়? কোথায় গেলো সেই ভালোবাসা নামক আফিম? তাহলে ভালোবাসাটা কি শুধুই শরীরের?
বয়ফ্রেন্ডরা অসহায় আর বেআক্কেলের মতো সেই সাব গালাগালি শুনে যাচ্ছে, সেই সাথে ক্যাবলা মার্কা হাসি দিয়ে তাদের সন্তুষ্ট করার চেষ্টায় ব্যস্ত। হারিয়ে গেছে সেই চিরচেনা ব্যক্তিত্ব।
একইভাবে স্বামিদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। স্ত্রীরা সামান্য কারণে স্বামীদের তুই তোকারি করছে, সামান্য কথা না শুনলে চরম অপমান করছে, কথায় কথায় বাপের বাড়ী চলে যাচ্ছে, সামান্য কথায় না মিললে দিয়ে দিচ্ছে ডিভোর্স। স্বামীর জন্য নেই কোন সহানুভুতি, নেই সম্মান, নেই শ্রদ্ধা, নেই ভালোবাসা, নেই বিশ্বাস, নেই অধিকার। তাহলে থাকলোটা কি?
আর স্বামী বেচারারা অসহায় ভাবে তাদের পদলেহন করে চলেছে, তাদের সব চাহিদা পূরনে ব্যস্ত সর্বদা।
ব্যক্তিত্ববান নায়ক শুধু ভিলেন ও বাবা-মায়ের সামনে। বৌ এর সামনে অধম ভেড়া।
কেন এই অবস্থা? বাস্তবে বলা হচ্ছে দেশে নারী নির্যাতন দিন দিন বেড়েই চলেছে। পুরুষের আধিপত্ব এতো বেশি পরিবারে যে মহিলারা তাদের ইচ্ছাগুলো পর্যন্ত বাস্তবায়ন করতে পারে না। স্ত্রীরা তার বাবা মা কে পর্যন্ত ঠিক মতো দেখভাল করতে পারে না। সেই জায়গায় নাটক সিনেমায় এই অবস্থা কেন? কেন এই ভৌতিক অবস্থা? কেন পুরুষকে হাজির করা হচ্ছে একজন হিজড়া হিসাবে? কেন এতো অহংকারী ও জেদী দেখানো হচ্ছে মহিলাদের?
কারণ সেই যৌথ পরিবার ভেঙ্গে সব সিঙ্গেল ফ্যামিলি করার নীল নকশার মতো। মানুষকে বহু বিবাহ হতে ফিরিয়ে এনে বহু পরকিয়ায় লিপ্ত করার মতো নীল নকশার অংশ।
আজ হতে দশ বছর পর এই সবের বাস্তবায়নের জন্য নাটক সিনেমা-নাটক গুলোতে নায়িকার সামনে নায়কদের হাজির করা হচ্ছে হিজড়া হিসাবে। যেন আমাদের সমাজ, পরিবার, দেশ ধ্বংসের ষোলকলা পূর্ণ করে। পূর্ণ করে ইহুদি খ্রিস্টানদের নীল নকশার নারী প্রধান পরিবার। যেখানে ধ্বংস ছাড়া কিছু নাই।
একটি পরিবারে বাবা-মা, ভাই-বোনের অধিকার, সম্মান যেমন শেষ করে দেওয়া হয়েছে ঠিক সেই ভাবেই স্বামীর অধিকার ও প্রাধান্য শেষ করে দেওয়ার নতুন নীল নকশা করা হচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে শেখানো হচ্ছে গার্লফ্রেন্ড এর সামনে হিজড়া সেজে থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। স্ত্রীর কাছে পোষা কুকুরের ন্যায় থাকতে হয়, তাহলেই সংসারে শান্তি। গাধার মতো সংসারের পুরুষের অবস্থান, গাধার মতোই থাকতে হবে যদি শান্তি চাও। প্রতিবাদ করলেই চলবে মাইর, গালি-গালাজ ও অশ্রাব্য কথা বার্তা।
কি হচ্ছে এসব?
সময় আছে এখনো রুখে দাড়ানোর।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



