পত্রিকায় ১০০ সংখ্যাটা দেখে হঠাত আতঁকে উঠলাম!! তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে নিলাম; মনে মনে বললাম, না! আমি কিছু দেখিনি; অথবা কিছু ভুল দেখেছি। ১০০ টি নিষ্পাপ শিশুকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা!! অসম্ভব! এটা কখনো হয় নাকি???
পাকিস্তানের পেশোয়ারে একটা স্কুলে নাকি এই ঘটনা ঘটেছে; তাও আবার সেই হত্যাকান্ডের দায়িক্ত স্বীকার করে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান না কি যেন নামের এক কুত্তার বাচ্চার দল নাকি বিবৃতিও দিয়েছে!
এমন জঘন্য ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার মনে হয় বিশ্বের কোন দেশের, কোন ভাষার, কোন ডিকশনারীতে নেই!
আমাদের দেশ নিয়ে হাজারো অভিযোগ আছে; এমন কি মুক্তিযুদ্ধে কার কি অবদান তা নিয়েও বিতর্কেরও শেষ নেই। সবকিছু ছাড়িয়ে আমি শুধুমাত্র একটা কারনে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি এই জন্য যে, আমরা পাকিস্থানের মত একটা অসভ্য-বর্বর দেশের অংশ-বিশেষ নই।
অফুরন্ত কৃতজ্ঞতা সেইসব বীর মুক্তিযোধাদের প্রতি, যারা নিজেদের জীবনের বিনিময়ে দেশটাকে পাকিস্থানের হাত থেকে স্বাধীন করেছিল। তাদের এই ঋণ কেমনে শোধ করি???
কে জানে, সেদিন তারা যদি জীবন না দিত, তাহলে হয়ত আজ আমার সন্তান কে স্কুলে যেয়ে এমন লাশ হয়ে ফিরতে হতো!!