পৃথিবীতে ধর্মীয় উগ্রতা সর্বত্রই বিদ্যমান। কোথাও বেশি কোথাও কম। তাই ইসলাম নামধারী উগ্র সংগঠন সারা পৃথিবীতে খুব একটা কম না।তারা বিভিন্ন জায়গাতেই তাদের উগ্র কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে আর দশটা ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের মত। কিন্তু ৯/১১ এর পর সারা বিশ্বজুড়ে বিশ্বমিডিয়া এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে যে দুনিয়াজুড়ে সব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এই গুটিকয়েক উগ্রগোষ্ঠীরাই করে থাকে। বিশ্বমিডিয়ার এইসব তথ্য মানুষকে দারুনভাবেই বিভ্রান্ত করছে। সাধারনত এই মিডিয়াগুলো ইউরোপ আমরিকার এজেন্ডা বাস্তবায়নেই বদ্ধ পরিকর থাকে আর তাই এই ধরনের ভুয়া তথ্য সবার কাছে প্রচার করে।দেখা যায় যে, অনেক অনেক সন্তা্রাসী কর্মকান্ডের সাথে এইসব দেশের এলিট সোসাইটির প্রত্যক্ষ মদদ থাকলেও খুব সহজেই আকডুম বাকডুম বলে আল-কায়েদা আর তালেবানদের নাম জুড়িয়ে দিয়ে নিজেদের সাত খুন মাফ করার পায়তারায় ব্যস্ত থাকে এইসব মিডিয়াগুলোর মাধ্যমে। তবে কথায় আছে,"সত্য কখন গোপন রয় না " আর সে কারনেই এক সময় সব রহস্যের উম্মোচন হয়ে যায় একসময়।কিন্তু তারপরও এইসব মিডিয়া খুব মুন্সীয়ানার সহিত এইসব সত্যকে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। মানে আসল সত্য প্রকাশ করে না। আর করবেই বা কেন তালেবানরা তো অনেক আগেই এর দায় নিয়ে নিয়েছে তাই নতুন করে আসল ক্রিমিনালদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার কোন প্রয়োজন হয়তবা নেই। যাই হোক, এতে করে ক্রমেই মানুষের এইসব মিডিয়াগুলোর প্রতি আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে। তারা কিছু বলার সাথে সাথেই তাদের কথা মানুষ অবলীলায় অবিশ্বাস করে। তাই কোন কোন সময় সত্য তথ্য দিলেও মানুষ অসত্য বলেই ধরে নেয়। এছাড়াও পৃথিবীর নামকরা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও সন্ত্রাস নির্মুলের নামে নিজেরাই সন্ত্রাসকেই ছড়িয়ে দিচ্ছে। তাই আজকাল এফ.বি.আই, আই.এস.আই, রো কিংবা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে মানুষ আজকাল সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবেই মনে করে।আর যারা মনে করে না তারা হয় অজ্ঞানে করে না অথবা সজ্ঞানে চরম ধর্ম বিষেদাগারের কারনে করে না। দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলার মিডিয়াও এই একই পথে হাটছে, তাদের এইরকেম মিথ্যাচারের কারন জামাত বিদ্বেষ না আওয়ামীলীগ প্রেম(গোলামী) তা আমার বুঝতে একটু কষ্টই হয়। পত্র-পত্রিকা আর টেলিভিশন জুড়ে যে সমস্ত মিথ্যা আর বানোয়াট খবর দেখি তা দেখলে একটু অবাকই হতে হয়। অবশ্য এই নিয়ে পুর্বে একটা রিপোর্ট লিখেছিলাম তাই আর ব্যাখ্যায় যাচ্ছি না।তো যাই হোক এইসব মিথ্যাচার করে মিডিয়া কেবল তাদের সুনামই নষ্ট করছে না নষ্ট করছে আগামী প্রজন্মকে। আজকাল পত্রিকা মানেই বিনোদন আর খেলার খবর কিংবা ফান ম্যাগাজিন নিয়ে সবাই ব্যাস্ত থাকে, ভাগ্যিস সেগোলতে হয়ত ভেজাল নাই, না হলে তো পত্রিকাই হয়ত দেশে থাকত না।আর টেলিভিশন খুললে সবার আগে মানুষের নজর টিভি সিরিয়াল আর খেলার প্রতি যে বেশি থাকে তা কাহারও অজানা নহে।তাই মিডিয়া এইসব হলুদ সাংবাদিকতা বর্জন না করলে মানুষ আরো মিডিয়াবিমুখ হয়ে যাবে, যেখানে মিডিয়া খুবই জরুরি একটি মাধ্যম। কিন্তু আমাদের মিডিয়াগুলো সেই পথে না হেটে বিশ্বমিডিয়ার মতই জংগীকায়দায় নিজেদেরকে এগিয়ে নিচ্ছে এবং ধর্মীয় জংগিবাদ আর রেলিজিয়াস ফান্ডামেন্টালিজমের নাম তুলে সেকুলার ক্রিমিনালিজমকে উস্কে দিচ্ছে। যার ফলাফল যে আসলেই ভাল না তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে।
আলোচিত ব্লগ
সব দোষ শেখ হাসিনার !

অনেকদিন পর zahid takes এর ডা. জাহেদুর রহমানের এনালাইসিস ভিডিও দেখলাম। জুলাই আন্দোলনের পূর্বে বিশেষত যখন র্যাব স্যাংশন খায় তখন থেকেই উনার ভিডিও দেখা আরম্ভ করি। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী... ...বাকিটুকু পড়ুন
জামাত/ শিবির কারনামা-১✅

জামাত শিবির ২০০১ নির্বাচনের পরে নাজিরহাট বাজারে চল্লিশ জনের নামের তালিকা ঝুলিয়ে দিয়েছিল । যাদের হত্যা করবে তাদের নাম। বাবা কথাগুলো বলছিল মাকে, আমি ওখানেই ছিলাম। মা রান্না করছিলো,... ...বাকিটুকু পড়ুন
নিঝুম মজুমদার: সত্যের পক্ষে এক নির্ভীক কণ্ঠ
নিঝুম মজুমদার: সত্যের পক্ষে এক নির্ভীক কণ্ঠ
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন যত দ্রুত বদলাচ্ছে, তত দ্রুতই বদলে যাচ্ছে সত্যের রূপ—কেউ লুকিয়ে ফেলতে চায়, কেউ বিকৃত করে, কেউ আবার নিজের স্বার্থে তা ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগার মাঈনউদ্দিন মইনুলকে ১৩ বছর পুর্তি উপলক্ষে অভিনন্দন।

সামুর সুসময়ের আদর্শ ব্লগারদের মাঝে মাঈনউদ্দিন মইনুল হচ্ছেন একজন খুবই আধুনিক মনের ব্লগার; তিনি এখনো ব্লগে আছেন, পড়েন, কমেন্ট করেন, কম লেখেন। গত সপ্তাহে উনার ব্লগিং;এর ১৩ বছর পুর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
নিয়তির খেলায়: ইউনুস ও এনসিপিনামা

২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া আমেরিকান চলচ্চিত্র 'আনব্রোকেন' একটি সত্যি ঘটনার ওপর নির্মিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে, আমেরিকান বোমারু বিমানের কিছু ক্রু একটি মিশন পরিচালনা করার সময় জাপানিজ যুদ্ধ বিমানের আঘাতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।