“আমি জাতির কাছে, আমার ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইছি। যা করেছি তার জন্য আমি ভীষণ লজ্জিত।” এভাবেই নিজের কৃতকর্মের কথা স্বীকার করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। যাকে রবি শাস্রী,নাসের হুসেইন,ডেভিড লয়েড বলেছিলেন একবিংশ শতকের অন্যতম সেরা প্রতিভা,আজ তার অনুভূতির দেয়াল জুড়ে শুধু কান্না। আশরাফুল অন্যায় করেছে সেটা নিশ্চিত। কিন্তু এটাও নিশ্চিত সে ক্ষমাপ্রার্থী। আশরাফুল আজ কাঁদলেন। চোখ কালো ছিল অনেকখানি জলে। ক্ষমা চাইলেন।যার ব্যাটের দুর্দান্ত স্পর্শে বিচ্ছুরিত হত ক্রিকেটের সব ব্যাকরন,সেই আশরাফুল অধোবদনে চোখের জলে জানিয়ে দিলেন জমিয়ে রাখা কথাগুলো।এসময় কথা বলতে বলতে গিয়ে তার রোধ হয়ে আসছিল। মনে হচ্ছিল, এভাবে নায়কের আসন থেকে একেবারে খলনায়ক হয়ে যাওয়াটা তিনি নিজেও যেন মেনে নিতে পারছেন না। আবেগ জড়ানো গলায় আশরাফুল বলেন, ‘আপনারা সবাই আমাকে চেনেন আমি কেমন। ১২ বছর ধরে খেলছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমি কেমন মানুষ, সেটা আপনারা সবাই জানেন। আইসিসির প্রতিবেদন যেহেতু এখনো দেয়া হয়নি, আপনাদের অপেক্ষা করা উচিত।
‘‘বাংলাদেশের মতো ছোট্ট একটি জায়গার বিশাল তারকা তিনি৷ অকপটে যে ভুল স্বীকার করতে পারে, তাঁকে ক্ষমা করে দেয়া উচিত৷”
আমরা ভুলে গেলে চলবেননা আশরাফুল বাংলাদেশের ক্রিকেটের অসাধারণ কিছু কাহিনী রচনা করেছিলেন । সেই টেস্ট অভিষেকেই সেঞ্চুরি তো আছেই, কার্ডিফে তখনকার মহাপরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়াকে বধ করেছিল ১০১ বলে তাঁরই ১০০ রানের ইনিংসটি। পরের ম্যাচেই নটিংহামে ইংল্যান্ডের বোলারদের নাকের জল-চোখের জল এক করে দিয়েছিলেন ৫২ বলে ৯৪ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলে। ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ১৫৮ রানে অপরাজিত থাকা সেই অসাধারণ ইনিংসটিও চোখে ভেসে আছে সবার।
ভুল তো মানুষ করে।জগতিশ্বর পর্যন্ত ক্ষমা করে দেন। আসুন আমরা আশরাফুল এর প্রতি সহানুভতি প্রকাশ করি। ক্ষমা প্রার্থনার সাথে দুটি জিনিস জড়িয়ে থাকে অবিচ্ছেদ্যভাবে, একটি অনুতাপ ও অনুশোচনা আরেকটি হল আন্তরিকতা। দুটিই করেছেন আশরাফুল।
সবার কাছে একটাই প্রশ্ন এত কিছু করা আশরাফুল কি সহানুভতি পেতে পারে না ?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



