![]()
আসুন পুরো চিত্রটি একটু দেখে নেই--- ঢাকা শহরে আজ প্রেসক্লাব, সুপ্রিম কোর্ট চত্বর এবং গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন এলাকাতেই মিডিয়ার প্রধান ফোকাস ছিল। এছাড়া মালিবাগে শিবিরের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে এবং এক স্থানীয় শিবির নেতার মৃত্যু হয়েছে.... আজিমপুর এলাকাতে ১৮-দলীয় সমর্থকদের মিছিল পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মাহলা দলের তিন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ, টিভির ক্যামেরায় হাসিমুখে পুলিশ পিকআপভ্যানে তাদের উঠতে দেখা গেছে।
সুপ্রিমকোর্ট চত্বরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদ আজকের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে চত্বর থেকে বের হতে দেয়নি। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে, পুলিশ জলকামান, টিয়ারগ্যাস ছুড়ে তাদেরকে নিবৃত্ত করে। এক পর্যায়ে দেখা যায় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের ব্যানারে সরকার সমর্থিত এক দল বিক্ষুব্ধ বিরোধী নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে হাইকোর্ট এলাকার দিকে হটিয়ে দেয় এবং তাদের মধ্যে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। একটি মটর সাইকেলও পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, আইনজীবী পরিষদের এই জমায়েতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ওসমান ফারুকও ছিলেন-- দীর্ঘদিন তাকে মিডিয়ার সামনে দেখা না গেলেও আজ তিনি মিডিয়ার সামনে সরকারের দমন-পীড়নের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন।
এছাড়া, জাতীয় প্রেসক্লাবে আওয়ামী ও বিএনপিপন্থি সাংবাদিকদের মধ্যেও ইট-পাটকেল বিনিময় হয়েছে। একজন সিনিয়র সাংবাদিক আহতও হয়েছেন।
অন্য দিকে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে রাত থেকেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। সরকারের দাবি (সৈয়দ আশরাফ বিকেলে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান) বিরোধী নেত্রীর আবেদনের প্রেক্ষিতে তার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। খালেদার বাসভবনমুখী সবকটি রাস্তার মুথে বালুভর্তি ট্রাক রেখে অবরোধ করা হয়। ১০ প্লাটুন পুলিশ মোতাযেন করা হয় বাসভবনের চারপাশে।
দুপুরে বাসা থেকে বের হয়ে খালেদা জিয়া নয়াপল্টন কার্যালযে যাবেন-- এমন খবর প্রচার করে মিডিয়াগুলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি বাসা থেকে বের হতে পারেননি। তার বাসভবন থেকে মই-এর সহায়তা প্রদান করে কিছু মিডিয়া কর্মীকে তার বাসভবনে ঢোকানোর ব্যবস্থা করেন এবং সেই মিডিয়া কর্মীদের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি আজকের কর্মসূচি আগামীকালও চলবে বলে ঘোষণা দেন। এছাড়াও, তিনি উত্তেজিত ভাষায় অনেককে বকাবকি করেন, হুমকি দেন ইত্যাদি ইত্যাদি... আমি সেদিকে যাব না।
আমার প্রশ্ন-- সত্যিই কি তিনি নয়াপল্টনের ফাঁকা কার্যালযে যেতে চেয়েছিলেন? তিনি কি সত্যিই শুধু পুলিশি বাধার কারণে এতটা ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন?
এতকিছুর মধ্যে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতাও তার পাশে ছিলেন না, রাজধানীর কোথাও কোনো স্থানে ১৮-দল ঘোষিত কর্মসূচি সফল করার উদ্যোগ ছিল না....
যানবাহন বিহীন ফাঁকা রাস্তায় রাজধানীর দুর্ভোগক্লিষ্ট কর্মজীবী মানুষের মিছিল।
এমন দৃশ্য নিশ্চয় আশা করেননি বিরোধী দলীয় নেত্রী........... আশাভঙ্গই কি তার ক্রোধ ও উত্তেজনার কারণ নয়?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


