প্রথম ভাবলাম আমরা করোনার চেয়ে শক্তিশালী, তার পরে দেখলাম করোনা আরো বেশি শক্তিশালী।
আমরা ভাবলাম আমাদের করোনা মোকাবেলায় প্রস্তুতি অনেক ভাল, এত ভাল যে আমেরিকাও আমাদের কাছে সাহায্য চায়। পরে দেখলাম আমাদের কোন প্রস্তুতিই নেই। এমনকি কি কি প্রস্তুতি নেয়া দরকার ক্ষেত্র বিশেষে আমরা সেটাই জানি না।
আমরা ভাবলাম করোনা সাধারন সর্দি, কাশি। এখন দেখি এটা সাধারন নয়।
আমাদের মনে হল ডাক্তারদের পিপিই এখনই দরকার নেই। পরে দেখি ডাক্তাররাই আক্রান্ত হচ্ছে।
আমরা প্রথম দিকে যতটা সম্ভব ফানেলিং করে করোনা টেষ্ট করেছি, এখন দেখছি প্রথম থেকেই আরো অনেক বেশি টেষ্ট করা উচিত ছিল।
আমরা এতদিন পরে ডাক্তারদের জন্য পিপিই সংগ্রহ করছি, কিন্তু এর মধ্যে অনেক ডাক্তার আক্তান্ত হয়ে পরেছে।
বিভিন্ন হাস্পাতালে মাস্ক পাঠানো হচ্ছে কিন্তু তা খুবই নিম্ন মানের। এটাও হয়ত এক সময়ে ঠিক হবে, তবে এর মধ্যে আরো কিছু ক্ষতি হবে।
যারা এই সকল মাস্কের ক্রয় আদেশ দেন, অনুমোদন দেন ও রিসিভ করেন, এদের কি আইনের আওতায় আনা যায় না? এদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানা যায় নি। তবে নারায়নগঞ্জের যে ডাক্তার নিম্ন মানের মাস্কের ব্যপারে অভিযোগ করেছেন, তাকে ঠিকই ট্রান্সফার দেয়া হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ হয়েছে।
আমরা চোরদের মাধ্যমে ত্রা দেয়া শুরু করলাম, এখন ভাবছি আর্মি দিয়ে দেয়া উচিত ছিল।
তারপরেও আমরা যা ত্রান দিতে পারছি তা পর্যাপ্ত নয়। আমাদের কাছে কোন হিসেব নাই ঠিক কত মানুষের খাদ্য সহায়তা দরকার, কি পরিমান দরকার। কত দিন দরকার। কিভাবে এই সাহায্য দেয়া হবে।
এই বর্তমান সময়ে সাপোর্টের পাশাপাশি কৃষকদের কিভাবে সাহায্য করা যাবে তার তেমন কোন পরিকল্পনা নাই, কৃষকদের বর্ত্মান খাদ্য সাহায্যের চেয়ে বেশি প্রয়োজন উতপাদিত পন্য বিক্রির ব্যবস্থা করা। যাতে সে টিকে থাকতে পারে এবং আগামী বছরের চাষের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে।
আমরা হয়ত সবই শেষ পর্যন্ত করব কিন্তু গাধার মত জল ঘোলা করে। এর মধ্যে অনেকটা ক্ষতি হয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯