আমি আজ যেটি লিখব ও আগের লেখা (দূর্নীতি ও আমাদের সমাজ) দুই টি আমার বাবা লিখেছিল প্রায় ৩০ বছর আগে। তিনি গত হয়েছেন ১৯৮৪ সালে, কিন্তু লেখাগুলোর উপযোগীতা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আরো কিছু লেখা আছে, যা পরবর্তিতে এখানে লেখার আশা করছি। আপনাদের মতামত জানালে খুশী হব।
প্রতিটি মানুষ আমরা শান্তি খুজে ফিরছি আর তার জন্য আশ্রয় নিচ্ছি বিভিন্ন ধর্মের। কিন্তু পারছি কি শান্তি আনতে? বরং অশান্তি দিন দিন বেড়েই চলছে। সব জায়গায় অশান্তি - সে আরব ইসরাইল হোক, ইরাক ইরান হোক অথবা আমাদের প্রতিটি ঘরে ঘরে হোক, শান্তি নাই। সব জায়গায় ঝগড়া বিবাদ, মারামারি হানাহানি লেগে আছে। কিন্তু কেন? এই কেনর জবাব পেতে হলে আমাদের একটু চিন্তার অতলে ডুব দিতে হবে।
বিধাতা যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার সবকিছুকে তার নিজস্ব ধর্ম দিয়ে রেখেছেন যেমন চুম্বক - তার ধর্ম লোহা কে আকর্ষন করবে।
মৌমাছি - তার ধর্ম যে তারা একতাবদ্ধ হয়ে বাস করবে। পানি - তার ধর্ম যে বর্ণ , গন্ধহীন তরল পদার্থ হয়ে থাকবে। এখন এই সব পদার্থ বা জীব নিজ নিজ গুন বা নিজ নিজ কর্তব্য কোন অংশেই হারালে তারা তাদের নিজস্ব ধর্ম হারালো, যেমন পানি যদি তাতে যদি কোন বর্ণ অথবা গন্ধ থাকে তবে তা আর বিশুদ্ধ থাকল না। ঠিক আমাদের বিশ্ব জোড়া মানুষের একটা সাধারন ধর্ম আছে তা হল - মানবতার ধর্ম বা বিবেকের অনুশাষন। ইসলাম, খৃষ্ট, বৌদ্ধ, হিন্দু, ইহুদি, থেকে মানবতার ধর্ম অনেক উপরে। সমস্ত ধর্মের মাঝে এই মানবতার ধর্ম নিহিত রয়েছে। এক এক মহাপুরুষ মানবতার ধর্ম কে অর্জন করার জন্য এক এক পথ দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছেন, তাই বলে ধর্ম আলাদা হয়ে গেছে বললে ভুল হবে, এটি আলাদা হয়ে যায়নি। সমস্ত ধর্মই এক কথা বলে তা হল - বিশ্ব শান্তি ও মানবতার কল্যাণ। কিন্তু আজ আমরা আসল মানবতার ধর্মকে বাদ দিয়ে শুধু বিভিন্ন মহাপুরুষদের প্রবর্তিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান গুলোকেই বিভিন্ন ধর্ম বলে চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু সত্যিই এই অনুষ্ঠান গুলো কি ধর্ম? যদি অনুষ্ঠান গুলোই ধর্ম হয়ে থাকে তবে এক আল্লাহ বা God অথবা ঈশ্বর কি বিভিন্ন মহাপুরুষ এর উপর বিভিন্ন ধর্ম নাজিল করে একই মানুষের জাতি কে বিভিন্ন পথে চালিত করতে চেয়েছেন? মানুষের মাঝে দন্দ্ব সংঘাত সৃষ্টি করতে চেয়েছেন? চার মহাপুরুষের উপর চার গ্রন্থ নাজিল করে একই মানুষজাতিকে চার বিভিন্ন পথে চালিত করতে চেয়েছেন? তা হতেই পরেনা। নবী আমাদের অনেক থাকতে পারে, গ্রন্থ থানকতে পারে, অনুষ্ঠান বিভিন্ন থাকতে পারে, কিন্তু সমগ্র মানব জাতির জন্য ধর্ম একটাই - মানবতার ধর্ম। সব অনুষ্ঠানের মূল উদ্দ্যেশ্য সবার মাঝে মানবতা বোধ জাগ্রত করে পৃথীবিতে শান্তি স্থাপন করা।
এবার ইসলাম ধর্মের কথাই ধরা যাক। ইসলাম মানে হচ্ছে শান্তি, পৃথীবিতে সমগ্র মানব জাতির মাঝে শান্তি স্থাপন করাই ইসলামের মূল লক্ষ্য। অপর কথায় যে সব নিয়ম কানুন ও অনুষ্ঠান মেনে চললে পৃথীবিতে শান্তি আসতে পারে তাই ইসলাম অথবা পৃথীবিতে শান্তি স্থাপনের উদ্দেশ্যে যে যতটুকু কাজ করবে তাই ইসলামের কাজ বলে গন্য হবে কারন ইসলামের উদ্দেশ্যই তো পৃথীবিতে শান্তি স্থাপন করা।
প্রতিটি ধর্মের আদর্শ এক, কথা মুলত: একই, কিন্তু অনুষ্ঠান গুলো এক নয়। আল্লাহ প্রদত্ত ইহুদি ধর্ম যেমন ফেরাউনের রাজত্ব কালে পৃথীবিতে শান্তি স্থাপনের একমাত্র পথ ছিল তেমনি তার কয়েক হাজার বছর পর আল্লাহ প্রদত্ত খৃষ্ট ধর্ম ই পৃথীবিতে শান্তি স্থাপনের একমাত্র পথ বলে বিবেচিত হত। আবার তার ৫৭০ বছর পর আল্লাহ তাআলাই হযরত মোঃ (সাঃ) এর উপর নতুন পথ নাজিল করে নতুন নতুন অনুষ্ঠানাদির ব্যবস্থা করলেন এবং এই ধর্মের উদ্দেশ্য একটাই - তা হচ্ছে বিশ্ব শান্তি। মানবতার কল্যান ও বিশ্ব শান্তিই একমাত্র উদ্দেশ্য যা বিভিন্ন যুগোপযোগী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্ম নামে এসেছে।
মানুষ যখন ধর্ম ভীরুতা একেবারে অন্ধ হয়ে যায়, তখন সে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের কোন সংস্কার মানতে চায় না। চিন্তাশীল সুষ্ঠ বুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তি ছাড়া সমস্ত লোকই প্রচলিত অন্তঃসার শুন্য অনুষ্ঠান গুলোকেই ধর্ম বলে ধারন করে। যদিও তা মানব কল্যানের বদলে মানব অকল্যান বয়ে আনছে। আর এই একটি মাত্র কারনেই হযরত আদম (আঃ) এর পর থেকে প্রতিটি নবী ধর্ম প্রচারের প্রথম পর্যায়ে মানুষকে সত্য কথাটা নতুন করে শিখাতে অশেষ বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়েছেন।
মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। এমনকি বিধাতা মানুষকে বিবেক দিয়ে ফেরেশতাদের থেকে ও উন্নত করে সৃষ্টি করেছেন। আমাদের উচিৎ ছিল আমরা যেন রিপু কে সংযত করে বিবেক মত চলি ও পৃথীবিতে শান্তি স্থাপন করি। কিন্তু আমরা তা করি নাই , এখনও করি না। যার দরুন আল্লাহ তায়ালা পৃথীবির বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন জাতির উপর অসংখ্যবার পথ প্রদর্শক বা নবী প্রেরন করেছেন। এই এক লাখ চব্বিশ হাজার মতান্তরে দুই লাখ চব্বিশ হাজার নবী নিশ্চয়ই একই কথা বা শান্তির বানী প্রচার করে গেছেন। বিশ্বর সমগ্র জাতীর ভাষা যেমন এক নয় তেমনি আচার ব্যবহার রীতি নীতি এবং মানসিকতা ও সমান নয়। তাই বিভিন্ন নবী নিশ্চয়ই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার অধিবাসী দের মাঝে শান্তি স্থাপনের পথ দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। আমরা যখন মাত্র শ্ দেড়েক এর মত ছাড়া বাকী কোন নবীদের নাম ও ঠিকানা জানিনা, তখন কি বলতে পারিনা যে হিন্দু, বৌদ্ধ ইত্যাদি ধর্ম গুলো প্রাচীন ইসলামের ধর্মেরই বর্তমান বিকৃত রুপ নয় ? মাত্র ১৩০০ বছর আগের সম্পূর্ন নতুন এই ইসলাম ধর্মকেই যখন বিকৃত করে ফেলেছি, তখন হাজার হাজার বছর আগে প্রবর্তিত ধর্ম গুলো কি পরিমান বিকৃত হয়েছে তা সহজেই অনুমেয়। আমাদের ইসলাম ধর্মের বর্তমান রুপ যেমন বক্রপথে চলে গেছে, তেমনি অন্যান্য ধর্মের সত্যিকার রুপ কিছুই অবশিষ্ট নাই। আর এই জন্যই যুগ যুগ ধরে মানুষকে সৎ পথে থেকে শান্তি তে বসবাস করার জন্য একের পর এক নবী গণ নতুন নতুন পদ্ধতি নিয়ে মানব সমাজে আবির্ভূত হয়েছেন। অর্থাৎ, নবীগণ যুগের পরিবর্তনের সাথে সথে অনুষ্ঠানের পরিবর্তন করে একই ইসলাম ধর্ম কে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে বিভিন্ন ভাবে মানব কল্যণের পথ বলে আমাদের বোঝানোর চেষ্টা করে আসছেন। কিন্তু আমরা মানে মানুষ জাতি এতই অধম , ফেরেশতা দের থেকেও আমাদের বেশী বুদ্ধি থাকা সত্তেও আমরা তা বুঝতে চাই না অথবা গোড়ামীর মোহে পড়ে শুধু অনুষ্ঠান গুলোকেই ধর্ম বলে মনে করি। সত্যিকার ধর্মের পথ থেকে সরে গিয়ে ধর্মের নামে অধর্ম করে পৃথীবিতে অশান্তি ডেকে আনি।
হযরত মোঃ (সাঃ) প্রবর্তিত ইসলাম ধর্ম প্রচার হবার আগেও মক্কার অধিবাসীরা সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী ছিল। তখন ও তারা উপবাস করতো, উপসনা করতো, হজ্জ করতো, বৈবাহিক অনুষ্ঠান পালন করতো, সামাজিক রীতি নীতি পালন করে চলতো, তা সত্তেও হযরত মোঃ (সাঃ) কেন নতুন ধর্ম প্রচার করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলেন? কারন তখন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন হত ঠিকই কিন্তু সে ধর্ম শুধু অনুষ্ঠান সর্বস্ব হয়ে গিয়েছিল। ধর্ম হচ্ছে মানব কল্যাণ ও বিশ্ব শান্তি স্থাপনের পথ আর ধর্মীয় অনুষ্ঠান হচ্ছে শান্তির পথে প্রবেশ করার মাধ্যম। তাই হযরত মোঃ (সাঃ) যখন দেখলেন মক্কার সনাতন ধর্ম যখন মানব কল্যাণের বদলে মানব অকল্যাণ ডেকে আনছে, তখন তিনি সেই সনাতন ধর্মের অনুষ্ঠাননাদি বাদ দিয়ে মানব কল্যানের উদ্দেশ্যে নতুন নতুন অনুষ্ঠানাদি প্রবর্তন করলেন এবং এই জন্যই আল্লাহর তরফ থেকেও সমর্থন ও ওহী লাভ করলেন আর বন্ধু হিসাবে গণ্য হলেন। নতুন বাস্তব পদ্ধতিতে সনাতন ইসলাম ধর্ম কে আবার প্রতিষ্ঠিত করলেন।
বর্তমানে হযরত মোঃ (সাঃ) প্রবর্তিত ইসলাম ধর্মের চারটি স্তম্ভ রয়েছে য অবশ্যই পালনীয় - নামায, রোজা, হজ্জ, যাকাত। তবে এই চারটি স্তম্ভ তখনই ফরজ না অবশ্য পালনীয় হচ্ছে যখন আমি ঈমান বা ইসলাম ধর্মের উপর বিশ্বাস আনছি। ধরুন আমি নতুন ইসলাম ধর্ম গ্রহন করলাম। কিন্তু আমি এখন ইসলাম ধর্মের কোন পথ অবলম্বন করবো, তা নিয়েই তো মুশকিলে পড়ে গেলাম। কারন সুন্নী মুসলমান দের অনুষ্ঠান এক রকম, শীয়া মুসলমানদের অনুষ্ঠান আরেক রকম, আবার নেংটা শাহ্ এর অনুষ্ঠান আরেক রকম। কেউ আমাকে বলে রাসুলের সুন্নত ধর, তাহলেই পাক্কা মুসলমান হতে পারবে, কেউ বলছে হাসান হোসেন এর কবর পূজা কর, আবার কেউ বলছে গানের মধ্যেই আল্লাহ কে খুজে নাও, কেউ বলছে গান নিষেধ ইসলামে। কেউ বলছে সংসার কর এবং তার মাঝেই আল্লাহ কে খোজ, কেউ বলছে সংসার ত্যগ কর, এমন কি বসন ভূষনের মায়া কর না, আল্লাহর জিকিরে মশগুল হয়ে যাও।
এখন আমি কোন দিকে যাই ? সবাই তো ইসলাম ধর্ম পালন করছে, প্রত্যেকেই বলছে আমি ঠিক পথে আছি। এখন আমাদের মাঝে এই পার্থক্য , তা কি অনু্ঠানের পার্থক্য নয়? একি ইসলামের ধর্মের আনুষ্ঠানিকতা কে কি আমরা বিকৃত করে ফেলি নাই ? আরো হাজার খানেক বছর পর হয়তো এই আনুষ্ঠানিকতাই আলাদা আলাদা ধর্মের রুপ নেবে।
মানুষ সাকারের পুজারী। এটা তার চিরন্তন স্বভাব। নিরাকার এক মহাশক্তির সৃষ্টিকর্তার পুজা করে তার মন তৃপ্তি পায়না। মানুষ তাই সব সময় ঈশ্বরের একটা কাল্পনিক রুপ নিজ অন্তরে একে নেয় এবং তাকে পূজা শুরু করে। আস্তে আস্তে অনুষ্ঠানের ও সমাজের চাপে পড়ে সেই কাল্পনিক রুপ টা পৃথীবির কোন একটা বাস্তবতার রুপ ধারন করে। মানুষ অন্ধ ভাবেই তাকে পুজা করে এবং এইভাবেই সে আন্তরিক তৃপ্তি পায়। এই কারনেই পৃথীবিতে ধর্ম যত পুরাতন ততই তার অনুষ্ঠানের মধ্যে বিভিন্ন শক্তির আধার হিসাবে বিভিন্ন মূর্তি পূজার প্রচলন পরিলক্ষিত হয়। আদম (আঃ) প্রথম মানব এবং ইসলামের প্রথম নবী তখন থকেই নিরাকার আল্লাহর প্রচার কার্য্য শুরু করেন। তার বহু বৎসর পর বাদশাহ নমরুদের সময় ইব্রাহিম (আঃ) অনেক মূর্তি ভেংগে দিয়ে নতুন করে একেশ্বরবাদের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু তবু পরে আস্তে আস্তে মানুষ আবার মূর্তির ঊপাসক হয়ে যায়। ফেরাউন বাদশাহ এর সময় হযরত মূসা (আঃ) সেই মূর্তি পূজা ভেংগে দিয়ে একশ্বরবাদ প্রচার করলেন। অথচ তার সামান্য কিছুদিন অনুপস্থিতির দরুন তার অনুসারীরা একটা গাভী কে পূজা শুরু করে দিয়েছিল। আবার তার বহু বৎসর পর মানুষ যখন মূর্তি পূজা শুরু করল, তখন ঈসা (আঃ) পৃথীবিতে এসে নতুন করে একেশ্বরবাদ এর প্রচলন করলেন। কিন্তু মানুষ এবারও ভুল করলো। ঈসা (আঃ) এর মৃত্যুর পর তারা নিরাকার ইশ্বরের পরিবর্তে হযরত ঈসা (আঃ) কে খোদার পুত্র বলে মেনে নিল। যার দরুন, হযরত মোঃ (সাঃ) নতুন করে আবার সেই পুরাতন একেশ্বরবাদের প্রচার করলেন। তের চোদ্দশ বছর পর আজকাল আমরা আমাদের নিরাকার ঈশ্বরকে সাকারের মধ্যে টেনে আনার চেষ্টা করছি। যেমন শীয়া মতাবলম্বীরা হাসান হোসেন এর কবর পূজা করেই ধর্ম পালন করা হল মনে করছে। আর যারা সুন্নী, তারা এখন পর্যন্ত নিরাকার আল্লাহ কে প্রত্যক্ষভাবে সাকার এ রুপ দিতে পারিনি, তবে হযরত মোঃ (সাঃ) এর সুন্নত কে পূজা করা শুরু করেছি। পরোক্ষভাবে বাস্তবের কয়েকটা রুপে আল্লাহকে চেষ্টার কম করছিনা। যেমনঃ অনেকের ঘরে ইয়া আল্লাহু সাজিয়ে রাখি, মনে মনে সেই লেখা গুলো খুব শ্রদ্ধা করি অনেকে আবার ফুল দিয়েও সাজাই (!) । আমাদের ভিতর অনেকে আবার কা'বা শরীফ এর ছবি ঘরে খুব সম্মান সহকারে সাজিয়ে রাখি। মানে পরোক্ষ ভাবে তাকে পূজা করা শুরু করেছি। কোরআন শরীফ মহা ঐশীগ্রন্থ। এই সম্মানীয় গ্রন্থ মত চলতে পারলেই পৃথীবিতে শান্তি আসতে পারে। কিন্তু আমরা আজকাল কোরআন কে বোঝার ধারে কাছ দিয়ে ও যাই না, সুর করে আরবী তে পড়তে পারলেই মনে করছি খুব সওয়াব হোল। অনেকে আবার কোরআন শরীফের আয়াত পাতলা কাগজে খুব ছোট হরফে ছাপিয়ে নিয়ে রাস্তার পাশে বসে তাবিজ হিসাবে বিক্রি করছে, আর বহু ভক্ত মুসলমান তা অন্ধ বিশ্বাসের উপর তা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এটাও কি কোরআন পূজা না ? কিংবা কোরআন না বুঝে পড়া ও কি আরবি পূজা না ?
এই অশান্ত পৃথীবিতে শান্তির জন্য আমরা খুজে ফিরছি আর আশ্রয় নিচ্ছি বিভিন্ন ধর্ম ও ধর্মীয় গোড়ামির আর তাকে পুজা করছি। আজ থেকে আমাদের পূজা হোক মানবতার পায়ে, শান্তির কাছে, সুন্দর সাবলীল এক পৃথীবির জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



