অবশেষে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৮ই ডিসেম্বর নির্বাচন। আওয়ামী লীগ স্বাগত জনিয়েছে , বিএনপি ও চার দলীয় জোট এখনও কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
গত কয়েকদিন দুই দলের কার্যক্রম দেখে যা মনে হল, দেশ আবার সেই একই ধারায় ঘুরপাক খাবে বা খাচ্ছে। হয়ত চার দলীয় জোট নির্বাচন বয়কট করতে পারে কিংবা নির্বাচনে যদিও যায়, ফলাফল তাদের অনুকুলে না গেলে সেই কারচুপির অভিযোগ আবার তুলতে পারে, যতটুকু ধারনা, তুলবেই। নির্বাচনের পর আবার সংসদ অধিবেশন বয়কট, জ্বালাও, পোড়াও , হরতাল শুরু। আবার সেই একই ধারায় দেশ চলবে। এখনই বেগম জিয়া ধ্বংসাত্মক রাজনীতির কথা বার্তা বলা শুরু করেছেন, অভিযোগ তোলা শুরু করেছেন , যা পরে সেই জ্বালাও পোড়াও রাজনীতির অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করবেন। তার মহাসচিব তো প্রথম থেকেই আক্রমনমুখি কথা বলে আসছেন। তাদের নেতাদের নির্বাচনে দাড়াতে দেবার জন্য দেন দরবার শুরু করেছেন। এদের কি লজ্জা নাই
অপর দিকে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে মহা উৎসাহের সাথে কাজ শুরু করেছে, কারন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচনে ভালো ফলাফল পেয়েছে, সুতরাং, তারা আর কোন ইস্যু তুলে জনগন কে ঘাটাতে চায়না। ক্ষমতায় যাবার স্বপ্নে তারা বিভোর হয়ে আছে।
নির্বাচন কমিশন এর জন্য কিছু আইন ও দল নিবন্ধন , না ভোটের বিধান ছাড়া আর কোন পরিবর্তন নাই। দুর্নীতি দমন কমিশন কতটুকু স্বাধীন ভাবে কাজ করবে, তা জানিনা কারন এই সরকার যেমন প্রেসিডেন্ট কে দিয়ে সবাইরে চা এর দাওয়াত প্রোগ্রাম শুরু করছিল, পরের সরকার তা যথাযথ ভাবে পালন করবে, তা বুঝতে কষ্ট হয়না।
গত ২/৩ টি নির্বাচনে ভোট দিতে যাইনি। কারন কাকে ভোট দিব ? যাকে ভোট দিব , সে সংসদে যাবার পর চুরি করলে সেই চুরির দায়িত্ব তো আমার উপরও এসে পড়ে, কারন আমার ভোটেই তার চুরির সুযোগ হয়েছে। সেই চিন্তা থেকে আর ভোট কেন্দ্র এ আর যাইনি। এবার যাবো ভোট দিতে। কাউকেই ভোট দিতে না। দলগুলো নেতা বা আচরন না বদলানো পর্যন্ত কাউকেই ভোট দিব না। যাব শুধু না ভোট দেবার জন্য। এই একটা ক্ষমতাই আমার মত অতি সাধারন একজনের আছে - প্রতিবাদ করার
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



