somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জনাব মোকসেদের বদলে যাওয়া

২২ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জনাব মোকসেদ। একটি পত্রিকার নিয়মিত পাঠক। শুধু নিয়মিত পাঠক নহে তার বড় ভক্ত ও বটে। সকাল ৭.৩০ ঘটিকায় তাহার বাসায় পত্রিকা আসে, সে সকাল ৬.৩০ ঘটিকায় উঠিয়া প্রস্তুতি লইতে থাকে পত্রিকার জন্য। পত্রিকায় যাহা লেখা হয় তাহা সে মন্ত্রমুগ্ধের মত গিলিতে থাকে। মোকসেদ সাহেবের প্রিয় সেই পত্রিকা সম্প্রতি ১০ বছর আতিক্রম করিয়াছে। তাহারা “বদলে যাও বদলে দাও” বলিয়া শ্লোগান তুলিয়াছে। তাহারা বদলানোর বিজ্ঞাপন ও ছাপিয়াছে। তাহারা বদলাইবার কাহীনি ও ছাপাইয়াছে। উহাতে মোকসেদ সাহেব বড়ই অনুপ্রানিত হইয়াছেন। ভাবিতেছেন, তাহারো কিছু করা উচিত। তাহাকেও এই বদলানোর ভিড়ে যাইতে হইবে। কিন্তু কি করিয়া সে বদলাইবে ?

বদলানোর প্রচেস্টায়, কেমন করিয়া বদলাইবে প্রভৃতি চিন্তা করিতে করিতে জনাব মোকসেদ ঢাকা শহরের এদিক ওদিক ঘুরাঘুরি করিতে লাগিল। ঘুরিতে ঘুরিতে সে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় এলাকায় উপস্থিত হইল। বদলানোর চিন্তায় বুদ হইয়া মোকসেদ সাহেব এক কাপ চা এর জন্য বলিল টি এস সির মোড়ের দোকান টায়। এমন সময় তাহার সম্মুখে এক দল ছাত্র ধর ধর বলিয়া একদিক দৌড়াইয়া গেল। তিনি তাহা দেখিতে দেখিতে আরেকদল ছাত্র গেলি গেলি বলিয়া তাহাদের পাল্টা ধাওয়া করিতে লাগিল। দুই দল ছাত্রের মধ্যে উত্তেজনা দেখিয়া তিনি উঠিয়া দাড়াইলেন। চিন্তা করিলেন এইখান হইতেই তাকে বদলানোর কাজ আরম্ভ করিতে হইবে। তিনি সেই দুই দল ছাত্রের মধ্যে উপস্থিত হইয়া “আরে কর কি, কর কি” বলিয়া উভয় দলের মাঝে উপস্থিত হইয়া তাহাদের নিবৃত্ত করিতে উদ্যত হইল। তাহার পরে কি হইয়াছিল, তাহা পাঠক মাত্রই বুঝিবেন। কপালের জোরে তিনি সে যাত্রায় বাঁচিয়া গিয়াছিলেন কিন্তু তাহাকে ১৫ দিন হাসপাতালের বিছানায় থাকিতে হইয়াছিল।

কিন্তু তাহার মন ভাঙিয়া পড়েনি। তিনিএকটু সুস্থ্য হইয়া বাসায় গেলেন, যাইয়া আবার বদলানোর চিন্তা করা আরম্ভ করিলেন, কি করিয়া বদলাইবেন ? কি করিয়া ? তাহার পা ভাঙিয়া গিয়াছে, হাতে ব্যাথা, শরীরের কয়েক জায়গায় ঘা এখনও শুকায়নি, ব্যান্ডেজ করা রহিয়াছে। পুর্ন বিশ্রামে দিন কাটাইতেছেন। কিছু না পারিয়া শেষ পর্যন্ত টিভি খুলিলেন। টিভি দেখিতে লাগিলেন। হঠাৎ একটি বিজ্ঞাপন দেখিয়া তাহার চোখ আটকাইয়া গেল। “বদলে ফেল নিজের কাহীনি” - একটি ক্রীম এর বিজ্ঞাপন। ঐ ক্রীম মাখাইলে নিজের কাহীনি বদলানো যাইবে, মানে নিজেকে বদলানো যাইবে। জনাব মোকসেদ সিদ্ধান্ত লইলেন, তিনি ঐ ক্রীম লাগাইয়া বদলাইবেন, তাহার পত্রিকার আবেদন তিনি রক্ষা করিবেন। অবশেষে তিনি সেই ক্রীম লাগাইতে লাগাইতে ভাবিলেন, তাহাকে বদলাইতেই হইবে যে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:০৬
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×