somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নি্বাচন ২০০৮, অতীত সরকার গুলোর পর্যালোচনা এবং নতুন ভোটারদের প্রতি আহ্বান

২৫ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২৯ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এবার ২ হোটের মধ্য ভোট লড়াই হবে। আমরা বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের শাষনকাল দেখেছি। ২ দলের শাষন কাল তুলনা করে একটা পর্যলোচনা করতেই আজকের এই লেখা। যারা নতুন ভোটার হয়েছেন তাদের প্রতি আহ্বান রইল, অতীত বিচার করে মুক্তমনে ভোট দিন অথবা না ভোট দিন। শিক্ষিত ব্যক্তি কোন দল কে অন্ধ সমর্থন করবেন, তা কাম্য নয়।

১৯৯১-১৯৯৬ : জামায়তের সমর্থনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। সব কিছুতে সিদ্ধান্ত হিনতা নিয়ে ৫ বছর কাটায়। এর মধ্যে মুরগী পালন, মাছ চাষ ব্যপক ছড়িয়ে পড়ে সরকারের উদ্যোগে। যমুনা সেতু নির্মান কাজ শুরু হয়। সন্ত্রাস ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে না পড়লেও তারা মাগুরা ও লক্ষীপুরের উপনির্বাচনে ভোট জালিয়াতি করে তার দলের লোক কে বিজয়ী করে নিয়ে আসে। দ্রব্যমুল্য খুব না বাড়লেও যাথেস্ট ছিল। সাইফুর রহমান প্রথম বারের মত ভ্যাট ব্যবস্থা চালু করে। বাংলাদেশেকে মাত্র ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ফাইবার ক্যাবল নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করার সুযোগ দিলেও তথ্য প্রযুক্তি বিমুখ বিএনপি সরকার তা গ্রহন করেনাই।
আওয়ামী লীগ প্রথম থেকেই সরকার কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেবার কথা বলেছিলেন। তারা বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে সংসদ ও রাজপথে আন্দোলন করতে থাকে। এক পর্যায়ে বিএনপি মন্ত্রী নাজমুল হুদা আওয়ামী ও ধর্ম নিয়ে একটা মন্তব্যর জন্য আওয়ামী লীগ সংসদ বর্জন শুরু করে । উপনির্বাচনের অভিগগতা থেকে তারা তত্ত্বধায়ক সরকারের দাবীতে আন্দোলন শুরু করে। জামায়ত ও জাতীয় পার্টি যোগ দেয় তাদের সাথে। লাগাতার আন্দলন ও দিনের পর দিন হরতাল কর্মসুচি চালায় যায় তারা।

১৯৯৬-২০০১ : আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। তাদের দাবীর মুখে বিএনপি সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী মেনে নেয় এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে যায়। এ সময় শেখ হাসিনা সরকার দ্রব্যমুল্য কম রাখতে সফল হয়, এমনকি সয়াবিন তেলের দাম অনেক কমে আসে। তারা প্রথম কৃষিতে ভুর্তুকি দেয়, কম্পিউটার এর উপর ট্যাক্স উঠিয়ে নেয়। মালিবাগ ফ্লাইওভার এর কাজ শুরু করে।
অপরদিকে সারা দেশে আওয়ামী গডফাদার দের রাজত্ব কায়েম হয়, জমি দখল, ঘর দখলের মত কাজ করে আওয়ামী কর্মী রা। শেখ হাসিনা বিদেশ ঘুরে ঘুরে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করে। অসংলগ্ন কথা বলার জন্য হাসিনা হাইকোর্ট কর্তৃক তিরষ্কৃত হয়। একের পর এক বোমা ফাটে বিভিন্ন জায়গায়।
বিএনপি সংসদ এ যাবো কি যাবো না করে এক পর্যায়ে সংসদে যোগদান করে। কিছুদইন পর বিএণপি ও সংসদ বর্জন শুরু করে। পরে সরকারের সথে ৪ দফা চুক্তি করে সংসদ এ যায়। রাজপথেও বিএনপি আন্দোলন করে। বিএনপি হরতাল ডাকলে আওয়ামী লীগ রাজপথে ছাড়ি নাই বলে হরতাল বিরোধী মিছিল করে। বিএনপির ডাকে ঢিলে ঢালা হরতাল হতো, এমনকি হরতালের সময় বিএনপির এমপি দের রিকশায় চড়ে ঘুরতেও দেখা গেছে।

২০০১-২০০৬ : বিএনপি জামাত ৪ দলীয় জোট ক্ষমতায় আসে। রাজাকারের গাড়িতে উড়ে জাতীয় পতাকা। তবে রাজাকার মন্ত্রীদের কে নিয়ে খালেদা জিয়া যায় স্মৃতি সৌধে ফুল দিতে। মহাখালি ফ্লাইওভার এর কাজ শুরু করে। ৪ স্ট্রোক অটোরিক্সা তুলে সিএনজি অটোরিক্সা নামানো হয়। ট্যাক্সি ক্যাব নামানো হয় রাস্তায়। বিএনপি ক্যাডার দের দৌরাত্ম শুরু হয়। বেপরোয়া ভাবে তারা প্রতিপক্ষ কে ঘায়েল করে। সরকার পুলিশ বাহিনি দিয়ে বন্দুক যুদ্ধে মারা যাবার কাহীনি প্রচার করে। বেশ কিছু টপ টরের ধরা পড়ে। হাওয়া ভবনের দৌরাত্মের গল্প লোকমুখে ভাসতে থাকে। মন্ত্রীদের ব্যাপক দুর্নীতির কথা প্রচার হতে থাকে। বেশ কিছু আইন সংশোধন করে। ২১শে আগস্ট এ গ্রনেড মারা হয় হাসিনা কে লক্ষ্য করে। জিনিস পত্রের দাম বাড়তে থাকে। আকাশ চুম্বি দামে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে। বিচারকের আবসরের বয়স বাড়ানো হয়।
আওয়ামী লীগ পরবর্তী কেয়ার টেকার সরকার এর প্রধান মানতে রাজী হয়না। দেশে ব্যপক স হিংস আন্দলোন হয়। টানা হরতাল জ্বলাও পোড়াও চলে। বাকী ইতিহাস সবাই জানে।

এসব দেখে জেন ভোট দিন। না হলে না ভোট দিন।
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×