somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সারং সংঘ - একটি স্বপ্নের অপমৃত্যু...........

০৫ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৯৩ তে HSC পাশ করার পর বন্ধুদের মধ্যে কেউ কেউ বুয়েট, কেউ ঢা. বি কেউ মেডিকেলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়লো। আমরা কয়েকজন কোথাও চান্স না পেয়ে বি কম এ ভর্তি হলাম। ভর্তি ঝামেলা শেষের পর আমরা আড্ডা দিতাম এক সাথে। আমি যেখানে থাকতাম, আমাদের মহল্লায় আরো ২ জন ছিল, মোট আমরা তিন জন জিগির দোস্ত। এক সাথে আড্ডা দেই সারাদিন। এমনকি গভীর রাতে আমরা তিন জন হাটতে বের হতাম এক সাথে। বিকাল হলে বাসার কাছে ছিল গোলাপ শাহ হোটেল, ওখানে পুরি আর চা চলতো সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা। আড্ডা দিতে দিতেই এক সময় একটা সংগঠন করার চিন্তা মাথায় আসে। চিন্তা করলাম, একটা সংগঠন বানাবো যা সমবায় সমিতি নয়, শুধু সাহিত্য নিয়ে নয়, খেলাধুলা নিয়েও নয়, এই সবকিছু নিয়ে হবে আমাদের সংগঠনটি। সংগঠনের একটা প্রাথমিক খসড়াও বানায়ে ফেললাম। খসড়ায় ছিল :
১. এটি অসম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় উদারতা সম্পন্ন হবে। ২. কোন রাজনোৈতিক কাজে জড়াবে না। ৩. কারো নিকট টাকা অনুদান চাইবে না। ৪. দেশের আইনে দন্ডিত কেউ এর সদস্য হতে পারবে না ।
এরকম একটা খসড়া বানায়ে , অন্যান্য বন্ধুদের সাথে আলাপ করলাম। তাদের কে সদস্য হবার জন্য বললাম। আরো কয়েকজন এসে যোগ দিল আমাদের সাথে। কয়েকদিনের মধ্য সদস্য হয়ে গেল ৯ কিন্তু সমস্যা দেখা সংগঠনের লক্ষ্য ঠিক করতে গিয়ে।যারা পরে যোগদান করেছে, তাদের কে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বলার পরেও তারা সদস্য হবার পর এটাকে সমবায় সমিতি করার জন্য চাপ দিতে লাগলো। এটা নিয়ে বাদানুবাদ। ২ ভাগ হয়ে পড়লাম মেম্বার রা। এক দল চায় সমবায় সমিতি, আমরা আরেকদল চাই না। শেষ পর্যন্ত যারা সমবায় সমিতি চায়, তারা চলে গেল সংগঠন ছেড়ে। আবার মেম্বার কিছু কমলো। কয়েকজন রয়ে গেল আমাদের সাথে।
আবার নতুন করে মেম্বার জোগাড় করার জন্য বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করলাম। আবার সাড়া পেলাম। নতুন করে মেম্বার যোগ দিল আমাদের সাথে। আমরা প্রথমে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিস্তারিত জানালাম সবাইকে। কি করতে চাই তা পরিষ্কার করে বললাম। আমাদের সভা গুলো হত কারো না কারো বাসায়। প্রথম সভা হয়েছিল অবশ্য পল্লবীর সিটি ক্লাব মাঠে। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিষ্কার করতে গিয়ে বাধলো আবারো বিপত্তি। কয়েকজন আপত্তি তুললো, আমরা সদস্য প্রতি ৫০ টাকা করে চাঁদা ঠিক করেছিলাম। এখন কয়েকজন বললো, পুরো টাকা না, টাকার একটা অংশ সামাজিক খাতে ব্যয় করতে হবে, বাকী টাকা সমবায় সমিতির মত খাটাতে হবে। আবার তর্ক বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হল, ৫০ টাকার ৮০% বিনিয়োগ, ২০% সামাজিক খাতে। আর লাভের ২৫% সামাজিক খাতের জন্য ফান্ডে চলে যাবে , বাকী টাকা সমবায় সমিতির মতো সদস্যদের ভাগ করে দেয়া হবে। এর মধ্যেও কয়েকজন আবার চলে গেল সংগঠন ছেড়ে। আসলে আমরা সবাই ছিলাম সেখানে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। অর্থনোৈতিক ব্যাক আপ ছাড়া কারো তখন সামাজিক খাতে টাকা ব্যায় করার মত ইচ্ছা ছিলনা ।
নতুন সদস্য নেয়া বন্ধ করে আমরা নাম ও এর কাজ কি কি হবে সেটা ঠিক করতে লাগলাম। নাম ঠিক করলাম ভোটাভুটির মাধ্যমে। যার যার ইচ্ছা তাকে নাম জমা দিতে বলা হল। তারপর মেম্বার দের কে সেখান থেকে ৩ টা নাম বাছতে বলা হল। যে নামটা সবচেয়ে বেশী ভোট পাবে, সেটাকে নির্বাচিত করা হবে। মোটামুটি সব সদস্যের ভোটে উঠে এল নাম - সারং। পুরো নাম সারং সংঘ। সারঙ্গ মানে হরিন শাবক। সারঙ্গ থেকে সারং।
সারং সংঘের কাজ গুলো কে মোট ৫ টি ভাগে ভাগ করা হল। ৫ টি বিভাগ করা হবে। যেমনঃ
১. অর্থ ও বিনিয়োগ : এই বিভাগের কাজ বিনিয়োগ করা। লভ্যাংশ নির্ধারন করা। বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে টাকা পয়সা লেনদেন করা। স্বল্প সুদে ধার দেয়া।সদস্যদের সহায়তা করা। পরবর্তীতে শ্রমিক দের জন্য একটা ব্যাংক খোলা। আমরা মিরপুরে থাকতাম সবাই। মিরপুরে প্রচুর গার্মেন্টস শ্রমিক আছে। তাদের কথা চিন্তা করেই এই ব্যাংকের পরিকল্পনা করেছিলাম। তারা সরকারী কিংবা বেসরকারী ব্যাংকে যেতে পারে না বা সময় পায় না বা ভয় পায়। তাদের জন্য আর কোন ব্যবস্থা নাই, তারা মেসে থাকে , দেখা যায় প্রায়ই কারো না কারো জমানো টাকা চুরি হয়ে যায় , কিংবা ইচ্ছা থাকলেও ব্যাংকে টাকা সঞ্চয় করতে পারে না বা যাবার সাহস হয়না । এই সব চিন্তা করে এই ব্যাংক করতে চেয়েছিলাম।
২. শিক্ষা : এই বিভাগের কাজ হবে লাইব্রেরী করা, বিনা বেতনে বস্তি বাসী বাচ্চাদের প্রাথমিক শিক্ষা দেয়া। বিতর্ক ক্লাব করা। বিতর্ক প্রতিযোগিতা করা, সাধারন জ্ঞানের প্রতিযোগিতা করা। বাচ্চাদের বই পড়া অভ্যাস করা আন্দোলন গড়ে তোলা। সদস্যদের শিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় সাহায্য করা।
৩. সাহিত্য ও শিল্প : এই বিভাগের কাজ হবে কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ লেখার প্রতিযোগীতা করা, ছঁবি আঁকার প্রতিযোগিতা করা । গানের আসর, কবিতা পাঠের আসর আয়োজন করা। সদস্যদের মধ্যে যারা গান গাইতে চায়, তাদের সাহায্য করা, গানের স্কুল করা ইত্যাদি। ছবি আঁকা শেখানো। গানের প্রতিযোগীতা করা এইসব।
৪. খেলাধুলা : আমাদের একটা স্পোর্টস ক্লাব থাকবে এই বিভাগের অধীনে। এরা ফুটবল বা ক্রিকেট টীম গঠন করবে। প্রতিযোগীতায় অংশ নেবে। বিভিন্ন প্রতিযোগীতার আয়োজন করা। সদস্যদের উন্নত প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করবে ইত্যাদি। এলাকা ভিত্তিক প্রতিযোগিতার আয়োজন, বড় ও বাচ্চাদের জন্য।
৫. সামাজিক কার্যক্রম : এই বিভাগ বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে এবং বিভিন্ন সামাজিক কাজ যেমন - টিকা দান , রক্ত দান , দূর্যোগে ত্রান বিতরন এরকম কাজ গুলো করবে।
সংগঠনের কার্যক্রম ঠিক হল, নাম ঠিক হল। এখন দরকার গঠন তন্ত্র। গঠন তন্ত্র ঠিক করার জন্য আমরা আশে পাশের কয়েকটি সমবায় সমিতির গঠনতন্ত্র জোগাড় করলাম। সমবায় সমিতির জন্য সরকারী ভাবেই একটা গঠনতন্ত্র করা আছে। ঐ টাই সবাই অনুসরন করে। নতুন কিছু পেলাম না। রোটারি বা লায়ন্স ক্লাবের গঠনতন্ত্র জোগাড়ের চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু পারি নাই। শেষ পর্যন্ত আমরা কয়েকজন মিলে গেলাম পাবলিক লাইব্রেরী তে, যদি কিছু পাওয়া যায়। সেখানে গিয়ে কোন সাহায্য পাই নাই, তবে বাংলাদেশের সংবিধান টা পড়া হয়েছিল। যাই হোক, পরে টুক টাক জ্ঞান নিয়ে আমরাই বসলাম আমাদের গঠনতন্ত্র বানাতে।
গঠনতন্ত্র বানানোর আগে আমাদের সংগঠন টির সভা পরিচলানা করার জন্য একজন , সভার বিবরনী লেখার জন্য একজন, টাকার হিসাব রাখার জন্য এক জন কে নিয়োগ দেয়া হত নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। এবং কিছু দিন পর পর সে সব দায়িত্ব পরিবর্তন করা হত।
আমরা চেয়েছিলাম লাইব্রেরী কে কেন্দ্র করে সংগঠনটি পরিচালনা করতে। প্রথমেই আমরা লাইব্রেরী করার জন্য সব সদস্য ৩/৪ টা করে বই দান করি সংগঠনে। প্রাথমিক লাইব্রেরী টা গড়ে উঠে আমার বাসায়, আমার রুমে।
আমাদের প্ল্যান ছিল, ভবিষ্যতে আমাদের একটা লাইব্রেরী ক্যাম্পাস হবে। ঐ ক্যাম্পাসে থাকবে লাইব্রেরী, একটা অডিটোরিয়াম যেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতে পারবো, একটা রুম যেখানে সদস্যরা যে কেউ গান , কবিতা পাঠ ইত্যাদির আসর বসাতে পারবে, একটা অফিস এবং আড্ডা দেবার জন্য খোলা জায়গা। ভিতরে এক কোনায় থাকবে চা সিগারেটের দোকান। যা বলছিলাম, গঠনতন্ত্র আমরা মোটামুটি দাড় করালাম। গঠনতন্ত্র টা ছিল এরকম:
১। সদস্যপদ : যে কেউ সদস্য হতে পারবে। ২ রকম সদস্য পদ - একটা পূর্নাঙ্গ সদস্য অপরটা কোন বিভাগের অধীনে কোন ক্লাবের সদস্য। পূর্নাঙ্গ সদস্য দের কে এক বছর পর ভোটার করা হবে। তাদের কর্ম দক্ষতা দেখে এর আগেও ভোটার করা যাবে।
২। কেন্দ্রীয় কমিটি: সকল ভোটার সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত ১৫ সদস্য কে নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হবে। প্রতি বিভগের জন্য ৩ জন করে একটা কমিটি। ৩ জনের কমিটির সদস্যদের ভেটো ক্ষমতা থাকবে নিজের কমিটির সভায়। কোন সদস্য ভেটো দিলে তা পূর্নাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় উপস্থাপন করটে হবে। ৫ টি বিভাগের জন্য মোট ১৫ জনের কমিটি। বিভাগিয় কমিটির প্রধান হবে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এবং বাই রোটেশন এই সভাপতি চেঞ্জ হবে। কমিটির লোকের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে তার তার বিভাগের কাজ দেখা শুনা করবে। এই কমিটির মেয়াদ - ২ বছর
৩। পরিচালনা পর্ষদ ও সভাপতি পর্ষদ: কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ শেষে সদস্য রা এই কমিটির সদস্য হবে। সকল ভোটার সদস্য এর নির্বাচনে সভাপতি পর্ষদ গঠিত হবে। শুধু পরিচালনা পর্ষদের সদস্য রা এই পদের জন্য দাড়াতে পারবে। ১ জন সভাপতি, সহ সভাপতি, মহাসচিব, কোষাধক্ষ্য ও দপ্তর সম্পাদক - এই পাচটি পদ নিয়ে সভাপতি পর্ষদ। এরা সভা পরিচলনা, সংগঠনের সাংগঠনিক দেখভাল, টাকা পয়সার হিসাব ইত্যাদি কাজ করবে। মেয়াদ - ২ বছর।
নির্বাচন ব্যবস্থা : কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচনে ভোটার দের ভিতর থেকে যে কেউ দাড়াতে পারবে। ভোটার রা সেখান থেকে ১৫ সদস্যের প্যানেল নির্বাচিত করবে। ১ম ১৫ জন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বলে ঘোষিত হবে। কেউ ব্যাক্তিগত ভাবে প্রচারনা চালাতে পারবে না। নির্বাচনী কমিটি প্রার্থী দের সাথে পরিচয় করায়ে দেবে এবং প্রচারের কাজ তারা করবে।
সভাপতি পর্ষদ এর নির্বাচনে পরিচালনা পর্ষদের যে কেউ দাড়াতে পারবে। একই ভাবে ভোটার রা ৫ সদস্যের প্যানেল ঠিক করবে। ১ম ভোট প্রাপ্ত সভাপতি, ২য় সহ সভাপতি, ৩য় মহাসচিব, ৪থ কোষাধক্ষ্য, ৫ম দপ্তর সম্পাদক - এই ভাবে দায়িত্ব ভাগ হবে।
কেউ ২ মেয়াদের বেশী কোন পদে দাড়াতে বা দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি ও সভাপতি পর্ষদের সবার সম্মতি থাকতে হবে এবং নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে, ২/৩ ভোট পেলে গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করা যাবে।
আরো কিছু ধারা উপধারা যোগ করে একটা গঠনতন্ত্র দাড় করাই। আমরা মিরপুরে বেশ কিছু কাজ ও করি।
কবিতা, ছড়া, গল্প লেখা প্রতিযোগিতা ও দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ : আমরা ২১ ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে কবিতা ছড়া গল্প প্রভৃতি চেয়ে পোষ্টার লাগাই মিরপুরের বিভিন্ন স্থানে। প্রচুর সাড়া পাই। সেখান থেকে নির্বাচিত লেখা গুলো নিয়ে দেয়াল পত্রিকা বানাই। এটা ঠিক দেয়াল পত্রিকা না, বোর্ড পত্রিকা ছিল। মানে একটা বড় বোর্ড কিনে তার সাথে কাঠের ফ্রেম ও পায়া লাগায়ে তাতে লেখা গুলো সাঁটিয়ে মিরপুরের বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শনের জন্য রেখে দেই। সাধারনত: যে সব জায়গায় সদস্য দের বাসা, সে সব জায়গায় বোর্ড টা রাখা হয়েছিল। এটা করতে যেয়ে মিরপুরের ২/৩ জন কবির সাথে পরিচয় হয়। সে আরেক অভিজ্ঞতা।
দেয়াল লিখন: ১৬ ই ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে আমরা মিরপুরের বিভিন্ন দেয়ালে কবিতার লাইন, বানী গুলো লিখি সাথে আল্পনা ও আঁকি। খুব সুন্দর করে লেখা গুলো লিখে আমাদের সদস্য আলম। এখন মিরপুরে তা ব্যাপক আকারে ছড়ায়ে পড়েছে। সব অলিতে গলিতে উদ্ভট ভাবে এরকম লেখা হয়ে থাকে।
ঠিকানা লিখন: আমরা মিরপুরের বিভিন্ন জায়গায় ঠিকানা লেখার কাজ ও করি। ১-৯ পর্যন্ত ষ্টীলের ডাইজ এবং সাথে এ, বি সি, ডি লেখা ডাইজ করে আনি। মিরপুরের বাসার ঠিকানা গুলো একটু বড় বড় হয়। যেমন : বাসা নং, রোড নং, ব্লক , সেকশন সব লিখতে হয়। সংক্ষেপে - আমরা লিখি - ১১/বি , ১/১৯ মানে, সেকশন - ১১, ব্লক - বি, রোড - ১, বাড়ী নং - ১৯ । সেই ডাইজ দিয়ে আমরা সংক্ষেপে প্রতি বাসার দেয়ালে ডাইজ বসিয়ে রং দিয়ে ব্রাশ করে দেই। কেউ কেউ খুশী হয়ে ১০০ টাকা ও দিয়েছিল আবার কেউ কেউ ৫ টাকা ও দিয়েছিল। তবে এটা বেশ পছন্দ করেছিল এলাকার লোকজন।
টিকা খাওয়ানো ও রক্তদান কর্মসূচী: একবার রোটারি ক্লাবের সাথে টিকা খাওয়ানো ও রক্ত দান কর্মসূচি করেছিলাম আমরা।
ক্রিকেট প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন: আমরা কিছু খেলোয়ার ভাড়া করে একটা টীম গঠন করে স্থানীয় একটা ক্রিকেট প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করেছিলাম।
ঐ দিকে আমাদের বেশ কিছু টাকা জমে গেছিল , কিন্তু তা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় কম, ফলে টাকা গুলো অলস পড়া ছিল।

পরে সবাই ব্যাস্ত হয়ে যাই। এক এক জন এক এক দিকে। কেউ ব্যাস্ত ব্যবসায়, একজন চলে গেল আমেরিকা, একজন অষ্ট্রেলিয়া, ৩ জন চাকরি পেলাম। এভাবে একটা সময় নির্জীব হয়ে পড়ে আমাদের কাজ কর্ম। আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যায় কাজ। কেউ সময় দিতে পারে না। নতুন সদস্য রাও হতাশ হয়ে পড়ে। এভাবে চলতে চলতে একসময় বন্ধ হয়ে যায়। অপমৃত্যু ঘটে একটি স্বপ্নের। অপমৃত্যু ঘটে আমাদের সারং সংঘের।
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×