১। আমাদের দেশের মানুষের অল্পতেই চোখে জল আসে, বিশেষ করে মেয়েদের । এই দেশটা আসলেই বড় বিচিত্র, প্রাকৃতিক দৃশ্যে, সম্পদের উপকরনে, মানুষের স্বভাব এবং চরিত্রে । তাই তো এই দেশটা নিঃশেষ হতে গিয়েও হয় না । অটল বিশ্বাসে দাঁড়িয়ে থাকে অফুরন্ত প্রানশক্তি নিয়ে ।
২। সব মানুষের একটা ভরকেন্দ্র থাকা উচিত । আমার ভরকেন্দ্র রবীন্দ্রনাথ । যেখানে যাই আর যতোই চেচাই বুড়োটায় এসে সব ঠান্ডা । বাঙালির ১৪ না ১১৪ পুরুষের ভাগ্য যে রবীন্দ্রনাথ বাংলায় জন্মেছিলেন ।
৩। গতকাল দুপুরবেলা ভাত খেয়ে হঠাৎ টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। গভীর ঘুম। ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখলাম রবীন্দ্রনাথকে। স্বপ্নে রবীন্দ্রনাথ কবি নয়, তিনি একজন দাঁতের ডাক্তার। আমি তার চেম্বারে বসে আছি। তিনি আমার দাঁত ফেলবেন। রবীন্দ্রনাথ বললেন- ভয়ের কিছু নেই। তুমি বুঝতেও পারবে না দাঁতটি আমি কখন তুলে ফেলেছি।
আমি বললাম, তবু আমার ভয় লাগছে ডাক্তার রবি। দাঁতের গোড়ায় ইনজেকশন - ওরে বাপরে বাপ!! আমি মরে যাবো।
রবীন্দ্রনাথ বললেন- এতই যখন ভয় পাচ্ছো, এক কাজ করো, খানিকটা ব্র্যান্ডি খেয়ে নাও। ব্র্যান্ডি খেলে দেখবে সাহসটা বেড়ে গেছে।
আমি ডাক্তার রবীন্দ্রনাথের দেওয়া ব্র্যান্ডি খেলাম।
রবীন্দ্রনাথ বললেন- এবার সাহসটা বেড়েছে তো?
আমি বললাম, বেড়েছে মানে? দাঁতের গোড়ায় একবার হাত লাগিয়ে দেখুন না, এক ঘুষিতে আপনার সব ক'টি দাঁত আমি গুঁড়ো করে দিব।
৪। মায়াবতী, আমার শিরায় শিরায় তুমি।
তোমাকে ছাড়া আমি আর কিছুই জানি না। তোমার বাবা একটি কঠিন চীজ। তিনি আমাকে দু'চোখে দেখতে পারেন না। সারাদিন তোমার বাসার সামনে ঘুরঘুর করেও তোমাকেও দেখতে পেতাম না, তার জন্য। যে লোকটির সাথে তোমার সম্বন্ধ হয়েছে সে তোমাকে আমার মতো করে সুখী করতে পারবে না। আমি নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, কিন্তু সে না। তোমার উপর নানান রকম সংস্কার চাপিয়ে দিবে।
তোমার বাবা কিছু মনে করো না, খুব বদমাশ। তার সঙ্গে লড়তে হলে সোজা পথে হবে না। আমাকেও বাঁকা পথ নিতে হবে।
এখন তুমি বলো রাজী আছো? তোমাকে ঠিক করতে হবে কাকে চাও? আমাকে না তোমার বাবাকে? যদি আমাকে চাও তাহলে আমার পরিকল্পনা মতো কাজ করতে হবে। মন স্থির করে আমাকে জানাও।
আসমুদ্র হিমাচল ভালোবাসা বুকে নিয়ে তোমার অপেক্ষায়।
৫। ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখ নিয়ে আমি কোনোদিনই মাথা ঘামাইনি। নিজেকে একটা কঠিন সংকল্পে নিজেই বন্দি করে রেখেছি।
৬। বড় কর্তার রিভলভিং চেয়ার, থানার দারগা, জর্জ-উকিল, বাড়ির গৃহিনী, ধারদাতা, মুদি দোকানদার, ইলেকট্রিক বিল, রাস্তার পাগলা কুকুর, বিয়ের দাওয়াত, আত্মীয়স্বজন, বঙ্গোপসাগরের নিন্মচাপ, বাজারের দরদাম - কোনো কিছুকেই আমি আর ভয় পাই না। সব কিছুর ক্যামোফ্লেজ আমি ধরে ফেলেছি।
৭। মানুষকে ভালো ভাবতে হবে নিজের ভালোর জন্যই। নিজের ভেতরের শ্রেষ্ঠ বৃত্তিগুলিকে সক্রিয় রাখবার এই একমাত্র উপায়। ভয় ও সন্দেহ জীবনের পক্ষে মারাত্মক, বিশ্বাস না থাকলে জীবন অসুন্দর হয়ে পড়ে। খোশমেজাজ ও বহাল তবিয়ত নষ্ট হয়। আর তা নষ্ট হলে মানুষের ভালো কাজেরও মূল্য দেওয়া যায় না।
৮।
ছবি ৮ বছর আগে টিএসসি থেকে তুলেছিলাম। মেয়েটা বাবার কাঁধে উঠে ঘুরে বেড়াচ্ছিল।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৩