নিজেরা মাস্ক না পরে রাস্তা থেকে একজনকে ধরে মাস্ক পরিয়ে দিয়েছেন এই মহান লোকগুলো। নিজেরা সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থেকেও বিশেষ মূল্যবান এই মাস্ক একজন গরীবকে দান করা, এ কি চাট্টিখানি কথা!!! আসলেই মানবতা এখনো মরে নাই।
এদের এই মহানুভবতা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
এই সমাজের সাথে আমি নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারি না।
বারবার হোচট খাই। এতই হোচট খাই যে মাটিতে পরে যাই। আমার চিন্তা ভাবনার সাথে কারো মিল নেই। আমি কি খুব অন্যরকম চিন্তা ভাবনা করি? মাঝে মাঝে মনে হয় এই সমাজে বাস করার যোগ্যতা আমার নেই। সবাই খুব উন্নত। শুধুমাত্র আমিই অনুন্নত। এই সমাজ থেকে পালিয়ে কই যাবো? চুপ করে থাকবো সে উপায়ও নেই।
আমাদের সমাজের বেশীর ভাগ লোকই বদ।
আপনি যেখানেই যান বদ লোকের দেখা পাবেনই। যাই হোক, অন্য কথা বলি। চারিদিকে করোনা আতংক। ঢাকা চিড়িয়াখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ ভোট গ্রহন চলছে। প্রধানমন্ত্রী ভোট দিয়েছেন। আজকের নির্বাচনটা দুই তিন মাস পরে হলে সমস্যা কি ছিলো? ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের দিয়ে। ডিউটি করছে পুলিশ ও সাংবাদিকরাও। একই সরকার মানুষকে বলছে হোম কোয়ারিন্টাইনে থাকতে। আমরা আসলে কী করব?
এই মুহূর্তে মরণব্যাধি করোনার চেয়েও ঢাকা -১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট -৪ আসনের উপনির্বাচন আমাদের তথা বিশ্ববাসীর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় ভোটারবিহীন নির্বাচন পরিচালনা করার কাজটি রীতিমতো দুর্বোধ্য। এমন দুর্বোধ্য একটি কাজ অবলীলায় পরিচালনাকারী এই নির্বাচন কমিশনকে স্যালুট জানাই।
ধার্মিকেরা অপেক্ষায় আছেন, ইহুদি নাসারা গবেষক বিজ্ঞানীরা করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করলেই, ধর্মগ্রন্থ থেকে দুচারটা লাইন কায়দা করে মিলিয়ে ঝিলিয়ে ধর্মগ্রন্থগুলোকে মহান ঘোষণা করবেন। অবশ্য করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য ধর্ম বিশ্বাসের কোন ফেরিওয়ালাকে আর বলতে শুনি না কালোজিরার তেল সর্বরোগের মহাঔষধ।
সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন, আতঙ্কিত হবেন না, আতঙ্ক ছড়াবেন না, দয়া করে খাদ্যদ্রব্য মজুদ করবেন না, যারা দিন আনে দিন খায়, তাদের কথা মনে রাখুন, যেভাবে পারেন তাদের সাহায্য করার কথাটি ভুলবেন না, বিপদ সারাজীবন থাকেনা, থাকবেও না কিন্তু বিপদের সময় কে কীভাবে আচরণ করছে তা দিয়ে নির্ধারিত হয় তার ও তার আশে পাশের মানুষদের ভবিষ্যত, আপনার অযৌক্তিক ধারণা ও আচরণ আপনাকে, আপনার চারপাশের মানুষকে, পুরো দেশকে এবং পুরো পৃথিবীকে বিপদে ফেলবে। আগামী বাংলা বছরের শুভাগমণের কাছাকাছি সময়েই দেশ করোনামুক্ত হবে বলে আমি আশা ও বিশ্বাস করি।
করোনা বড়া ভাজি। এ ছবি দেখার পর করোনার আর বঙ্গদেশে থাকার কারণ নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১১