সবকিছু ভেঙ্গে-চুরে তছনছ করে দিয়ে আমফান বিদায় নিয়েছে।
লন্ডভন্ড হয়ে গেল সুন্দরবন-সহ দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রবল দুর্যোগের কবলে কোলকাতা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এত দিন কলকাতায় আছি। এমন ঝড় দেখিনি। সব শেষ করে দিয়ে গেছে।’ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ১২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। মমতা কাল রাতেই জানিয়েছিলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হতে পারে ১ লক্ষ কোটি টাকা। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাব করোনভাইরাস মহামারির চেয়েও মারাত্মক হয়েছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য জরুরি সহায়তা পরিচালনা করতে গিয়ে দিশেহারা রাজ্য সরকার। সুন্দরবনসহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮৫ কিমি বেগে ঝড় বয়ে গিয়েছে। আইলার সময়ে উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। আর কলকাতায় আয়লার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। এদিন আম্পানের তাণ্ডবের সময়ে ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটার এবং কোলকাতার আলিপুরে ১১৪ কিলোমিটার। রাত পর্যন্ত কোলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে ২৪৪.২ মিলিমিটার।
১।
২।
৩।
৪।
৫।
৬।
৭।
৮।
৯।
১০।
১১।
১২।
১৩।
সুন্দরবন নিয়ে আলাপ শেষ। আম্পান চলে গেছে। অন্যকিছু নিয়ে আলাপ করেন। আবার ঝড় আসলে তখন আবার সিলেবাসে যুক্ত কইরেন সুন্দরবনকে। এখন এই আলাপ করতে পারেন, ট্রাক উল্টে ১৩ জন মারা গেছে আর করোনায় ২৪ ঘন্টায় ২২ জন। এও আলাপ করতে পারেন, এক মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় যা মারা যায় করোনায় তার চাইতে কম। মৃত্যু নিয়ে কি পৈশাচিক তুলনা আপনাদের! এমন তুলনা যে হইতে পারে, আগে আমি জানতাম না। এখন আপনাদের মাধ্যমে জ্ঞানী হইসি।
সুন্দরবন আমাদের কত বড় বন্ধু আমরা বিপদে পড়লেই তা অনুভব করি, কিন্তু বিপদ কেটে গেলেই আবার ধ্বংশ লিলায় মেতে উঠি,আমরা ভীষণ অকৃতজ্ঞ...!
(বিঃ দ্রঃ ছবি গুলো নেট থেকে সংগ্রহ)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪