আগামীকাল ঈদ অথচ একটু খুশি লাগছে না।
আসলে সারা বিশ্বের কেউ ভালো নেই। চোখে দেখা যায় এমন এক ভাইরাস সব তছনছ করে দিচ্ছে। আমরা কেউ ভালো নেই। অলরেডি তিন মাস পার হয়ে গেছে। এমনিতেই আমাদের দেশটা দরিদ্র। করোনা পরিস্থতিতে দরিদ্র মানুষদের অবস্থায় ভয়াবহ হয়েছে। রাস্তায় বের হলেই শুধু ভিক্ষুক আর ভিক্ষুক। অসংখ্যা ছোট ছোট বাচ্চা এসে যখন হাত পাতে খুব কষ্ট লাগে। আমি নিজেও দরিদ্র মানুষ। কয়জনকে আমি সাহায্য দিতে পারি। চারিদিকে শুনছি ব্যাপক ত্রান দেওয়া হচ্ছে। অথচ রাস্তায় বের হলেই ঝাকে ঝাকে ভিক্ষুক।
ফেসবুকে আমার একটা গ্রুপ আছে।
ফোটোগ্রাফী সংক্রান্ত। অনেক পুরাতন গ্রুপ। আট বছর আগে গ্রুপটি খুলে ছিলাম। গ্রুপটির নাম আমার ফোটোগ্রাফী। আট বছর আগে তখন ফেসবুকে এত ফোটোগ্রাফী পেজ ছিলো না। আমার গ্রুপের দেখাদেখি পরে আরো কমপক্ষে ৫০টা গ্রুপ এসেছে। আমার গ্রুপে মেম্বার আছে চল্লিশ হাজারেরও বেশি। বেশ জনপ্রিয় গ্রুপ আমার। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ গ্রুপে ছবি পোষ্ট করে। সেসব ছবি আমি দেখি। মন্তব্য করি।
আমি নিজে বারো বছরের বেশি সময় ধরে ফোটোগ্রাফী করছি।
দৈনিক যুগান্তর, সমকাল আর দুইটা অনলাইনেও দীর্ঘদিন কাজ করেছি। যুগান্তর পত্রিকায় যে পাতায় কাজ করতাম তার নাম ছিলো- 'ঢাকা আমার ঢাকা''। প্রতি সপ্তাহে একদিন পাতাটা বের হতো। যুগান্তরে আমার সাব এডিটর ছিলেন আহম্মদ উল্লাহ। শুনেছি আহম্মদ উল্লাহ এখন খুব অসুস্থ। আর সমকাল পত্রিকায় যে পাতায় কাজ করতাম তার নাম ছিলো- ''কিছু বলতে চাই''। সমকালে আমার সাব এডিটর ছিলেন কাউসার ভাই। কাওসার ভাই এখন ইত্তেফাকে আছেন। দু'টা পত্রিকাতেই আমার কাজ ছিলো ছবি তোলা। ঢাকার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে লেখা হতো। লেখার সাথে মিল রেখে আমি ছবি তুললাম।
মনটা খুব খারাপ হয়ে আছে, কারন-
আমার ফোটোরাফী গ্রুপটা আজ সন্ধ্যায় হ্যাক হয়েছে। হ্যাকওয়ালা আমার গ্রুপ থেকে আমাকেই বের করে দিয়েছে। রবেল খান নামে একজন হ্যাক করেছে। এই রবেল খানকে আমি চিনি না। জানি না। আমার সাথে কারো কোনো শত্রুতা নেই। আট বছর ধরে গ্রুপটার সাথে আছি আমি। আজ গ্রুপটা হাত ছাড়া হয়ে গেল। অবশ্য আমি রিপোর্ট করেছি। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ হয়তো ৭২ ঘন্টার মধ্যে আমাকে কিছু জানাবে। বুঝলাম আমার গ্রুপটা হ্যাক করে কি লাভ হলো?
হ্যাক করেছে এই হারামজাদা। মনে হচ্ছে ফেক আইডি।
আমার গ্রুপ থেকে আমাকে বের করে দিয়ে নিজে এডমিন হয়ে বসে আছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১:১৬