পৃথিবীর আসন্ন বিপদ গুলো নিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যাথা নেই।
সব বুদ্ধিমান মানুষেরা, বিদ্বান মানুষেরা গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে আসে। ফলে গ্রাম ফাঁকা আর অন্ধকার হয়ে যায়। তখন আজেবাজে লোকেরা গ্রামে রাজত্ব করে। ভিলেজ পলিট্রিক্স করে। দিনের পর দিন ভুল শিক্ষা, ভুল রাজনীতি, ভুল ধর্ম, ভুল নৈতিকতা নষ্ট করে দিচ্ছে আমাদের গ্রাম গুলোকে। হায়ার এডুকেশন, বেটার জব অপরচুনিটি, হায়ার স্ট্যাটাস- এইসব মানুষকে গ্রাম থেকে টেনে আনে শহরে দিকে। আমি ঠিক করেছি গ্রামে চলে যাব। কৃষক হয়ে যাবো, নিজের কাঁধে লাঙ্গল তুলে নিব। ইছে মতো গাছ লাগাবো। জমিতে সেচ দিব, ঘর আর উঠান মাটি দিয়ে নিজ হাতে লেপে দিব। আমি জানি, একদিন আমাদের সবাইকেই গ্রামে ফিরে যেতে হবে। গ্রাম ছাড়া কোনো উপায় নেই।
শহরে বড় বড় দালান তৈরি করা মানুষের খুব বড় ভুল হয়েছে।
ঢাকা শহরের বাতাস বিষিয়ে গেছে। দূষনের শেষ মাত্রায় পৌঁছে গেছে। মানুষের ভুল যেদিন ভাঙবে সেদিন মানুষ এইসব বড় বড় দালান ভেঙ্গে ফেলবে। কলকারখানা বন্ধ করে দেবে। আজ থেকে পঁচিশ/ত্রিশ বছর পর প্রকৃতি তার কঠিন প্রতিশোধ নিবে মানুষের উপর। কোনো এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ঘটিয়ে একসাথে কমপক্ষে এক কোটি লোক মারা যাবে। তখন এত মৃত দেহ কবর দেয়ার লোকও খুঁজে পাওয়া যাবে না। অলরেডি করোনা ভাইরাস তার কিছুটা নমুনা দেখাচ্ছে। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় সমাজপতিরা এইসব নিয়ে ভাবছে না! সমাজ পতিরা দূর্নীতিতে ব্যস্ত। ইউরোপে সেকেন্ড হোন বানাতে ব্যস্ত। রাজনীতিবিদরা কুটকচালিতে ব্যস্ত, আমলারা ব্যস্ত প্রশাসনিক কাজে আর সাধারন মানুষ ব্যস্ত অন্ন বস্ত্র ও বাসস্থানের ধান্দায়।
এই পৃথিবীর জন্য, মাটির জন্য, গাছের জন্য-
কারো কোনো মায়া নেই, চিন্তা নেই। মানুষের এই উদাসীনতা আমার অসহ্য লাগে। আমার হাতে ক্ষমতা থাকলে- কেউ যদি গাছ কাটতো তাহলে আমি তাকে মরুভূমিতে পাঠিয়ে দিতাম। দু'টা বাচ্চা থাকার পরও যেন কেউ আর সন্তান নিতে না পারে তার জন্য জন্ম নিরোধোক পিল খাইয়ে দিতাম। যেসব কলকারখানা পরিবেশ দুষিত করে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতাম। মাটির নীচে তেল-গ্যাস ফুরিয়ে আসছে- এইসব নিয়ে কেউ ভাবছে না! মানুষ এত নির্বোধ কেন? সবাই টাকা টাকা করে। পৃথিবীর কথা কোনো শালা ভাবে না। তিল তিল করে পৃথিবীটা শেষ করে দিচ্ছে নির্বোধ মানুষ। সারা দেশেই অবাধে গাছ কাটা হচ্ছে। এমন কি সমস্ত বন জঙ্গল পর্যন্ত উজার করা হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে সুন্দরবন থেকে গাছ চুরী হচ্ছে বছরের পর বছর।
বিজ্ঞানীরা তাদের ইচ্ছা মতো কাজ করতে পারে না।
তারা রাজনীতিবিদ আর প্রশাসনের শিকার। বিজ্ঞানীরা আমাদের হাতে খেলনা দিয়ে আর রুপ কথার গল্প বলে আমাদের ভুলিয়ে রাখছে। রকেট উৎক্ষেপণ না করে, অস্ত্র না বানিয়ে অথবা এটম বোমা না বানিয়ে, সেই টাকা দিয়ে একটা মরুভূমিকে কিভাবে সবুজ বানানো যায় সেই কাজে সময় খরচ করলে পৃথিবীর বেশী উপকার হয়, বা আফ্রিকার প্রাচীন রাষ্ট্র ইথিওপিয়ার দরিদ্র দেশের মানূষের কল্যাণে খরচ করা অনেক বেশী ভালো। শুধু নিজের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভাবলে হবে না। পুরো বিশ্বের কথা ভাবতে হবে। পৃথিবীটাকে ভালো রাখতে হবে। তাহলেই আমরা ভালো থাকবো।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৬