আসসালামু আলাইকুম।
আজ বেশি কিছু লিখব না। সারাদিন সামুতে আসি নাই। না মোটেও ব্যস্ত ছিলাম না। এমনিতেই আসি নাই। এই পোষ্ট দেওয়ার মানে হলো- হাজিরা দিয়ে গেলাম। আমি বেঁচে আছি। ভালো আছি। সারাদিন বাসায়ই ছিলাম। বিকেলে একবার বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। আজ রান্না বান্না খাওয়া দাওয়া সব দোতলায় হয়েছে। আমি ছয় তলা থেকে তিনটার পর নেমেছি। মাংসের ঝামেলা শেষ তারপর নেমেছি। আমাকে ফোন দিয়েছিলো- আমি বলেছি দাঁত ব্যাথা। আসলেই রাতে দাঁত ব্যথা করেছিলো। একটা দাঁতে সমস্যা আছে।
দোতলায় নেমে খেয়ে নিয়েছি।
তখন সাড়ে তিনটা বাজে। সকালে নিচে নামলে মাংস নিয়ে নানান দিকদারির মধ্যে পড়তাম। ভাইয়েরা আর মা গাল ফুলিয়ে আছে। আমি নাকি সব সময় গা বাচিয়ে চলি। বাচিনা দাঁত ব্যথ্যায়। সকালে কিছু খাই নাই। দুপুরে খিচুড়ি, মূরগীর মাংস আর গরুর মাংস খেয়েছি। সেমাই, নুডুলস আর চটপটি ছুয়েও দেখিনি। রাতেও দোতলায় খাবো। রাতে ভাবী কি খাওয়াবে কে জানে! তবে আমি বলে দিয়েছি আমি পোলাউ খাবো না। আমি খাবো সাদা ভাত। আগে পোলাউ আমার ভীষন প্রিয় ছিলো। এখন পোলাউ খেতে ইচ্ছা করে না।
আপনাদের খবর কি?
ঈদ কে কিভাব কাটালেন? সকালে কে যেন আমার মোবাইলে এক হাজার টাকা ফ্ল্যাক্সি করেছে। কে করেছে জানি না। আমার মোবাইলে আগে তের শ' টাকা ছিলো। এখন হলো তেইশ শ' টাকা। মোবাইলে আমার মাসে পাচ শ' টাকার বেশি খরচ হয় না। যাই হোক, বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। করোনা ভাইরাস থেকে খুব সাবধান থাকুন। মাংস বেশি খাবেন না। সর্ব্বোচ দুই টুকরা। শেষে প্রেসার বেড়ে যেতে পারে। তাই সাবধান থাকা ভালো।
কোরবানীর মাংস আমি ফ্রিজে রাখি নাই।
আমার ভাগের সব মাংস বিলিয়ে দিয়েছি। ফ্রিজে জমা করে রাখার কোনো মানেই হয় না। যখন খেতে ইচ্ছা করবে তখন দুই কেজি কিনে নিয়ে আসবো। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। জয় বাংলা।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৭