১। পৃথিবীর এক অনন্য শহর ঢাকা।
যেখানে মানুষের নি:শ্বাস ফেলার সুযোগ, বিনোদনের প্রয়োজনীয়তাকে সরাসরি অস্বীকার করা হয়েছে! ফলে মানুষ যখনই কোন মেলা, অনুষ্ঠানের খবর পাচ্ছে, দলবেঁধে ছুটে যাচ্ছে। সে হোক বাণিজ্য মেলা, বই, ডিম, অথবা বৈশাখ মেলা! ঢাকা শহরে বিনোদনের বড্ড অভাব। মানুষ ছুটির দিনগুলো একটু বিনোদনের আশায় একত্রিত হতে চায়। আপনি আগামীকাল মুরগী মেলা করেন, আলুর মেলা করেন দেখবেন লোকজন গিজ গিজ করছে।
২। অনেক বছর আগে একবার, বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামের এক পুকুরে গোসল করতে নামি।
টলটলা আর কি ঠান্ডা পানি। গায়ে সাবান মাখতেই হঠাৎ সাবানটি পানিতে পড়ে যায়। আমি ডুব দিয়ে সাবানটি খুঁজতে থাকি। কিছুতেই সাবানটি খুঁজে পাচ্ছি না। এমন সময় আমি পা পিছলে পুকুরে ডুবে যাই।
জানি না সাঁতার। পুকুরের পানি খেয়ে পেট গেল ফুলে, চোখে অন্ধকার দেখছি- তখন আমি নিজেকে আবিস্কার করলাম পুকুরের মাঝখানে এসে পড়েছি। তারপর একেবারে পানিতে ডুবে গেলাম।
একজন খুব রুপসী নারী সেদিন আমাকে বাঁচিয়ে ছিলেন। কি সুন্দর মায়া ভরা মুখ তার। মাথা ভরতি চুল। বড় বড় চোখ। চোখে মোটা করে কাজল দেয়া। তার নাম আজ আর আমার মনে নেই। কিন্তু গতকাল রাতে তাকে স্বপ্নে দেখি।
৩। বই মানে তো শুধু বই নয়। বই মানে স্মৃতি। বই মানে অনুষঙ্গ। বই এক স্থায়ী ভালবাসা। বইয়ের মৃত্যু হবে না। কম্প্যুটার, ফেসবুক-টুইট-স্যোশাল মিডিয়া যতই হোক, বই থাকবে। বই তো শুধু আমরা পড়ি না। গন্ধ শুঁকি। উপহার দিই। বইয়ে নিজের নাম লিখি। নড়াচড়া করি। সাজিয়ে রাখি।
৪। তরকারীতে তেল কম দিতে বলুন। আমাদের এটা বদ অভ্যাস তরকারীতে তেল বেশি দেওয়া অথচ তরকারীর স্বাদ বৃদ্ধিতে তেলের কোনই ভুমিকা নেই। তরকারীর স্বাদ বৃদ্ধিতে ভুমিকা হল শুধুই মসল্লার। তেলের কোন প্রকার ভুমিকা নেই। তরকারিতে তেল বেশি দিলে গ্যষ্ট্রিক রোগীদের জন্য বেশি ক্ষতির কারন হয়।
৫। প্রেম হচ্ছে এক ধরনের চুলকানি বিশেষ, যতো চুলকানো যায় ততো সুখ সুখ লাগে। কিন্তু চুলকাতে চুলকাতে যখন ফোসকা পড়ে যায় কিংবা ঘা হয় তখন ঠিক মতো মলম না লাগালে কিন্তু বুকের মধ্যে ভীষণ জ্বালা করে। প্রেমিক-প্রেমিকারা বাবা-মায়ের কথা মনে না করেই প্রেম শুরু করে।
এখনকার অভিভাবকরা ৬০ অথবা ৭০ দশকের মতো নিষ্ঠুর মন মানসিকতা সম্পন্ন বয় কিন্তু সব বাবা-মা'রাই এই ব্যাপারে রক্ষণশীল। যদি তারা ঘরের বাইরে যথেষ্ট প্রগতিশীল দেখান। যে মানূষ পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে সমস্যাকে মোকাবেলা করে নিজের অনুকূলে আনতে পারে সেই প্রকৃত বুদ্ধিমান এবং প্রকৃত প্রেমিক হতে পারে।
৬। বিশ্ব মান দিবস আজ। ১৯৪৬ সালের ১৪ অক্টোবর তারিখে লন্ডনে বিশ্বের ২৫টি দেশের প্রতিনিধিরা বিশ্বব্যাপী পণ্য-সেবার মান বজায় রাখার জন্য একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মান নির্ধারক সংস্থার বিষয়ে ঐকমত্য পোষন করেন যা পরের বছর থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এর পর থেকে প্রতি বছর ১৪ অক্টোবর তারিখে আন্তর্জাতিকভাবে উদযাপিত হয়ে আসছে ।