এই সমাজ মন্দ সমাজ।
সমাজের কিছু অলিখিত নিয়ম কানুন আছে যা বলে দেয় যৌনতা হলো একটি নিষিদ্ধ বিষয়। এটা ঘটে বন্ধ দরজার আড়ালে এবং এটা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে নেই। গোপন ব্যাপার, গোপন রাখতে হবে। অভিভাবকরা এই সমাজের অঙ্গ, তারা এই সমাজেই বড় হয়েছেন এবং এই সমাজ থেকে পাওয়া মানসিকতা নিয়ে সন্তানদের বড় করছেন তাই সমাজের অদৃশ্য সীমারেখা ভাঙতে খুব একটা সাহস পান না। আধুনিক শিক্ষিত বাবা-মা সন্তানদের সাথে বন্ধুর মত সম্পর্ক স্থাপন করেন। এতে সন্তান আনন্দ নিয়ে বড় হয়। তাই কোনো অপরাধ সংগঠিত হয় না।
দাঁড়াও পথিকবর, জন্ম যদি তব বঙ্গে, তিষ্ঠ ক্ষণকাল।
আজ পর্যন্ত যে সমস্ত নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হএয়ছেন, তাদের মধ্যে বেশির ভাগই শিকার হওয়ার সময় তথাকথিত 'ভদ্র' পোশাক পড়েছিল। প্রতিটা নারীকে ভালোবাসতে হবে। সম্মান করতে হবে। হোক সে নিজের মা-বোন, অথবা অন্যের মা-বোন। এমন কি ঘরের কাজের বুয়াকে সম্মান করতে হবে। পরিচিত-অপরিচিত সমস্ত নারীকে ভালোবাসতে হবে। সম্মান করতে হবে। এই শিক্ষা প্রতিটা মা বাবাকে ছোটবেলা থেকেই শিশুর মাথায় ঢুকিয়ে দিতে হবে।
অনেক ছেলে ভাবে কেমন মেয়ে বিয়ে করবো?
আবার মেয়েরা ভাবে কেমন ছেলে বিয়ে করবো? মনের মতোন তো খুঁজে পাচ্ছি না। আমি বলি, শুনুন- আপনি যেই ক্যাটাগরির হোন না কেন, আপনার ক্যাটাগরির মেয়ে আছে। ধৈর্য ধরে খুঁজতে থাকুন, পেয়ে যাবেন। মনে রাখবেন, দেরী হোক, যায় নি সময়। আপনি আপনার পরিবারকে খুব ভালোবাসেন, পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল, এটা দেখেও কোনো মেয়ের আপনাকে ভালো লেগে যেতে পারে। ছেলেরা ভাবে আমার তো ভালো ক্যারিয়ার নেই, বড় অংকের স্যালারী নেই, কে আমায় ভালোবাসবে? কে আমায় পছন্দ করবে? কে বিয়ে করবে? এটা ভুল চিন্তা।
সব মেয়ে বড় চাকরি দেখে বিয়ে করতে চায় না।
মেয়েরা একজন বিশ্বস্ত জীবন সঙ্গী চায়, সেই মানুষটাকে চায় যে কিনা তাকে কোনো দিন ঠকাবে না। কষ্ট দিবে না। মেয়েরা নিশ্চয়তা চায়। আপনি সেই নিশ্চিয়তাটুকু দিন তাকে। সে আপনাকে পছন্দ করতে বাধ্য। সুন্দরী মেয়ে দেখামাত্র ছেলেদের মনে এই ধারণা আসে- ইশ আমি তো এর সাথে কথাও বলতে পারবো না নিশ্চয়ই! আমি তো আর এত হ্যান্ডসাম না। আর মেয়েটা এত সুন্দর, তাহলে নিশ্চয়ই মেয়েটি অহংকারী হবে। আর অপরদিকে অপেক্ষাকৃত কম সুন্দরী মেয়েরাও এই ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স এর কারণেই সুন্দরী মেয়েকে অহংকারী ভাবতে পারে।
জীবন থেকে আপনি কি শিখেছেন?
জীবন থেকে আপনি সবচেয়ে বড় ও মূল্যবান কোন শিক্ষাটি পেয়েছেন? শুনুন আমার কাছ থেকে, বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু মহল, স্ত্রী, সন্তান। কেউ আপনার আপন না। পৃথিবীর সকল সম্পর্কের পেছনে কারণ এবং আদান-প্রদান থাকে। সাফল্য লাভ করতে হলে সব থেকে বড় হল তিনটি বিষয়। ভাগ্য, পরিশ্রম আর ইচ্ছা। এই তিনের যেকোনো একটা অনুপস্থিত থাকলে আপনার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব হবে না। কোন স্রষ্টা আপনার হাতে এসে কিছুই তুলে দিবেন না বা উনার কৃপায় পরিস্থিতির কোন হেরফের হবে না। মিডিয়া বা সরকার আপনাকে যা দেখায় তা ৯০% মিথ্যা। আপনার চিন্তাকে এরা প্রভাবিত করতে চায় এদের মত করে তৈরি করা সংঘাতে। মিডিয়ার মাধ্যম গুলো যদি আপনাকে প্রভাবিত করে তাহলে মনে রাখবেন আপনি পৃথিবীর বোকাদের মাঝে একজন।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১০