somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

অনলাইন মার্কেটিং

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



অনলাইন মার্কেটিং বেশ জমে উঠেছে।
মানুষজন পাগলের মতো অনলাইন থেকে কিনছে। দেখা যাচ্ছে, ঢাকা শহরের বহু মানুষ অনলাইনে ব্যবসা করছে। নিশ্চয়ই প্রচুর লাভ হচ্ছে, তা না হলে এত লোক এই ব্যবসায় নামতো না। সবাই কিছু না কিছু করছে, আমি ছাগল হাত পা নিয়ে চুপ করে বসে আছি। অথচ আমি নির্বোধ না। জ্ঞান বুদ্ধি সবই ঠিকঠাক আছে। যেখানেই যাই, শুনি সে অনলাইন ব্যবসা করছে। বেশ লাভ হচ্ছে। আমার এক বন্ধু। গতকাল ওর বাসায় দাওয়াত ছিলো। রাতে বন্ধুর বাসায় খাওয়া দাওয়া করলাম। বন্ধু ভালো চাকরি করছে। পাশাপাশি অনলাইনে ব্যবসাও করছে। ফিল্টার পানির মেশিন বিক্রি করছে। এবং ফার্নিচার বিক্রি করছে। অথচ আমার বন্ধু খালি হাতে ঢাকা শহরে এসেছিলো। উত্তরাতে সে জমিও কিনেছে। দুই বছর পর বাড়ির কাজে হাত দিবে।

সুরভি আর ভাবী অনলাইন থেকে কেনাকাটা করে।
তারা পাগলের মতো অনলাইন থেকে কেনাকাটা করে। জামা, শাড়ি, নানান রকম খাবার ইত্যাদি প্রায়ই কিনে। সেদিন সুরভি অনলাইন থেকে চানাচূর কিনলো। বলল, এই চানাচূর ঘরে বানানো। খেতে ভীষন মজা। ঘি কিনছে অনলাইন থেকে। আমি বললাম, বাজারে তো ঘি পাওয়া যায়। সুরভি বলল, এটা খাটি ঘি। বাজারেরটা খাটি না। মধু কিনলো। সেটাও নাকি খাটি। কোনো ভেজাল নাই। সুরভির এক বোন ইটালী থাকে। সে ইটালী বসে বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে সারাদিন কেনাকাটা করতেই থাকে। একটা শাড়ি কিনলো ৭০ হাজার টাকা দিয়ে। আরেকটা কিনলো ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে। আমাদের বাসার ঠিকানা দিয়েছে। সেলসম্যান এসে দিয়ে গেলো। আমি শুধু অবাক হই ওদের কেনাকাটা দেখলে।

অনলাইন ব্যবসা বেশি করছে মেয়েরা।
মেয়েরা নানান রকম জামা কাপড় নিয়ে লাইভে আসছে। ক্রেতারা এলোমেলো প্রশ্ন করে পন্য কিনে নিচ্ছে। প্রচুর নাকি বিক্রি হচ্ছে। এরকম বেশি কিছু ভিডিও আমি দেখেছি। একটা মেয়ে সুন্দর করে সেজে ভিডিওতে আসে। সে তার প্রোডাক্ট এর গুনগান করে। মানুষের প্রশ্নের উত্তর দেয়। আধা ঘন্টার মধ্যে ১৫/২০ টা জামা, শাড়ি বিক্রি হয়ে যায়। যারা বিক্রি করছে পাগলের মতো বিক্রি করছে, যারা কিনছে পাগলের মতো কিনছে। আমি বুঝি না, ঢাকা শহরে ঘর থেকে বের হলেই মার্কেটের অভাব নাই। তবু মানুষ অনলাইন থেকে কিনছে কেন? তারা কাপড় শুধু চোখে দেখছে অনলাইনে। হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখতে পারছে না। বা টায়ালও দিতে পারছে না। ভিডিওতে প্রোডাক্ট দেখা আর হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখা এক হলো?

আমি ফেসবুকে মানুষের ব্যবসা দেখি।
এক মহিলা কাঠের দরজা বিক্রি করছেন। নানান রকম ডিজাইন করা দরজা। ভালো বিক্রি হচ্ছে। আরেকজনকে দেখলাম, বিকেলের নাস্তা বানিয়ে বিক্রি করছেন। নুডুলস, পিয়াজু, সমুচা সিঙ্গারা এইসব। সেই মেয়ে পাগলের মতো অর্ডার পাচ্ছে। সাপ্নাই দিতে মেয়েটাকে হিমিশিম খেতে হচ্ছে। এক মহিলা বিক্রি করছে মধু আর ঘি। সেই মহিলা আবার বলছে, অনলাইনে ব্যবসা করছি বলে আমাকে দরিদ্র ভাববেন না। ঢাকা শহরে গাড়ি বাড়ি সবই আছে আমার। একমেয়ে বিক্রি করছে কসমেটিকস। দারুন বিক্রি হচ্ছে। বোরখা, হিজাব, নেইল পলিশ, হাত ঘড়ি, মগ, চা পাতি, বাচ্চাদের জামা কাপড় সহ সবই বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, দেশকে ডিজিটাল বানাবেন। উনি পেরেছেন।

ফেসবুকে একটা গ্রুপ আছে।
তারা ২৫/৩০ জন নিয়ে ট্যুর এ যাচ্ছেন বিভিন্ন জায়গায়। এই কক্সবাজার যাচ্ছে, সিলেট যাচ্ছে, রাঙ্গামাটি- বান্দরবান যাচ্ছে। দুই তিন দিনের ট্যুরে নাকি তাদের সব খরচ বাদ দিয়ে ২০ হাজার টাকা করে লাভ থাকে। সবাই কোনো না কোনো ভাবে টাকা ইনকাম করছেই। আমাদের পাশের বাসার এক মেয়ে, অনলাইনে রঙ পেন্সিল, রঙতুলি, বোর্ড, হাবিজাবি বিক্রি করছে। প্রতিদিনই তার অর্ডার থাকেই। একমেয়ে পদ্মার ইলিশ বিক্রি করছে। আরেকজন মহিলাকে দেখলাম অনলাইনে কোরআন শিখাচ্ছেন। কেউ বসে নেই। এখন সবাই অনলাইন ব্যবসায়ী হয়ে গেছে। বেশ কয়েকজন চাকরিই ছেড়ে দিয়েছে। পুরোপুরি অনলাইন ব্যবসায় মনোযোগ দিয়েছে। আমি কি করবো? আমি তো মানুষ। খেতে হয়, পরতে হয়। সংসার আছে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২০
২৩টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×