১। যখন কেউ নিজেকে সব জান্তা মনে করে বকবক করে, তখন অসহ্য লাগে। একজন পন্ডিত কে আমরা পন্ডিত মনে করবো কিন্তু পন্ডিত নিজেই যদি নিজেকে পন্ডিত ভাবে তখন তার প্রতি আস্থা কমে যায়। মন থেকে সম্মান তো থাকেই না।
২। এক সাহিত্যিক ভদ্রলোক একটা স্কুল পরিদর্শনে গেছেন।
সেখানে ক্লাস ফাইভের ছেলেমেয়েরা তাকে ধরে বসলো, কি করে ছোট গল্প লেখা যায় তা শিখিয়ে দিতে হবে। সাহিত্যিক ভদ্রলোক রাজি হয়ে বললেন, 'গল্প লেখা খুব সহজ কাজ। গল্পের প্রথমে একটা আধ্যাত্মিক ভাব থাকবে। তারপরেই একটু অভিজাত পরিবারের কথা মেশাতে হবে। এবার কিছুটা সামাজিক, গার্হস্থ্য জীবনের বিবরণ দিয়ে শেষে একটু রহস্য দিলেই সুন্দর একটা ছোট গল্প তৈরি হয়ে যাবে'। এই বলে সাহিত্যিক ভদ্রলোক স্কুলের শিক্ষকদের সাথে গল্প-গুজব শুরু করলেন।
পাঁচ মিনিট পরে একটি মেয়ে উঠে বললো, 'আমার গল্প তৈরি হয়ে গেছে'।
সাহিত্যিক ভদ্রলোক আশ্চর্য হয়ে বললেন, তাই নাকি? পড়ে শোনাও দেখি।
মেয়োটি তার গল্প পড়ে শোনাল: 'হায় আল্লাহ !' (আধ্যাত্মিক ভাব) সৈয়দ বংশীয়া চেচিয়ে উঠলেন (অভিজাত পরিবার), 'আমার একটি বাচ্চা হয়েছে, (গার্হস্থ্য জীবন) কিন্তু আমি জানি না এর বাবা কে?' (রহস্য)।
৩। এক দাদা আর এক দাদী চিন্তা করল.....
যে তারা তাদের যৌবন কালের সময়কে আবার ফিরিয়ে আনবে। তাই তারা সিদ্ধান্ত নিলো যে তারা আবার নদীর কিনারায় দেখা করবে। পরের দিন সকালে দাদা ঘুম থেকে উঠে সেজে গুজে গোলাপ ফুল নিয়ে নদীর কিনারায় গেলো কিন্তু দাদী নেই।
অনেক্ষন অপেক্ষা করে দাদা রাগ হয়ে বাড়িতে চলে আসল। এসে রাগ হয়ে দাদীকে বলল তুমি নদীর কিনারায় আসলানা কেনো? দাদী লজ্জা পেয়ে হাসলো এবং বললো মা যেতে দেয়নি....
(''রাস্তায় পাওয়া ডায়েরী থেকে'' ভেবেছিলাম আর পোষ্ট করবো না। এখন ভাবলাম, না আবারও এই নামে পোষ্ট দেওয়া যেতে পারে। পোষ্টের সাথে ছবি আমার তোলা। রমনা পার্ক। )
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪২