somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

তিনটি পুরান বিরক্তকর গল্প

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১। এক মহিলা প্রতিদিন তার বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে- সকল প্রশংসা আল্লাহর।
পাশের বাড়ির এক নাস্তিক তাই শুনে জবাব দেয়- আল্লাহ বলতে কিছু নেই।

একদিন মহিলা উঠানে দাঁড়িয়ে চিৎকার করলো- হে আল্লাহ, আমার আজকের বাজারটা করে দাও।
একটু পরে সে দেখলো তার বাড়ির বাইরে ব্যাগ ভর্তি তরকারি-মাছ ইত্যাদি পড়ে আছে। মহিলা বাজার দেখে চিৎকার করে বললো- সকল প্রশংসা আল্লাহর।
পাশের বাড়ির নাস্তিকটি বললো, আল্লাহ বলে কিছুই নেই। আমি ওই বাজার করে দিয়েছি।
মহিলা বললো- সকল প্রশংসা আল্লাহর। তিনি শুধু আমার বাজারই করে দেননি, শয়তানকে দিয়ে তার দামও পরিশোধ করিয়েছেন।

২। এক গৃহস্থের ঘরের পেছনে বেগুন গাছে টুনটুনি পাখি বাসা বেঁধেছে।
বাসার ভেতর তিনটি ছোট্ট ছোট্ট ছানা হয়েছে। গৃহস্থের বিড়ালটা ছিল ভারি দুষ্টু। বিড়াল খালি ভাবে, টুনটুনির ছানা খাব। একদিন সে বেগুন গাছের তলায় এসে বলল, ‘কী করছিস রে টুনটুনি?’
টুনটুনি মাথা হেট করে বিড়ালকে বলল, ‘সালাম মহারানী।’
বিড়াল খুশি হয়ে চলে গেল।

এমনি রোজ আসে বিড়াল।
টুনটুনি তাকে সালাম জানায় আর মহারানী বলে। এর মধ্যে টুনটুনির ছানা গুলো বড় হয়েছে। সুন্দর পাখা হয়েছে।
একদিন টুনটুনি ছানাদের জিজ্ঞেস করল, ‘বাছা, তোরা উড়তে পারবি এখন?’
ছানারা বলল, ‘হ্যাঁ, মা, পারব!’ ছানারা তখনই উড়ে গিয়ে পাশের তাল গাছে বসল।
টুনটুনি খুশি হয়ে বলল, ‘এবার আসুক দুষ্ট বিড়াল।’

একটু পরেই বিড়াল এসে আগের মতো জিজ্ঞেস করল, ‘কী করছিস টুনটুনি?’
টুনটুনি তখন পা উঠিয়ে ‘দূর হ, লক্ষ্মীছাড়া বিড়াল।’ বলেই ফুড়ুত করে উড়ে পালাল।
দুষ্ট বিড়াল দাঁত খিঁচিয়ে মুখ উঁচিয়ে লাফিয়ে গাছে উঠে বেগুন কাঁটার খোঁচা খেয়ে নাকাল হলো। টুনটুনিকেও ধরতে পারল না, ছানাও খেতে পারল না।

(টুনটুনির গল্প বই পড়ে যে আনন্দ ও শিক্ষা আমি পেয়েছি, সারা জীবন আমার কাছে তা এক অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে।)

৩। অনেকদিন আগে একবার আমি মিসির আলির মতোন করে একটা সমস্যার সমাধান করেছিলাম।
সমস্যাটা ছিল এই রকম- একটা মাদ্রাসায় অনেক গুলো ছেলেমেয়ে থাকত। প্রতিটা ছেলেমেয়েই ধনী পরিবার থেকে এসেছে। মাদ্রাসা মানেই কিন্তু এতিম ছেলেমেয়ে- এই ধারনা সঠিক নয়। সেই মাদ্রসায় আমার পরিচিত মিশু নামে একটা ছেলে থাকত।

একদিন মিশু বলল- তাদের মাদ্রসায় অদ্ভুত একটা ব্যাপার এক মাস ধরে ঘটছে। অদ্ভুত ব্যাপারটি হলো- মাদ্রসার প্রতিটা ছেলেমেয়ের পেষ্ট টিউব থেকে নাই হয়ে যায়। দিনের পর দিন একই ব্যাপার টিউব থেকে পেষ্ট উধাও হয়ে যায়।

এই সমস্যার সমাধান আমি তিন মিনিটে করে ছিলাম।
মাদ্রাসার এক হুজুর প্রতিদিন রাতে বেসিনে গিয়ে টিউব থেকে সব পেষ্ট বের করে ফেল দিত। আমি মাদ্রাসার হুজুর কে জিজ্ঞেস করলাম- আপনি এই কাজ কেন করেন? হুজুর লজ্জায় মাথা নত করে বললেন- পেষ্ট টিপ দিয়ে বের করতে আমার অনেক ভালো লাগে। অনেক আনন্দ পাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১৯
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×